রবিবার নাগপুরে টস জিতে ব্যাটিং নিলেও প্রথম এক ঘণ্টায় জয়দেব উনাদকাটের সুইং সামলাতে ব্যর্থ হন ওয়াসিম জাফর, সঞ্জয় রামস্বামীরা। ছবি: পিটিআই।
রঞ্জি ট্রফি ফাইনালের মূল দ্বৈরথ চেতেশ্বর পূজারা বনাম উমেশ যাদব। কিন্তু তাঁদের লড়াই করার জমিই যদি তৈরি না হয়, তা হলে হারিয়ে যেতে পারে ম্যাচের আকর্ষণ। রঞ্জি ট্রফি ফাইনালের প্রথম দিনই সৌরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে সাত উইকেট হারিয়ে ২০০ রান বিদর্ভের। কম রানে অলআউট হয়ে গেলে উমেশ ও রজনীশ গুরবাণীর লড়াই করার জন্য আদৌ কিছু থাকবে কি না সেটাই প্রশ্ন!
রবিবার নাগপুরে টস জিতে ব্যাটিং নিলেও প্রথম এক ঘণ্টায় জয়দেব উনাদকাটের সুইং সামলাতে ব্যর্থ হন ওয়াসিম জাফর, সঞ্জয় রামস্বামীরা। বাঁ হাতি পেসারের বলে ২৩ রান করে কট বিহাইন্ড হন জাফর। দুই রান করে ফিরে যান সঞ্জয়। দু’জনেই শিকার হন উনাদকাটের। ১৬ রান করে রান আউট হয়ে ফেরেন বিদর্ভ অধিনায়ক ফৈয়জ় ফজ়লও। শুরুর তিন ব্যাটসম্যানকে ৬০ রানের মাথায় ফিরিয়ে ম্যাচ নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে চেতেশ্বর পূজারার সৌরাষ্ট্র।
প্রথম দিনের শেষে সৌরাষ্ট্রের কোচ সিতাংশু কোটক বললেন, ‘‘নাগপুরের পিচে বিপক্ষকে ১৫০ রানে অলআউট করা সম্ভব নয়। সেই জায়গায় দাঁড়িয়েও আমরা শৃঙ্খলার সঙ্গে বোলিং করেছি। তাই প্রথম দিনের শেষে ২০০ রানের মধ্যে বিপক্ষের সাত উইকেট ফেলে দিতে পেরেছি।’’ জাফর কম রানে ফিরে যাওয়ায় আত্মবিশ্বাসী হয়ে ওঠে চেতেশ্বর পূজারার দল। সেই সঙ্গে ফৈয়জ়ের রান আউট বিদর্ভের ব্যাটিং গভীরতায় চিড় ধরিয়েছে।