কেন লড়াই জমল না: যে রকম উন্মাদনা তৈরি করেছিল ততটা লড়াই হয়নি, মেওয়েদার একতরফা দাপট দেখিয়েছে বলে। ম্যানি সে ভাবে পাল্টা মার দিতে পারেনি। পারলে আরও জমত।
কেথায় টেক্কা দিল মেওয়েদার: দুর্দান্ত ডিফেন্স, অসাধারণ রিচ আর ফুটওয়ার্ক। তিনটে গুণ দীর্ঘ দিন ধরেই এক নম্বর রেখেছে মেওয়েদারকে। ম্যানিকেও এই তিনটে অস্ত্রেই বারবার কোণঠাসা করে বিপদে ফেলছিল।
কেন পারল না ম্যানি: ভাল বক্সারের দুটো হাত সমান চলে। এক হাতে ডিফেন্স আর এক হাতে অ্যাটাক। ম্যানি আক্রমণে বাঁ হাতটাই বেশি ব্যবহার করছিল। ডান দিকটা অরক্ষিত থাকা মেওয়েদারের অ্যাডভান্টেজ হয়ে গিয়েছে।
ম্যানি কিন্তু হার মানেনি: জাত ফাইটার কখনও ময়দান ছাড়ে না। ম্যানিও ছাড়েনি। নকআউটও হয়নি। বারো রাউন্ডই কিন্তু সমানে লড়াই করে গিয়েছে। তবে মেওয়েদারের আগ্রাসন, শক্তি, টেকনিকের সঙ্গে পাল্লা দেওয়া সোজা নয়।
কী শিখলাম: ঠিক আমার মতোই ডিফেন্সিভ বক্সার বলে মেওয়েদার আমার অন্যতম প্রিয়। এই ফাইটটা তাই রিও অলিম্পিকে পদক জিততে আমায় প্রচুর তাতানোর কাজ করবে। ডিফেন্স, রিচ, ফুটওয়ার্ক আরও ভাল করতে হবে। শরীরের পুরো শক্তি দিয়ে কী ভাবে পাঞ্চ করতে হবে সেটাও দেখলাম।