ছবি- রয়টার্স
চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর কাছে গোহারা পরাজয়। মুছড়ে পড়েছে দেশ। সমর্থকদের ক্রোধের পারদ এতটাই চরমে যে, বিরাট কোহালি যাদের ম্যাচ জেতানোর পরিত্রাতা ছিলেন, তারাই এখন কোহালির ছবিকে পুড়িয়ে পায়ের তলায় দলছেন। পাকিস্তান হারলে যেমন সে দেশে টিভি সেট ভাঙার রীতি দেখা যায়, ভারতের বিভিন্ন শহরে তেমন দৃশ্যও দেখা গেল। পাকিস্তানের কাছে হার বলে কথা!
আরও পড়ুন- কোহালির ‘বিরাট’ হারের ব্যাখ্যায় মোহিত ক্রিকেটমহল
তবে, বিরাট কোহালিদের চোখে মুখে পরাজয়ের গ্লানি তেমন দেখা গেল না। উল্টে বেশ ফুরফুরেই ছিল টিম ইন্ডিয়া। এর কারণও ব্যাখ্যা দেন অধিনায়ক। ম্যাচের শেষে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে কোহালি বলেন, “আমার মুখে হাসি দেখতে পাচ্ছেন কারণ, আমরা যথেষ্ট পরিশ্রম করে এবং ভাল খেলে ফাইনালে উঠেছি।” পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে বেশ খোশ মেজাজে দেখা যায় টিম ইন্ডিয়াকে। পরাজয়ের গ্লানি সে ভাবে নেই বললেই চলে। আইসিসি তাদের অফিসিয়াল টুইটার পেজে পনেরো সেকেন্ডের একটি ভিডিও পোস্ট করে। সেই ভিডিও-য় পাকিস্তান টিমের সঙ্গে হাসি, ঠাট্টা মশগুল থাকতে দেখা যায় বিরাট, যুবরাজদের। তাঁদের সঙ্গে ছিলেন পাকিস্তানের বোলিং কোচ এবং প্রাক্তন অলরাউন্ডার আজহার মেহমুদ।
দেখুন ভিডিও-
ঘণ্টা খানেক আগেই পাকিস্তানের মতো চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর কাছে গোহারা হেরেছে ভারত। খুইয়েছে পরপর দু’বার চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জেতার সুযোগ। শুধু তাই নয় পাকিস্তানের বিরুদ্ধে জেতার যে ট্র্যাডিশন গড়ে উঠেছিল, তারও ছেদ পড়ল কোহালির অধিনায়কত্বে। যে কারণে, মুছড়ে পড়েন ভারতীয় সমর্থকরা। সোশ্যাল মিডিয়ায় তীর্যক বাক্যবাণের বন্যা। হারার কারণ খুঁজতে বিভিন্ন টেলিভিশনে পোস্টমর্টামে বসে পড়েছেন ক্রিকেট বিশ্লেষকরা।
অন্য দিকে পুরস্কার বিতরণীর সময় ভিন্ন চিত্র দেখা গেল কোহালিদের আবভাবে। হাইভোল্টেজ ম্যাচে এমন শোচনীয় হারের শোক এক লহমায় উড়িয়ে দিয়ে যে ভাবে কোহালিদের ফুরফুরে মেজাজ দেখা গেল, তা ভারতীয় সমর্থকদের একাংশ অবশ্য সুনজরেই দেখছেন। টুইটে অনেকে লিখেছেন, এমনই ছবি দেখতে চায় দুই দেশ। যুদ্ধ নয়। আবার কেউ মন্তব্য করেন, এটাই স্পোর্টসম্যানশিপ। জেন্টালম্যান গেমে হারা জেতা কোনও প্রভাব ফেলে না।
পাকিস্তানের কাছে হারার পর কোহালিদের যে টেম্পারামেন্ট লক্ষ করা গেল তাতে ভবিষ্যতে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের সংজ্ঞা পাল্টে যাবে বলে মনে করছেন ক্রিকেট বিশেষজ্ঞদের একাংশ।