অভিষেকের চেয়ারে গিয়ে বসলেন বিরাট

ডাম্বুলার ড্রেসিংরুমে প্রথম সেই দিনটায় যে চেয়ারে বসেছিলেন, সেটাও খুঁজে পেয়ে গেলেন কোহালি। সেই চেয়ারে বসে তাই ছবি তুলতে ভুললেন না। পরে সেই ছবি টুইট করে তার সঙ্গে লিখলেন, ‘সব কিছু শুরু হয়েছিল এই চেয়ারে বসে। এই তারিখটায়। এই মাঠে।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ১৯ অগস্ট ২০১৭ ০৪:৪৪
Share:

অভাবনীয়: নয় বছর আগে জাতীয় দলে অভিষেকের আগে ঠিক এই চেয়ারেই বসেছিলেন বিরাট কোহালি। শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ওয়ান ডে সিরিজের আগে আবার সেই চেয়ারে বসে ছবি টুইট করলেন ভারতীয় অধিনায়ক।

১৮ অগস্ট, ২০০৮। নয় বছর আগে এই দিনেই তাঁর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক ঘটেছিল। কী আশ্চর্য— এই ডাম্বুলাতেই। বিস্ময়কর শোনালেও সত্যি, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তাঁর নয় বছর পূর্তির দিনটাও ডাম্বুলাতেই কাটালেন বিরাট কোহালি। সে দিনের তরুণ এখন ভারতীয় ক্রিকেটের সব চেয়ে উজ্জ্বল তারকা।

Advertisement

শুধু তা-ই নয়, ডাম্বুলার ড্রেসিংরুমে প্রথম সেই দিনটায় যে চেয়ারে বসেছিলেন, সেটাও খুঁজে পেয়ে গেলেন কোহালি। সেই চেয়ারে বসে তাই ছবি তুলতে ভুললেন না। পরে সেই ছবি টুইট করে তার সঙ্গে লিখলেন, ‘সব কিছু শুরু হয়েছিল এই চেয়ারে বসে। এই তারিখটায়। এই মাঠে। ভারতীয় ক্রিকেট দলের সঙ্গে ন’বছর হয়ে গেল।’ রাত দশটা নাগাদ তাঁর সেই ছবিতে ১৮ হাজার ‘লাইক’ পড়ে গিয়েছে।

ডাম্বুলায় ২০০৮-এর সেই ম্যাচে কোহালি ব্যাট করতে নেমেছিলেন ওপেনার হিসেবে। শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ১২ রান করে আউট হয়ে যান পেসার নুয়ান কুলশেখরের বলে। ভারতীয় দলের জন্যও খুব সুখকর ছিল না সেই ম্যাচ। ৪৬ ওভারে মাত্র ১৪৬ রানেই শেষ হয়ে গিয়েছিল তাদের ইনিংস। যুবরাজ সিংহ ২৩ রান করে দলের সর্বোচ্চ রান স্কোরার ছিলেন। শ্রীলঙ্কা সই ম্যাচ খুব সহজেই জিতে যায় আট উইকেটে। কিন্তু সে দিনের সেই অভিষেক ম্যাচ থেকে দীর্ঘ পথ পেরিয়ে গিয়েছেন কোহালি। এখন তিনি ভারতের সেরা ম্যাচউইনার এবং প্রচুর ম্যাচে দলকে জিতিয়েছেন। শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধেও দারুণ রেকর্ড তাঁর। ছ’টি ওয়ান ডে সেঞ্চুরি করেছেন তাদের বিরুদ্ধে। তার মধ্যে সেরা অবশ্যই ২০১২ সালে করা ১৩৩ রান। মাত্র ৮৬ বলে এই রান করেছিলেন তিনি। ৩২১ তাড়া করতে নেমে ভারত সেই ম্যাচ জিতে গিয়েছিল মাত্র ৩৬.৪ ওভারে। ওয়ান ডে ক্রিকেটে কোহালির প্রথম সেঞ্চুরিও শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে। ২০০৯ সালে ইডেনে। ১১৪ বলে ১০৭ করে ম্যাচ জিতিয়েছিলেন তিনি। সেটাও রান তাড়া করতে নেমে।

Advertisement

এ দিকে, কোহালির নয় বছর পূর্তি নিয়ে আলোচনার মধ্যেই মণীশ পান্ডে বলে গেলেন, তিনি চার নম্বরে ব্যাট করতেই সব চেয়ে বেশি পছন্দ করেন। কিন্তু টিম ম্যানেজমেন্ট যে কে এল রাহুলকে চার নম্বরে খেলাতে চাইছে, সেটা তিনি মেনেই নিচ্ছেন। ‘‘আমি চার নম্বরেই ব্যাট করি। দীর্ঘ দিন ধরে ওখানেই ব্যাট করে আসছি। কিন্তু টিম ম্যানেজমেন্ট ব্যাটিং অর্ডার নিয়ে যা সিদ্ধান্ত নেবে, আমরা সেটা মেনে নিই,’’ বলেছেন মণীশ। অস্ট্রেলিয়ায় সেঞ্চুরি করেছিলেন চার নম্বরে নেমেই, মনে করিয়ে দিয়ে মণীশ বলেছেন, ‘‘চারে নামলে আমি জানি কত ওভার হাতে আছে। সারা জীবন আমি ওখানেই তো ব্যাট করেছি।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন