কোহালি বনাম ইংল্যান্ড ২০১৬
টেস্ট ৪ রান ৬৪০
চেন্নাইয়ে টেস্ট ম্যাচটা যে হচ্ছে সেটাই একটা ভাল খবর। অতীতে অনেক বারের মতো দিনকয়েক আগে শহরটা ভয়ঙ্কর প্রাকৃতিক দুর্যোগে তোলপাড় হয়ে যাওয়ার পর প্রতি বারের মতো এ বারও উঠে দাঁড়িয়েছে এবং আবার হাসছে। ক্রিকেট এমন একটা খেলা যেটা এ দেশের প্রত্যেককে ঐক্যবদ্ধ করে। এমনই একটা ইভেন্ট যা মানুষের মুখে হাসি ফোটায়। চেন্নাইয়ের মানুষ দারুণ ক্রিকেটমনস্ক। টেস্ট ক্রিকেট উপভোগ করেন। আজ যে টেস্ট শুরু হচ্ছে তাতে ভারতীয় দলের তুখোড় ফর্ম দেখে চেন্নাইয়ের দর্শক আনন্দ পাবেন। আবহাওয়া যদি পাঁচ দিনই খেলাটা চলতে দেয়, তা হলে আমি মনে করি ম্যাচের ফয়সালা হবেই। এবং চেন্নাইয়েও ভারতকে হারানো কঠিন।
ইংল্যান্ডের ব্যাটিংটা ভাল। কিন্তু প্রথম টেস্ট বাদ দিলে শেষ তিনটে ম্যাচে ওদের স্পিনাররা বেদম পিটুনি খেয়েছে। এর ফলে মানসিক ভাবে ভারতীয়দের যেটা হচ্ছে, ওদের মধ্যে বিশ্বাস জন্মেছে যে, ব্যাট বা বল যেটাই আমরা আগে করি না কেন, দিনের শেষে জিতেই মাঠ ছাড়ব।
ভারত মনে হয় সিরিজের শেষ টেস্টে আগের ম্যাচের দলই খেলাবে। আর সিরিজ ইতিমধ্যে ওদের পকেটে চলে যাওয়ায় দু’টো পারফরম্যান্সের দিকে সবার নজর থাকবে।
প্রথমটা, বিরাট কোহালি কি ৭৭৪ রান টপকাতে পারবে? টেস্টে এক সিরিজে ভারতীয় ব্যাটসম্যানের সবচেয়ে বেশি রান। যদিও সেটা মিস্টার গাওস্কর করেছিলেন বিদেশের মাঠে।
পরেরটা ডেনিস লিলিকে টপকে রবিচন্দ্রন অশ্বিন টেস্টে সবচেয়ে তাড়াতাড়ি আড়াইশো উইকেটে পৌঁছতে পারবে কি না? দু’টো রেকর্ডই অসাধারণ হবে যদি ওরা সেটা করতে পারে।
ইংল্যান্ডের কথায় আসি। প্রথমেই বলব, আমি ঠিক বুঝে উঠতে পারছি না, অ্যালিস্টার কুক ঠিক কোন উপায়ে এই ম্যাচটা বার করবে! ওর স্পিনারদের দেখে মোটেই মনে হচ্ছে না যে, বিপক্ষের কুড়িটা উইকেট নেওয়ার মতো কার্যকর। সমস্যাটা হল, ওদের চেয়ে ভাল কেউ কুকের হাতেও নেই। কারও দল যদি প্রথম ইনিংসে চারশো তুলেও ম্যাচ হারে, সেই ক্যাপ্টেনের পক্ষে নিজের লড়াইটাও লড়া কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। কুকের এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ওর দলের মধ্যে বিশ্বাসটা ফেরত আনা।
জেমস অ্যান্ডারসন এত সব কথা কোহালি সম্পর্কে বলার পর এই টেস্টে খেলছে না। তাতে অবশ্য কুকের একটুও ঘুমের ব্যাঘাত ঘটবে না। কারণ, এখানকার পরিবেশে অ্যান্ডারসন একেবারেই কার্যকর হচ্ছে না।
সোজা কথায়, চেন্নাই টেস্টকে মনে হচ্ছে ভারত ইতিমধ্যে মানসিক ভাবে জিতে নিয়েছে। চিপকে একটাও ডেলিভারি হওয়ার আগেই!