লঙ্কা জয়ে গতিকে অস্ত্র দেখছে ভারত

শত্রুর ডেরায় কোহলির ভূরিভোজ

শত্রু নিধনের আগে শত্রুদের ডেরায় গিয়ে ভরপেট খেয়ে এলেন বিরাট কোহলি! এবং ভূরিভোজ সেরে এসে বলে দিচ্ছেন, ওহ কী খেলাম! রেস্তোরাঁর নাম ‘মিনিস্ট্রি অব ক্র্যাব’। মালিক কুমার সঙ্গকারা এবং মাহেলা জয়বর্ধনে। যাঁর মধ্যে জয়বর্ধনে অবসর নিলেও শোনা যাচ্ছে ভারত সিরিজে গ্যালারিতে থাকতে পারেন দলকে উৎসাহ দিতে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

কলম্বো শেষ আপডেট: ০৬ অগস্ট ২০১৫ ০৪:০২
Share:

কলম্বোয় কোহলি। মঙ্গলবার সঙ্গকারাদের রেস্তোরাঁয় নৈশভোজ। বুধবার সকালে জিম এবং তার পর টিম নিয়ে ট্রেনিংয়ে। ছবি: টুইটার।

শত্রু নিধনের আগে শত্রুদের ডেরায় গিয়ে ভরপেট খেয়ে এলেন বিরাট কোহলি! এবং ভূরিভোজ সেরে এসে বলে দিচ্ছেন, ওহ কী খেলাম!

Advertisement

রেস্তোরাঁর নাম ‘মিনিস্ট্রি অব ক্র্যাব’। মালিক কুমার সঙ্গকারা এবং মাহেলা জয়বর্ধনে। যাঁর মধ্যে জয়বর্ধনে অবসর নিলেও শোনা যাচ্ছে ভারত সিরিজে গ্যালারিতে থাকতে পারেন দলকে উৎসাহ দিতে। আর সঙ্গকারা তো থাকবেনই বাইশ গজে। জীবনের শেষ টেস্ট খেলতে। কিন্তু বিরাট আপাতত সে সব নয়, মজে আছেন কাঁকড়াতে।

‘‘গত কাল রাতে মিনিস্ট্রি অব ক্র্যাবে দুর্দান্ত একটা ডিনার হল। অনেক ধন্যবাদ মাহেলা এবং সাঙ্গা।’’ মঙ্গলবার রাতে রেস্তোরাঁ থেকে ফিরে টুইটারে ছবি পোস্ট করে লিখেছেন বিরাট কোহলি।

Advertisement

বাইশ গজে শ্রীলঙ্কার দুই কিংবদন্তি ক্রিকেটারের জুটি অনেকবার দেখেছে ক্রিকেট বিশ্ব। এখন রেস্তোরাঁ ব্যবসাতেও জুটি বেঁধেছেন দু’জন। নিজের নতুন এই ইনিংস নিয়ে সঙ্গকারা বলেছেন, ‘‘এটাও আমার একটা স্বপ্ন ছিল। যেটা পূরণ করতে পেরে খুব ভাল লাগছে। আশা করি আপনাদের খুশি করতে পারব।’’

তা, ভারত অধিনায়ক যে খুশি হয়েছেন, তা নিয়ে সন্দেহপ্রকাশের কোনও জায়গা নেই। কলম্বোয় সাংবাদিক সম্মেলনে কোহলির মেজাজেও সেটা স্পষ্ট। অধিনায়কত্ব তাঁর উপর বাড়তি চাপ কি না প্রশ্ন করতেই কোহলি বলেন, ‘‘অধিনায়কত্ব আর ব্যাটিং দুটো আলাদা ব্যাপার। দুটোকে মেশাতে চাই না। আমার মনে হয় না কিছু পাল্টানোর প্রয়োজন আছে।’’ সঙ্গে তিনি আরও বলেছেন, ‘‘সিরিজটায় হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে। দুটো টিমেই তরুণ ক্রিকেটার রয়েছে যাঁরা ভাল পারফর্ম করার ক্ষমতা রাখে।’’

ভারতের ১৯৯৩ থেকে শ্রীলঙ্কায় টেস্ট সিরিজ জয় অধরা। সে প্রসঙ্গ উঠতেই ভারতের অধিনায়ক আবার বলে দিয়েছেন, তিনি এ সব মাথায় না রেখে ভাল ক্রিকেট খেলার কথাই ভাবছেন শুধু। ‘‘শ্রীলঙ্কায় যখন প্রথম ওয়ান ডে সিরিজ খেলতে এসেছিলাম, শুনেছিলাম আমরা এখানে ২৫ বছর ওয়ান ডে সিরিজ জিতিনি। তখনও কোনও চাপ মালুম হয়নি।’’ সঙ্গে তিনি আরও যোগ করেছেন, ‘‘প্রত্যেকটা সিরিজই আমাদের পরিকল্পনার অংশ। যে পরিকল্পনাগুলো আগামী পাঁচ-ছ’বছরে আমরা কাজে লাগাতে চাই।’’

ভারতের বোলিং কোচ ভরত অরুণও আশাবাদী, তাঁর হাতে যা গোলাবারুদ আছে, তাতে শ্রীলঙ্কা ব্যাটিংকে থামাতে পারবেন। বিশেষ করে দুই ফাস্ট বোলারের গতির উপর যথেষ্ট ভরসা রাখছেন বোলিং কোচ। প্রশ্ন উঠেছিল, আপনাদের ফাস্ট বোলাররা কি কিছুটা গতি কমিয়ে লাইন-লেংথের উপর জোর দেবেন? অরুণ বলছেন, ‘‘সে প্রশ্নই উঠছে না। আমি সেটা একদমই চাইব না। আমি মনে করি, অ্যাকশন ঠিক মতো থাকলে গতির সঙ্গে নিশানাটাও ঠিক রাখা যায়। অ্যারন এবং উমেশের কাছে ওটাই চ্যালেঞ্জ হবে। গতির সঙ্গে লাইন-লেংথটা ঠিক রাখা।’’

ভারতীয় দলের এই বোলিং লাইন আপ নিয়ে স্বপ্ন দেখছেন বোলিং কোচ। বলছেন, ‘‘আমাদের ফাস্ট বোলিং কম্বিনেশনটা কিন্তু বেশ ভাল। আমাদের দলে জনা দু’য়েক পেসার আছে যারা ১৪৫-এর উপর গতিতে বল করতে পারে। আমাদের ইশান্ত আছে, যে উইকেট থেকে বাউন্স আদায় করে নিতে পারে। ইদানীং ইশান্ত ধারাবাহিক ভাবে ভাল বলও করছে।’’

অধিনায়ক কোহলির পাঁচ বোলার খেলানোর থিওরির সঙ্গে একমত অরুণও। বলছেন, ‘‘আপনারা যদি সফল টেস্ট টিমগুলোর দিকে দেখেন, তা হলে দেখবেন সবাই পাঁচ বোলার খেলিয়েই সাফল্য পেয়েছে। আমাদের লোয়ার অর্ডারে ভুবি, অশ্বিন, হরভজনরা কিন্তু ভাল ব্যাট করতে পারে।’’

পাকিস্তানের কাছে ঘরের মাঠে তিন ফর্ম্যাটেই হতশ্রী পারফরম্যান্সের চাপ নিয়ে মাঠে নামবে শ্রীলঙ্কা। ভারত আবার উপমহাদেশে তিন টেস্টের সিরিজে নামছে পাঁচ বছর পর। শেষ বার শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধেই টেস্ট সিরিজ ১-১ ড্র হয়েছিল। তবে ভারতের এখন দুশ্চিন্তা, কাল থেকে শুরু সফরের একমাত্র তিন দিনের ম্যাচে বৃষ্টি থাবা বসাবে না তো। শ্রীলঙ্কায় আসার আগে ভারতীয় ‘এ’ দলের হয়ে খেলতে নামলেও সে ভাবে ব্যাটিং প্র্যাকটিস পাননি কোহলি। বাকিদেরও মোটামুটি একই হাল। এই অবস্থায় টেস্ট সিরিজ শুরুর আগে এই ম্যাচটার দিকেই তাকিয়ে আছে ভারতীয় দল।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন