দিল্লিতে একটি অনুষ্ঠানে র্যাম্পে হাঁটলেন বিরাট। ছবি: পিটিআই।
বিজ্ঞাপনের জন্য বেশি সময় দিলে খেলায় তার প্রভাব পড়তে পারে বলে মনে করেন না বিরাট কোহালি। এ ব্যাপারে সমালোচকদের মতকে উড়িয়ে দিয়ে তিনি পাল্টা বলছেন, বিজ্ঞাপন করা মানেই ক্রিকেট থেকে মনঃসংযোগ সরে যাবে, তার কোনও মানেই নেই।
এই মুহূর্তে ভারতীয় ক্রিকেটে তো বটেই, বিশ্ব ক্রিকেটেও সব চেয়ে দামী খেলোয়াড় কোহালিই। একাধিক পণ্যের মুখ তিনি। ভারতীয় ক্রিকেটারদের মধ্যে কোহালি এবং ধোনিই বিজ্ঞাপন জগতে সব চেয়ে জনপ্রিয় এবং ব্যস্ত দুই নাম। বিজ্ঞাপন নিয়ে এই ব্যস্ততার মধ্যেও গত চার-পাঁচ বছরে সব চেয়ে সফল ভারতীয় ক্রিকেটারও কোহালিই। তিনি বলছেন, ‘‘আমি ২৫-২৬ বছর বয়সে বিজ্ঞাপন জগতে এসেছিলাম। তখনও অনেকে বলাবলি করেছিল, মাত্র ২৫ বছর বয়সে আমি ব্যবসায় ঢুকছি। এত ছোট বয়সে কী দরকার ছিল!’’
তবে ভারত অধিনায়ক মেনে নিচ্ছেন, বিজ্ঞাপন জগতে সময় দেওয়া বা ব্যবসা-বাণিজ্য করার সঙ্গে খেলাকে গুলিয়ে ফেললে চলবে না। দু’টো দিকের মধ্যে ভারসাম্য রক্ষা করা সব চেয়ে জরুরি। একই সঙ্গে তিনি মনে করেন, সেই ভারসাম্য রক্ষা করা সম্ভবও। ‘‘পেশাদার ক্রীড়াবিদ হিসেবে কোনও নির্দিষ্ট বয়স থাকে না কখন আপনি ব্যবসা শুরু করতে পারেন। যখনই শুরু করুন না কেন, সেটাকে দাঁড় করাতেও হবে। একটা ধারণা আছে যে, অমুক বয়স না হলে এ সব করা উচিত নয়। আমি সেই ভাবনার সঙ্গে একমত নই,’’ দিল্লিতে একটি পণ্যের অনুষ্ঠানে এসে বলেছেন কোহালি।
খেলতে খেলতে বিজ্ঞাপন করা উচিত নয় বলেও তিনি মানেন না। ক্রীড়া ইতিহাসে অনেক খেলোয়াড়ই যদিও খেলতে খেলতে বিজ্ঞাপন করেছেন। ‘‘খেলার সময়ে বিজ্ঞাপন করা যাবে না কেন? তাতে খেলার উপর প্রভাব পড়ে বলে আমি বিশ্বাস করি না,’’ বলেছেন তিনি। ওয়েস্ট ইন্ডিজের সঙ্গে চলতি টি-টোয়েন্টি সিরিজ থেকে বিশ্রাম নিয়েছেন কোহালি। এর পর সোজা তাঁকে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতেই দেখা যাবে। আগামী ১৬ নভেম্বর তিনি দল নিয়ে রওনা হচ্ছেন অস্ট্রেলিয়া সফরে। ডনের দেশে ব্যাটসম্যান হিসেবে দারুণ রেকর্ড তাঁর। গত সফরেই চার টেস্টে চারটি সেঞ্চুরি করেছিলেন তিনি। সেই সফরে মহেন্দ্র সিংহ ধোনির অনুপস্থিতিতে প্রথম দু’টি টেস্টে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন কোহালি। এই প্রথম তিনি পাকাপাকি অধিনায়ক হিসেবে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে টেস্টে নেতৃত্ব দেবেন এবং ইংল্যান্ডে সিরিজ হারার পরে অগ্নিপরীক্ষা হতে চলেছে বিরাটের।