সুরেশ রায়না, অজিঙ্ক রাহানে এবং বিরাট কোহলির মধ্যে মিল কী?
এঁরা ভারতীয়, জাতীয় দলে শুধু খেলেন বলে নয়। এঁরা সবাই এখন সচিন রমেশ তেন্ডুলকরের ছাত্র!
কী রকম?
ইংল্যান্ডে ওয়ান ডে সিরিজ খেলতে যাওয়ার আগে রায়না, সফর শেষে ফিরে রাহানে এবং সবশেষে বিরাট— সচিনের ‘গুরুকুলে’ এখন একে একে সবাইকেই দেখা যাচ্ছে। ঠিকানা একই— বান্দ্রা কুর্লা কমপ্লেক্স।
দিন কয়েক আগেই যেখান থেকে ঘুরে গিয়েছেন রাহানে। শুক্রবার বান্দ্রা কুর্লা কমপ্লেক্সে আচমকাই হাজির হয়ে যান বিরাট। ঘণ্টা দু’য়েক কাটিয়ে যান সচিনের সঙ্গে।
সদ্যসমাপ্ত ইংল্যান্ড সফরে ব্যাটিং ফর্ম জঘন্য গিয়েছে বিরাটের। টেস্টে গড় চোদ্দো পেরোয়নি, ওয়ান ডে সিরিজে কুড়িও না। বারবার অফস্টাম্পের বাইরের ডেলিভারিতে খোঁচা দিয়ে আউট হয়েছেন। খারাপ ফর্ম এতটাই মারাত্মক প্রভাব ফেলেছে বিরাটের ব্যাটিংয়ে যে, তিনিই এখন ভারতের সেরা ব্যাটসম্যান কি না তা নিয়ে জোরালো প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। জিওফ্রে বয়কেটর মতো প্রবাদপ্রতিম ক্রিকেটার বলে দিয়েছেন, বিরাটের উচিত টেকনিক পাল্টানো।
এবং টেকনিক শুধরে দেওয়ার ব্যাপারে সচিনের চেয়ে সেরা আর কে আছেন?
বান্দ্রা কুর্লা কমপ্লেক্সে সচিনের সামনে ঠিক কী কী করলেন বিরাট?
বোর্ডের স্পেশ্যাল অ্যাকাডেমির ব্যাটিং কোচ লালচাঁদ রাজপুত উইকেটে একটা অফস্টাম্প লাইন মার্ক করে দিয়েছিলেন। যেখানে নাগাড়ে বল ফেলতে বলা হচ্ছিল মুম্বইয়ের অনূর্ধ্ব-২৩ পেসারদের। শুধু তাই নয়, বান্দ্রা কুর্লার সবচেয়ে দ্রুতগতির প্র্যাকটিস উইকেটে নামিয়ে দেওয়া হয় বিরাটকে। প্রথমে ভাল রকম অস্বস্তিতে পড়ে গিয়েছিলেন বিরাট। সচিন তখন আম্পায়ারের জায়গায় দাঁড়িয়ে। বিরাটকে ঝামেলায় পড়তে দেখে আম্পায়ারের জায়গা থেকে নেটের পাশে চলে যান সচিন। ওখান থেকেই ভারতীয় ক্রিকেটের বর্তমানকে একের পর এক টিপস দিতে থাকেন।
একটা সময় দেখা যায় যে, প্রত্যেকটা ডেলিভারি খেলার আগে সচিনের সঙ্গে কথা বলে নিচ্ছেন বিরাট। স্টান্স, পায়ের মুভমেন্ট কী হবে, স্টাড ঠিক আছে কিনা সব ব্যাপারে সচিনের সঙ্গে কথা বলতে দেখা যায় বিরাটকে।
পরে লালচাঁদ রাজপুত বলে দেন, “অফস্টাম্পের বাইরের বল কী ভাবে খেলবে, সে সবই সচিনের সঙ্গে কথা বলে দেখে নিল বিরাট। খুব তাড়াতাড়িই বোঝা যাবে ওর ফর্ম কী অবস্থায় আছে। ওর মতো প্লেয়ারের খুব বেশি সময় লাগবে না ফর্মে ফিরতে।”
যা খবর, এখন বেশ কয়েক দিন সচিনের ক্লাসে থাকবেন বিরাট।