ছন্দে: প্রস্তুতি ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ৩ উইকেট তুলে অধিনায়ককে চিন্তামুক্ত করলেন শামি। ছবি: এএফপি
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে খেলতে নামার আগে কিছুটা স্বস্তি পেতে পারেন বিরাট কোহালি। রবিবার ওভালে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রথম প্রস্তুতি ম্যাচে তাঁর দলের পেস আক্রমণকে যথেষ্ট বিপজ্জনক দেখিয়েছে। আর তিনি নিজে প্রথম ইনিংসেই সাবলীল ব্যাট করেছেন।
বিরাটকে স্বস্তি দিতে পারে মহম্মদ শামির ফর্মও। আইপিএলে চোটের জন্য প্রথম দিকের অনেক ম্যাচ খেলেননি শামি। পরের দিকে খেললেও সে রকম বিধ্বংসী ছিলেন না। কিন্তু ওভালের প্রস্তুতি ম্যাচে পুরনো শামির ঝলক দেখা গিয়েছে নতুন বল হাতে।
জাতীয় দলের জার্সিতে প্রথম স্পেলেই তিন ব্যাটসম্যানকে তুলে নিয়ে নিউজিল্যান্ডকে বড় ধাক্কা দেন শামি। যার পরে আর সে ভাবে ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি কেন্ উইলিয়ামসের দল। মাত্র ১৮৯ রানে থেমে যায় তারা।
এর পর ব্যাট করতে নেমে বৃষ্টিতে খেলা বন্ধ হওয়ার সময় ভারতের স্কোর ছিল ২৬ ওভারে ১২৯-৩। অধিনায়ক বিরাট কোহালি ব্যাট করছিলেন ৫২ রানে। ম্যাচ শেয পর্যন্ত আর শুরু করা যায়নি। ডাকওয়ার্থ-লুইস নিয়মে ভারত জিতে যায় ৪৫ রানে।
ভারত কী কম্বিনেশন প্রথম ম্যাচে নামায়, তা নিয়ে আগ্রহ ছিল অনেকেরই। দেখা গেল, রবিবার কোহালি নতুন বল তুলে দিলেন শামি এবং হার্দিক পাণ্ড্যের হাতে। শামি উইকেট পেলেও হার্দিক কিন্তু ৬ ওভারে দেন ৪৯ রান। যার পরে মনে করা হচ্ছে, নতুন বলে হয়তো হার্দিকে আর ভরসা করতে পারবেন না কোহালি। ১৯৮৩ সালের বিশ্বকাপজয়ী ক্রিকেটার মদন লাল বলেছেন, ‘‘হার্দিক একটু শর্ট অব লেংথের ওপর বল করে। ইংল্যান্ডে কিন্তু ওকে লেংথ বদলাতে হবে। শর্ট বল করলে ইংল্যান্ডে ও মার খেয়ে যাবে। রবিবার যেমন হল।’’
আরও পড়ুন: ফের বল বিতর্কে ডিভিলিয়ার্সরা
মদন লাল মনে করেন, কোহালির উচিত ভুবনেশ্বর কুমার এবং উমেশ যাদবকে দিয়ে বোলিং ওপেন করানো। ‘‘ওরা দু’জনে ইংল্যান্ডের পক্ষে আদর্শ বোলার। ফুল লেংথ বল করে। দু’দিকেই বল সুইং করাতে পারে। উমেশ তো নিয়মিত ১৪০ কিলোমিটার গতিতে বল করে। ওরাই আদর্শ জুটি হতে পারে,’’ বলছেন মদন। শনিবার ভুবনেশ্বর তিন এবং উমেশ এক উইকেট নেন।
রবিবার ভারতের প্রস্তুতি ম্যাচ দেখার পরে পাকিস্তানের প্রাক্তন অধিনায়ক রামিজ রাজা বলেছেন, ‘‘ভারতকে এই ম্যাচে দেখে কিন্তু খুব জমাট দল লাগল। দেখে মনে হচ্ছে, ভারতের বোলিংয়ের দাপট ব্যাটিংয়ের চেয়ে বেশি। এ রকম চললে ওদের ব্যাটিং পুরো ক্ষমতা অনুযায়ী না খেললেও ভারত ম্যাচ জিতে যাবে।’’ ভারতীয় ব্যাটিংয়ে কোহালি ছাড়া রান পেয়েছেন শিখর ধবন (৪০)। ভারতের টপ অর্ডার ব্যাটিংয়ে রান পাননি অন্য ওপেনার অজিঙ্ক রাহানে (৭) এবং দীনেশ কার্তিক (০)। মহেন্দ্র সিংহ ধোনি ৭ রানে অপরাজিত থাকেন। কিন্তু সে রকম প্র্যাকটিস পেলেন না।
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ভারতের প্রথম লড়াই পাকিস্তানের সঙ্গে। তার আগে দুই টিমকে দেখার পরে রামিজের মতো ক্রিকেটাররা কিন্তু ভারতকেই এগিয়ে রাখছেন। প্রাক্তন পাক তারকা মনে করছেন, সরফরাজ আহমেদের দলের পক্ষে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে খুব ভাল কিছু করা কঠিন। নিজের দল পাকিস্তান নিয়ে রামিজের বক্তব্য, ‘‘পাকিস্তানের খেলার ধরনটা এখনও সেই নব্বইয়ের দশকের মতো রয়ে গিয়েছে। আধুনিক ক্রিকেটে জিততে গেলে খেলাটাকে বদলাতে হবে।’’
ভারতের দ্বিতীয় এবং শেষ প্রস্তুতি ম্যাচ, মঙ্গলবার বাংলাদেশের বিরুদ্ধে। রবিবার বৃষ্টিতে ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের ভাল মতো ম্যাচ প্র্যাকটিস হয়নি। কোহালিরা নিশ্চয়ই চাইবেন, শেষ ড্রেস রিহ্যার্সালে অন্তত ব্যাটিং প্র্যাকটিসটা সেরে নিতে।