রেকর্ড করে ফেলেছেন জানতেনই না বিরাট কোহালি। এশিয়ার বাইরে এত বড় জয় আগে পায়নি ভারত। ম্যাচের চতুর্থ দিনই ম্যাচ নিজের দখলে নিয়ে নেয় ভারত। ৯২ রানে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়ে সাংবাদিক সম্মেলনে যখন এই প্রশ্নের সামনে পড়তে হল অধিনায়ক বিরাট কোহালিকে। তখন তিনি হতবাক। জানতেনই না এশিয়ার বাইরে এটা ভারতের সর্বোচ্চ জয়। বলেই ফেললেন, "সত্যি? আমি জানতাম না। দারুণ লাগছে এটা ভেবে যে জয় দিয়ে শুরু করলাম। যেটা খুব ভাল। তিন সপ্তাহ তৈরি হওয়ার জন্য অনেকটাই সময় পেয়েছিলাম। আমরা সবাই খুব উচ্ছ্বসিত। পুরো দল মিলে একটা সম্পূর্ণ পারফর্মেন্স দিতে পেরেছি।"
কোহালি জোর দিচ্ছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে বড় রান পাওয়াটাকেই। তাঁর মতে এখানে রান তোলা সহজ নয়। বলেন, "এখানে রান করা সহজ ছিল না। ওয়েস্ট ইন্ডিজ শুরুতে ভালই বল করছিল। ৭০ রানে ২ উইকেট হারানোর পর পাঁচ ব্যাটসম্যান নিয়ে বড় রান তোলা সহজ ছিল না। ওখান থেকে দায়িত্ব নেওয়াটা দরকার ছিল। শিখর খুব ভাল খেলেছে। আমি পজিটিভ থাকতে চেয়েছিলাম। এই টেস্ট জিততে হলে দ্রুত রান তুলে বোলারদের প্রতিপক্ষকে বল করতে পাঠানো।" শিখর ধবনের পর অশ্বিনের প্রশংসাও শোনা গেল বিরাটের গলায়। অশ্বিন নিজেকে আরও একবার অল-রাউন্ডার হিসেবে তুলে আনলেন। বিরাট বলেন, "পরে ব্যাট করতে নেমে অসাধারণ ইনিংস খেলে অশ্বিন। যদি আমরা পাঁচ ব্যাটসম্যানে খেলি তা হলে তা হলে লোয়ার অর্ডারেও ব্যাট করতে পারতে হবে। সাতে যেমন ঋদ্ধিমান সাহা রয়েছে। অশ্বিন ছয়ে নেমে ব্যাট করতে পারে। অফ-স্পিনারের আগে ও একজন ভাল ব্যাটসম্যান।"
বিরাটের মতে এমন প্লেয়ার দলে থাকলে অনেক পবেশি সুবিধে হয় যারা ব্যাট ও বলে সমান দক্ষ। বলেন, "আমাদের প্রথম লক্ষ্য ছিল তিন স্পিনারে খেলা। কিন্তু পিচে ঘাসের পরিমান বেশি থাকায় আমরা সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করি। ইশান্ত খুব ভাল বল করলেও উইকেট পায়নি। কিন্তু শামি ও উমেশ দুরন্ত বল করেছে।" তবে আত্মতুষ্ট নন বিরাট। ম্যাচের সেরা অশ্বিন প্রথম ইনিংসে সেঞ্চুরির করার পর দ্বিতীয় ইনিংসে বল হাতে নিয়েছেন সাত উইকেট। বলেন, "ইনিংসে আমি আমার ছন্দ খুঁজে পাইনি। কিন্তু লাঞ্চের পর বিরাট আমাকে অনেকটা স্পেল বল করতে দেয়। আমি আমার ছন্দ খুঁজে পেতে কাজ করছিলাম। অনিলভাইও অনেক সাহায্য করেছে।"
আরও খবর
টেস্টে ‘বিরাট’ জয়ে যে নজিরগুলো গড়ল ভারত