ভারতে এসেছি আনন্দ দিতে: ক্রিস গেইল

ধ্বংসাত্মক। মারাত্মক। সেরা টি-টোয়েন্টি ব্যাটসম্যান। ভারতে পা রাখার পর থেকেই ডারেন স্যামি কথাগুলো বলে আসছিলেন টিমের সেরা ব্যাটিং তারকাকে নিয়ে। ক্যারিবিয়ান ক্যাপ্টেনের কথায় যেন আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে নেওয়ার একটা মরিয়া চেষ্টা।

Advertisement
মুম্বই শেষ আপডেট: ১৭ মার্চ ২০১৬ ০৩:৪৭
Share:

৪৮ বলে অপরাজিত ১০০। wwওয়াংখেড়ের ক্রিস গেইল।-রয়টার্স

ধ্বংসাত্মক। মারাত্মক। সেরা টি-টোয়েন্টি ব্যাটসম্যান।

Advertisement

ভারতে পা রাখার পর থেকেই ডারেন স্যামি কথাগুলো বলে আসছিলেন টিমের সেরা ব্যাটিং তারকাকে নিয়ে। ক্যারিবিয়ান ক্যাপ্টেনের কথায় যেন আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে নেওয়ার একটা মরিয়া চেষ্টা।

মিডল অর্ডারে কায়রন পোলার্ড নেই, দলের এক নম্বর স্পিনার সুনীল নারিন নেই, কী ভাবে সামলাবেন তাঁদের অভাব? স্যামির একটাই উত্তর ছিল, ‘‘আরে গেইল আছে তো। ওর উপর চাপ ব্যাপরটা কখনই সে রকম প্রভাব ফেলতে পারে না।’’

Advertisement

ঠিক তার চব্বিশ ঘণ্টা পর ওয়াংখেড়ে কাঁপিয়ে তিনি বুঝিয়ে দিলেন ক্যাপ্টেন ভুল বলেননি। তিনি— ক্রিস্টোফার হেনরি গেইল।

বুধ-রাতে যাঁর ৪৮ বলে অপরাজিত ১০০ রানের ইনিংসের দাপটে ইংল্যান্ডকে ছ’উইকেটে হারাল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। শুধু তাই নয়, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নিজের উপস্থিতিটাও যেন সদর্পে জানিয়ে দিলেন গেইল, ‘ওহে আমিও খেলছি বিশ্বকাপ। মনে রেখ।’

ইংল্যান্ডের ১৮৩ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে এগারো বল বাকি থাকতেই ক্যারিবিয়ানদের জেতান গেইল। পাঁচটা বাউন্ডারি আর ১১টি ছক্কা হাঁকানো ইনিংসের পর এও বললেন, রীতিমতো ভাল প্রস্তুতি নিয়েই এসেছেন এ বার। সঙ্গে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দ্রুততম সেঞ্চুরি (৪৭ বলে) করার পথে এ ভাবে জ্বলে ওঠার রহস্যও ফাঁস করেন ক্যারিবিয়ান সম্রাট। ‘‘মাঠে নামার আগে সতীর্থ সুলেমান বেন বলছিল ক্রিস তুমি ব্যাটিংয়ে এত আনন্দ দাও দর্শকদের। আজ সে ভাবেই আমায় আনন্দ দাও। ওর কথাটাই আমাকে তাতিয়ে দেয়।’’ সঙ্গে আরও বলেন, ‘‘ভারতে এসেছি আনন্দ দিতে। পরের ম্যাচ বেঙ্গালুরুতে। আমার হোম টাউন। আশা করছি সেখানেও শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে এ ভাবে আনন্দ দিতে পারব।’’

রান তাড়ায় নেমে প্রথম ওভারে জনসন চার্লস ফিরে গেলেও ওয়েস্ট ইন্ডিজকে চাপে মনে হয়নি কখনও। যার জন্য মার্লন স্যামুয়েলসকে কৃতিত্ব দিতে ভুললেন না গেইল। যাঁর সঙ্গে ৫৫ রানের পার্টনারশিপে এ দিন জয়ের ভীত গড়েন তিনি। ‘‘প্রথম ওভার ফেস করার কিছুক্ষণ পর স্ট্রাইক পেয়েছিলাম। মার্লন ততক্ষণে চাপটা অনেকটা কমাতে সাহায্য করেছে। আমাদের টার্গেট ছিল আস্কিং রান রেট দ্রুত কমিয়ে ফেলা। ম্যাচ শেষ করার ব্যাপারটা অন্য কারও হাতে না ছেড়ে নিজেই যে সারতে পারলাম তাতে খুব খুশি।’’

আর সেলিব্রেশন? কী ভাবে এ রকম একটা ইনিংসে বিশ্বকাপ অভিযান শুরু করার উৎসব হবে? গেইল তাড়াতাড়ি বলে ওঠেন, ‘‘সেলিব্রেশন হবে চ্যাম্পিয়ন হলে। ডিজে ব্র্যাভো আর ওর নতুন গানে।’’

সত্যি, গেইল ঝড় চলতে থাকলে ক্যারিবিয়ানদের সেলিব্রেশনের প্রস্তুতি কিন্তু আগেভাগেই শুরু হয়ে যাবে!

সংক্ষিপ্ত স্কোর: ইংল্যান্ড ১৮২-৬ (রুট ৪৮, রাসেল ২-৩৬), ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১৮৩-৪ (গেইল ১০০ ন.আ, স্যামুয়েলস ৩৭)।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন