ধারাবাহিকতার বিচারে আইপিএলের যে কোনও দলকে টেক্কা দিতে পারে চেন্নাই সুপার কিঙ্গস। ২০০৮-এ মহেন্দ্র সিংহ ধোনির নেতৃত্বে প্রথম আইপিএলেই ফাইনালে পৌঁছেছিল সিএসকে। তবে সে বার রাজস্থান রয়্যালসের কাছে ট্রফি হারিয়েছিল তারা। সেই দলের প্রথম একাদশের ক্রিকেটাররা এখন কী করছেন, জানেন?
পার্থিব পটেল। ম্যাথু হেডেনের সঙ্গে মিলে সিএসকে-র প্রথম ম্যাচে ওপেন করতে নেমেছিলেন পার্থিব। সে বার ১০ বলে ১৫ রান করেছিলেন তিনি। ভারতীয় দলে কখনই নিজের জায়গা পাকা করতে পারেননি পার্থিব। গত দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে ঋদ্ধিমান সাহার চোট পাওয়ায় টেস্ট দলে জায়গা পান তিনি।
আইপিএলে সিএসকে-র প্রথম ম্যাচে ১৭ বলে ২৫ রান করেছিলেন ম্যাথু হেডেন। ২০১০-এ তাঁকে শেষ বারের মতো আইপিএলে দেখা গিয়েছে। ক্রিকেট ভাষ্যকার হিসেবেই এখন কাজ করেন হেডেন।
সিএসকে-র হয়ে দ্বিতীয় ম্যাচেই শতরান বেরিয়েছিল ‘মিস্টার ক্রিকেট’ মাইকেল হাসির ব্যাট থেকে। আসন্ন আইপিএলেও দেখা যাবে তাঁকে। তবে বাইশ গজে নয়, সিএসকে-র ব্যাটিং কোচ হিসেবেই কাজ করবেন তিনি।
সিএসকে-র হয়ে প্রথম ম্যাচে মাত্র ২ রান করেছিলেন মহেন্দ্র সিংহ ধোনি। প্রথম আইপিএল থেকেই অধিনায়কের দায়িত্বে রয়েছেন তিনি। চলতি বছরেও অধিনায়কের ভূমিকায় দেখা যাবে তাঁকে।
আইপিএলের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি রান সংগ্রহকারী সুরেশ রায়না। সিএসকে-র হয়ে প্রথম ম্যাচে মাত্র ১৩ বলে ৩২ রান করেছিলেন তিনি। টেস্ট দলে জায়গা পাকা না হলেও ইন্ডিয়ান টি-টোয়েন্টি দলে নিজের জায়গা করে নিয়েছেন রায়না।
নিউজিল্যান্ডের প্রাক্তন অলরাউন্ডার জেকব ওরাম সিএসকে-র হয়ে প্রথম ম্যাচে ১৩ রানেই আউট হয়ে যান। বল হাতেও বেশ রান দিয়ে ফেলেন তিনি। ওরামের ৪ ওভারে ৩৭ রান ওঠে। অবসরের পর ২০১৪-তে নিউজিল্যান্ড ‘এ’ দলের বোলিং কোচ হয়েছিলেন। ফাস্ট বোলার অ্যাডাম মিলনের মেন্টর হিসেবে এখন কাজ করছেন ওরাম।
সিএসকে-র হয়ে প্রথম ম্যাচে এস বদ্রিনাথ করেছিলেন ১৪ বলে ৩১ রান। নির্ভরযোগ্য ব্যাটম্যান হিসেবে নাম করলেও ভারতীয় দলে কখনই স্থায়ী জায়গা হয়নি তাঁর। ঘরোয়া ক্রিকেটে এই মুহূর্তে হায়দরাবাদের নিয়মিত সদস্য বদ্রি।
যোগিন্দর শর্মাকে অনেকেই মনে রেখেছেন, ২০০৮-এর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয়ী দলের সদস্য হিসেবে। শেষ ওভারে তাঁর বলেই মিসবা উল হককে আউট করেছিলেন তিনি। সিএসকে-র হয়ে প্রথম আইপিএলে ৮ ম্যাচে ৮টি উইকেট পেয়েছিলেন তিনি। হরিয়ানার রঞ্জি দলের সদস্য যোগিন্দর রাজ্য পুলিশের ডেপুটি সুপারও বটে।
প্রথম আইপিএলে মনপ্রীত গোনির পারফরম্যান্স ছিল দেখার মতো। সে বার ১৮টি ম্যাচে ১৭ উইকেট তুলে নিয়েছিলেন তিনি। পঞ্জাবের হয়ে এখন ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলেন গোনি।
তামিলনাড়ুর হয়ে খেলেছেন এমন ফাস্ট বোলারদের অন্যতম ছিলেন পালানি অমরনাথ। সিএসকে-র হয়ে প্রথম ম্যাচে ৪ ওভারে ৪২ রান দিয়েছিলেন তিনি। তামিলনাড়ু প্রিমিয়ার লিগে মাদুরাই সুপার জায়ান্টের হয়ে খেলেন অমরনাথ।
শ্রীলঙ্কা ক্রিকেটের কিংবদন্তি মুথাইয়া মুরলীধরণ প্রথম আইপিএলে ১৫ ম্যাচে ১১টি উইকেট নিয়েছিলেন। ইকনমি রেট ছিল ৬.৯৮। চলতি আইপিএলে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের মেন্টর এবং বোলিং কোচ হিসেবে কাজ করবেন তিনি।