শ্রীলঙ্কায় সাংবাদিক সম্মেলনে ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহালি। ছবি: রয়টার্স।
শ্রীলঙ্কা সফরে লোকেশ রাহুলের সঙ্গে কে নামবেন ওপেন করতে? ভারতীয় শিবিরে এখন এটাই সব থেকে বড় গুঞ্জন। বুক দুরুদুর অবস্থায় এই মুহূর্তে প্রমাদ গুনছেন শিখর ধবন ও অভিনব মুকুন্দ। মুরলী বিজয় দলে থাকলেও চোট পুরোপুরি সেরে না ওঠায় তাঁকে বাদ দিয়ে দলে নেওয়া হয়েছে শিখর ধবনকে। বাড়তি ওপেনার হিসেবে আগে থেকেই দলে ছিলেন অভিনব মুকুন্দ। কিন্তু গল টেস্টে ওপেন করতে কে নামবেন সেটা নিয়ে অনেকটাই ধোঁয়াশা রেখে দিয়েছে টিম ম্যানেজমেন্ট।
আরও খবর: দ্বিতীয় বছর ১০ শতাংশ মাইনে বাড়বে শাস্ত্রীদের
ভারতীয় দল শ্রীলঙ্কা পৌঁছেছে বুধবারই। বৃহস্পতিবার বিরাট কোহালি জানিয়ে দিলেন, মুরলীর না থাকাটা দূর্ভাগ্যজনক। কিন্তু এই পরিস্থিতিতে শিখর ধবন বা অভিনব মুকুন্দের উপর কোনও চাপ থাকবে না সেটাও জানিয়ে দিয়েছেন অধিনায়ক। বলেন, ‘‘সকলেই দলে আসে নিজের সেরাটা দিতে। চোট, খেলার একটা খুব দূর্ভাগ্যজনক অংশ। বিজয় রিহ্যাব থেকে সদ্য ফিরে একটা ম্যাচ খেলেই বুঝতে পেরেছে ও এখনও পুরোপুরি সুস্থ নয়। তার পরই ও নির্বাচকদের জানায়। এটাই সততা।’’
শ্রীলঙ্কা কোচ, অধিনায়কের সঙ্গে ভারতের কোচ, অধিনায়ক।ছবি: এএফপি।
যদিও বিরাট কোহালি দু’জনের প্রশংসাই করেছেন। লোকেশ রাহুল নিশ্চিত ওপেন করতে নামছেন। তাঁর সঙ্গী কে হবে জানতে চাইলে বিরাট বলেন, ‘‘অভিনব রয়েছে দলে, ও অনেক ডোমেস্টিক ক্রিকেট খেলেছে। শেষবার শিখর সেঞ্চুরি পেয়েছে। শেষ টেস্টে ধর্মশালায় ওপেন করেছে পূজারা। তাই কে ওপেন করে সেই সিদ্ধান্ত নেওয়াটাই সব থেকে কঠিন।’’ কিন্তু বিরাট কোহালির বিশ্বাস যেই খেলুক না কেন সে তাঁর সেরাটাই দেবে। এর মধ্যেই অধিনায়ক এটাই পরিষ্কার করে দিয়েছেন, শ্রীলঙ্কাকে তাঁরা সহজভাবে নিচ্ছেন না। বরং তিনি অতীতের কথা টেনে বলেছেন, ‘‘আমরা দু’বছর আগে অস্ট্রেলিয়া সফর সেরে এখানে এসেছিলেন। সেই সময় আমাদের র্যাঙ্কিংয় ছয় বা সাত ছিল। সেই সময়ই বুঝেছিলাম শ্রীলঙ্কা সহজ সফর নয়।’’
অধিনায়ক হিসেবে ২০১৫তে প্রথম টেস্ট সিরিজে শ্রীলঙ্কায় এসেছিলেন বিরাট। রহ্গনা হেরাথ প্রসঙ্গে বিরাট বলেন, ‘‘ও দারুণ বোলার। ওকে সামলানোর রাস্তা খুঁজে বের করতে না পারলে, তা হলে অতীতে সে যেটা গলে করেছিল সেটাই হবে। কী ভাবে কাউন্টার করতে হবে সে দিকে তাকিয়ে থাকতে হবে। যদি টানা ভুল হতে থাকে তা হলে দল হিসেবে উন্নতি করা যাবে না।’’