পুণের নেটে কোহালি। ছবি: পিটিআই।
ভারত-ইংল্যান্ড ওয়ান ডে সিরিজ শুরুর আগে ভারতীয় ক্রিকেটভক্তদের বলব আবেগে ভেসে না যেতে। হ্যাঁ, আপনারা নিশ্চয়ই কয়েকটা ব্যাপারে আপ্লুত। বিরাটের ওয়ান ডে নেতৃত্বে আরোহন, নতুন ভূমিকায় ধোনি বা যুবরাজ-শিখরকে ফের সুযোগ— এগুলো তো আছেই। দলে নানা রকম বোলার এবং অলরাউন্ডার রয়েছে। তার উপর খেলা ঘরের মাঠে। তবু বলি, ব্যাপারটা অত সহজ হবে না। টিমটা ভাঙাগড়ার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। একেবারে নিখুঁত হতে গেলে ঘষামাজা দরকার। টিমের কেউ কেউ প্রমাণিত যোদ্ধা, কেউ এখনও নয়, কেউ বা প্রত্যাবর্তন ঘটাচ্ছে। একেবারে শুরু থেকেই হয়তো সবাই মিলে ঝাঁপিয়ে পড়া যাবে না।
এগুলো বলছি কারণ এই ইংল্যান্ড ওয়ান ডে-তে যথেষ্ট সম্মান দাবি করে। রক্ষণাত্মক খেলে না। বিপক্ষের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। বেন স্টোকস, জনি বেয়ারস্টো, জস বাটলার আর ইয়ন মর্গ্যানকে আমরা সবাই চিনি। আর এরা তো শুধু মিডল অর্ডার। ল্যাজা-মুড়োও সমান বিস্ফোরক।
স্পিনের লড়াইটা টেস্টের মতোই হবে। অশ্বিন-জাডেজা বনাম মইন-রশিদ। তবে বিরাট স্পিনারদের আরও আক্রমণাত্মক লাইনে বল করতে বলতে পারে। রান আটকানোর চেয়ে উইকেট তোলা ওর বেশি পছন্দ। ধোনি জমানা থেকে এই তফাতটাই বোধহয় প্রথম দেখা যাবে। ধোনির সময়ে রানের স্রোত শুকিয়ে দেওয়াটা প্রচণ্ড গুরুত্বপূর্ণ ছিল।
আর একটা তফাত হতে পারে ফিনিশারের খোঁজ। এখন ধোনিকে উপরের দিকে খেলানো হতে পারে। ফিনিশারের কাজটা কিন্তু খুব জরুরি। আমার তো মনে হয়, এই জায়গাটাই হার-জিত ঠিক করে দেয়। পাঁচ বা ছয়ে কে নামছে, তার উপর আমাদের সবার নজর থাকবে।
ক্রিকেট মাঠের বাইরের টালমাটাল পরিস্থিতির মধ্যে নির্বাচকেরা সুন্দর ধারাবাহিকতা বজায় রেখেছেন। ওঁরা টুকরোগুলো নতুন করে সাজাচ্ছেন। তাতে যদি তাক থেকে ধুলো ঝেড়ে কয়েকটা টুকরো নামাতে হয়, সেটাও করা হচ্ছে। গম্ভীর, পার্থিব, যুবরাজরা এই নীতিতে উপকৃত হয়েছে। তরুণ হৃদয় আর তারুণ্য পেরোতে চলা পা জোড়া— দুইয়ের কাছেই এটা অনুপ্রেরণা।