আশঙ্কায় দ্রাবিড় থেকে চ্যাপেল

গেইলদের ঘাতক ব্যাটে না জীবনহানি ঘটে আইপিএলে

আসন্ন আইপিএলে দর্শকরা সুরক্ষিত থাকবেন তো? বোলার আর আম্পায়ারদের জীবনহানির আশঙ্কা তৈরি হবে না তো? ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরা কিন্তু এমন আশঙ্কা উড়িয়ে দিচ্ছেন না। মাইকেল হোল্ডিং, ইয়ান চ্যাপেল, রাহুল দ্রাবিড় আর মার্টিন ক্রোকে নিয়ে একটি ওয়েবসাইটের আলোচনায় এমনই আশঙ্কা উঠে আসল। ব্যাটসম্যানদের দাপটে সদ্য শেষ হওয়া বিশ্বকাপ অতীতের সব রেকর্ড ছাপিয়ে গিয়েছে। তা সে সেঞ্চুরি হোক বা সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

সিডনি শেষ আপডেট: ০১ এপ্রিল ২০১৫ ০২:৫৪
Share:

আসন্ন আইপিএলে দর্শকরা সুরক্ষিত থাকবেন তো? বোলার আর আম্পায়ারদের জীবনহানির আশঙ্কা তৈরি হবে না তো? ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরা কিন্তু এমন আশঙ্কা উড়িয়ে দিচ্ছেন না। মাইকেল হোল্ডিং, ইয়ান চ্যাপেল, রাহুল দ্রাবিড় আর মার্টিন ক্রোকে নিয়ে একটি ওয়েবসাইটের আলোচনায় এমনই আশঙ্কা উঠে আসল।

Advertisement

ব্যাটসম্যানদের দাপটে সদ্য শেষ হওয়া বিশ্বকাপ অতীতের সব রেকর্ড ছাপিয়ে গিয়েছে। তা সে সেঞ্চুরি হোক বা সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড। ৫০ ওভারের ফর্ম্যাটেই যদি এই অবস্থা হয় তা হলে আইপিএলের মতো টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টে কী হবে তা নিয়ে চিন্তায় ক্রিকেটমহল। ‘‘ব্যাটে এক বার লাগলেই বল অদৃশ্য হয়ে যাচ্ছে। অনেক সময়ই দেখা যাচ্ছে ব্যাটে-বলে না হওয়া সত্ত্বেও বল বিদ্যুৎগতিতে ছুটছে। আইসিসিকে এই ব্যাপারটা দেখতে হবে,’’ বলেন হোল্ডিং। তাঁর কথার সূত্র ধরেই ইয়ান চ্যাপেলের আবার মন্তব্য, ‘‘আমার তো মনে হচ্ছে বোলার বা আম্পায়ারদের মাঠে বড় চোট না লেগে যায়। ব্যাটে লাগার পরই বলের গতিপথ থেকে নিজেকে সরানোর সময়ই তো পাওয়া যাবে না।’’

রাহুল দ্রাবিড় আবার বলেন, ‘‘আমি তো নেট বোলারদের নিয়ে চিন্তায় আছি। আইপিএলে দেখেছি কলেজ, ইউনিভার্সিটির ১৭, ১৮, ১৯ বছরের বাচ্চাদের নেটে বল করতে। উল্টো দিকে শেন ওয়াটসন, ক্রিস গেইলের মতো বিস্ফোরক ব্যাটসম্যান যারা কি না আবার টি-টোয়েন্টির ব্যাটিং প্র্যাকটিস করছে। এখনও যে এই নেট বোলারদের মারাত্মক কোনও চোট লাগেনি সেটাই তো আশ্চর্যের!’’ একই ভাবে মার্টিন ক্রো আবার দশর্কদের সুরক্ষা নিয়েও চিন্তিত।

Advertisement

সবচেয়ে বেশি চর্চার বিষয় হিসেবে উঠে আসছে ব্যাটের ঘনত্ব। ওয়েস্ট ইন্ডিজের কিংবদন্তি বোলার বলেন, ‘‘ক্রিকেট ব্যাট কতটা চওড়া হবে সেটার নিয়ম বেঁধে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু ব্যাটের ঘনত্ব কতটা হবে সে ব্যাপারে তো কোনও নিয়ম নেই।’’ সঙ্গে তিনি যোগ করেন, ‘‘অনেক আগে ব্যাটে সুইট স্পট বলে একটা ব্যাপার থাকত। একটা ব্যাট কম্পানি ঠিক ব্যাটের পিছনে স্পট একেঁ দিত। তার সমান্তরাল ভাবে ব্যাটের সামনের দিকে সুইট স্পট বোঝাতে। এখন তো গোটা ব্যাটই সুইট স্পটে ভর্তি। এখন আর সুইট স্পট নেই। সুইট ব্যাট।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন