স্পেশ্যাল অলিম্পিকে ভাল ফল মেয়েেদর

দেশের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করা প্রায় আড়াইশো জনের দলে এ রাজ্যের বারো জন প্রতিযোগী ছিলেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

চুঁচুড়া শেষ আপডেট: ২৩ মার্চ ২০১৯ ০১:২৯
Share:

প্রতীকী ছবি।

ব্যক্তিগত ইভেন্টে দু’টো সোনা। দু’টো রুপো। একটা ব্রোঞ্জ। বিদেশের মাটিতে স্পেশ্যাল অলিম্পিকের আসর থেকে পাঁচটি পদক গলায় ঝুলিয়ে ফিরলেন এ রাজ্যের তিন কন্যা। মেয়েদের দলগত খেলায় ভলিতে ভারত ব্রোঞ্জ জিতেছে। ছেলেদের ওই খেলাতেই মিলেছে রুপো।

Advertisement

দেশের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করা প্রায় আড়াইশো জনের দলে এ রাজ্যের বারো জন প্রতিযোগী ছিলেন। সকল‌েই বিশেষ মানসিক চাহিদাসম্পন্ন। তাঁদের সঙ্গে কোচ হিসেবে গিয়েছিলেন মৌসুমি রায়। তাঁর কথায়, ‘‘সার্বিক ভাবে মেয়েদের পারফরম্যান্সে আমি খুশি। টেকনিক্যাল কারণে ছেলেদের একাধিক পদক হাতছাড়া হয়েছে। এখান থেকে শিক্ষা নিয়ে পরের প্রতিযোগিতার জন্য ওরা নিশ্চয়ই নিজেদের ঘষেমেজে নিতে পারবে।’’

চ‌লতি মাসের ১৪ তারিখে ‘স্পেশ্যাল অলিম্পিক ওয়ার্ল্ড সামার গেমস’ শুরু হয় আবু ধাবিতে। শেষ হয় বৃহস্পতিবার। পদক তালিকায় ভারত শীর্ষে। এ দেশের সংগ্রহে মোট ৩৬৮টি পদক। মৌসুমি জান‌ান, সাইক্লিং ইভেন্টে (১০ কিলোমিটার রোড রেস) হুগলির জিরাটের বাসিন্দা, আঠেরো বছরের সুলতা সিকদার সোনা জেতেন। সাঁতারে ২৫ মিটার ব্যাকস্ট্রোকে কলকাতার শাল্মলী রায় স্বর্ণপদক পান। ৫০ মিটার ফ্রি-স্টাইলে তৃতীয় স্থানে শেষ করে ব্রোঞ্জ পান তিনি। হুগলির রিষড়া পঞ্চায়েতের বামুনারির হাসি দুলের ঝুলিতে জোড়া রুপো। দু’টোই সাইক্লিংয়ে। একটি ১০ কিলোমিটার রোড রেসে। অন্যটি দু’কিলোমিটার।

Advertisement

মেয়েদের ভলিবলে ভারত তৃতীয় হয়েছে। ওই দলে ছিলেন গুড়িয়া রানি, অনিতা ওঁরাও এবং লক্ষ্মী খাতুন। তিন জনেই হাওড়ার পারবাকসির ‘চিরনবীন’ হোমের আবাসিক। হোমেই তাঁরা ভলিবল শিখেছেন। তিন জ‌নই ২০১৭ সালে গুজরাতে জাতীয় চ্যাম্পিয়ন পশ্চিমবঙ্গ দলে ছিলেন। স্পেশ্যাল অলিম্পিকের আসরে ছেলেদের ভলিতে ভারত রানার্স। ওই দলে ছিলেন হুগলির ঋত্বিক সাউ। ছেলেদের ফুটবলে ভারত শেষ করে পঞ্চম স্থানে। ওই দলে ছিলেন বিশ্বজিৎ মালিক, সৌম্যদীপ গুহরায়, কৌশিক বাগ এবং তুষার মিত্র।

হাসি, ঋত্বিক, বিশ্বজিৎ, কৌশিক এবং সৌম্যদীপ শ্রীরামপুর-উত্তরপাড়া ব্লকের কানাইপুরে ‘বাঁশাই প্রচেষ্টা’ নামে একটি প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। সুলতা এবং তুষার জিরাটের ‘আস্থা’ নামে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার শিক্ষার্থী। ওই দুই প্রতিষ্ঠানের কর্তৃপক্ষ জানান, ওঁরা সকলেই দুঃস্থ পরিবারের সন্তান। বাড়িতে নুন আনতে পান্তা ফুরোয় অবস্থা। এই জায়গা থেকেই বিশ্বের মঞ্চে ওঁরা রাজ্য তথা দেশের মুখ উজ্জ্বল করেছেন‌। শুক্রবার সন্ধ্যায় বাড়ি ফিরলেন হাসিরা।

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন