অভাবের সঙ্গে লড়ে সোনার যুদ্ধে মঞ্জু

শত সমস্যাতেও বক্সিং ছাড়ার কথা ভাবেননি। বরং বাবার মৃত্যুর শোক ভুলতে বক্সিংয়েই ডুবে যান মঞ্জু। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, এক সময়ে প্রবল রেগে যেতেন এই নবাগত তারকা।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ১৩ অক্টোবর ২০১৯ ০৪:০১
Share:

চমক: বিশ্ব বক্সিংয়ের মঞ্চে দারুণ লড়ে ফাইনালে মঞ্জু রানি (বাঁ দিকে)। শনিবার রাশিয়ার উলান-উদেতে। টুইটার

সিনিয়র পর্যায়ে প্রথম জাতীয় বক্সিং প্রতিযোগিতায় সোনা জিতেছিলেন। আর এ বার প্রথম বিশ্ব বক্সিং চ্যাম্পিয়নশিপের ৪৮ কেজি বিভাগের ফাইনালে উঠে ভারতকে সোনা জয়ের স্বপ্ন দেখাচ্ছেন মঞ্জু রানি।

Advertisement

হরিয়ানায় জন্মানো এই বক্সারের জীবনটাও স্বপ্নের মতো! আট বছর আগে ক্যানসারে মারা যান বাবা ভীমসেন সিংহ। মঞ্জুর বয়স তখন ১২। সীমান্তরক্ষী বাহিনীতে কর্মরত বাবা মারা যাওয়ার পরে আর্থিক স্বচ্ছলতা ছিল না পরিবারে। বাড়িতে তিনি ও বিধবা মা ছাড়াও রয়েছে আরও চার ভাই-বোন। আর্থিক সমস্যায় তাই এক সময়ে জীবনধারণ করাই কষ্টকর হয়ে উঠেছিল। কিন্তু যাবতীয় প্রতিকূলতা ও শোচনীয় দারিদ্রের বিরুদ্ধে মোকাবিলা করেই এগিয়ে গিয়েছেন মঞ্জু রানি।

শত সমস্যাতেও বক্সিং ছাড়ার কথা ভাবেননি। বরং বাবার মৃত্যুর শোক ভুলতে বক্সিংয়েই ডুবে যান মঞ্জু। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, এক সময়ে প্রবল রেগে যেতেন এই নবাগত তারকা। যা নিয়ন্ত্রণে বক্সিং রিং-ই ছিল মঞ্জুর সব চেয়ে পছন্দের জায়গা। দীর্ঘ লড়াইয়ে পাশে মা-কে পেয়েছিলেন মঞ্জু। ফাইনালে উঠে তাই প্রয়াত বাবার সঙ্গে মায়ের কথাও বলতে ভোলেননি।

Advertisement

জীবনের প্রথম জাতীয় বক্সিং চ্যাম্পিয়নশিপে সোনা জয়ের পরে বেড়েছিল আত্মবিশ্বাস। কিন্তু নানা প্রশাসনিক সমস্যা নিয়ে চলতে হয়েছে। তাই এক সময়ে বদলে নিয়েছিলেন রাজ্য সংস্থাও। হরিয়ানা ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন পঞ্জাবে। সেখান থেকেই জাতীয় প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেন মঞ্জু।

ডিসেম্বরে পঞ্জাবের হয়েই নামেন মহিলাদের তৃতীয় জাতীয় এলিট বক্সিং চ্যাম্পিয়নশিপে। যেখানে ৪৮ কেজি বিভাগে সোনা জিতেই ফিরেছিলেন মঞ্জু। যে সাফল্যের পরেই জীবনের প্রথম আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় দেশের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করতে বুলগেরিয়াগামী দলে নির্বাচিত হয়েছিল তাঁর নাম। ভারতীয় বক্সিংয়ের দুই অলিম্পিক্স পদক জয়ী তারকা বিজেন্দ্র সিংহ ও মেরি কমের আদ্যন্ত ভক্ত মঞ্জুর লক্ষ্য একটাই। অলিম্পিক্স বক্সিং থেকে তাঁর আদর্শদের মতোই ভারতের হয়ে পদক জয় করা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন