লক্ষ্য: মিশন বিশ্বকাপ শুরুর আগে ফুরফুরে নেমার। ছবি: এএফপি
অবশেষে এই বিশ্বকাপে নেমার দ্য সিলভা স্যান্টোস জুনিয়রদের কোচ তিতের রণনীতির সমালোচনা শোনা গেল।
সমালোচক নিজেও ব্রাজিল ফুটবলের এক কিংবদন্তি। বিখ্যাত লেফ্টব্যাক রবের্তো কার্লোস।
কার্লোসের বক্তব্য, তিতে নাকি ব্রাজিলীয় ঘরনার ফুটবলের সৌন্দর্যটাই নষ্ট করে দিচ্ছেন। তাঁর কথায়, ‘‘ব্রাজিলের ফুটবল বলতে লোকে একটা জিনিসই বোঝে। আক্রমণের ঝড়। কিন্তু এখন দেখছি দলটার একমাত্র বৈশিষ্ট্য হল জমাট-সুসংগঠিত রক্ষণ।’’
ব্রাজিল ২০০২ সালের পরে বিশ্বকাপ জেতেনি। কার্লোসের দাবি, তাঁর দেশ পাঁচ বার কাপ জিতেছিল আক্রমণে শক্তির জোরে। আয়োজক দেশ হিসেবে ব্রাজিলর সব চেয়ে বড় লজ্জা শেষ বার কোয়ার্টার ফাইনালে জার্মানির কাছে ১-৭ হারাটা।
কিন্তু তিতের প্রশিক্ষণে ছবিটা অনেকটাই পাল্টে গিয়েছে। দুঙ্গার পরে দায়িত্বে নিয়ে তিনি ব্রাজিলকে মূলপর্বে তুলেছেন যোগ্যতা অর্জন রাউন্ডে এক নম্বর দল হিসেবে। যে কারণে এ বার নেমারদের খেতাবের অন্যতম দাবিদার ধরা হচ্ছে। কিন্তু এত কিছুর পরেও রবের্তো কার্লোস বলে দিচ্ছেন, এখনকার দলটা নাকি ব্রাজিলীয় ঘরানায় খেলছে না।
অবশ্য নেমারদের হালফিলের সাফল্যে তিনিই খুশিও। বলেছেন, ‘‘আশা করি আবার আমার বিশ্বসেরা হব। সেই ২০০২ সালের পরে আমাদের দেশে কাপ আসেনি ভাবলে খুবই খারাপ লাগে। যেমনই খেলুক এ বারের দলটা দেখে মনে হচ্ছে আবার আমরা বিশ্বকাপ নিয়ে ফিরতেও পারি।’’
রবিবার সুইৎজারল্যান্ড ম্যাচ দিয়ে ব্রাজিলের বিশ্বকাপ অভিযান শুরু হচ্ছে। এবং পেলের দেশে নেমারদের দেখা নিয়ে উৎসাহটা প্রবল বললেও কম বলা হবে। ব্রাজিল সরকারের একটাই ভয়। কোনও কারণে বিদ্যুৎ ঘাটতির জন্য না লোকে খেলা দেখা থেকে বঞ্চিত হয়। আর সেটা হলে সরকার যে বিরাট বিক্ষোভের মুখে পড়বে তা নিয়ে কোনও সন্দেহই নেই।