নায়ক: মেসির পেনাল্টি আটকে আইসল্যান্ডের হ্যালদরসন। ছবি: রয়টার্স।
এক জন ম্যাচের পরে মাথা নিচু করে মাঠে দাঁড়িয়ে। অন্য জনকে ম্যাচ চলার সময় দেখা গিয়েছে, কখনও হতাশায় মাথায় হাত দিচ্ছেন। কখনও চোখ মুছছেন।
দুই কিংবদন্তি। শনিবার মস্কোর স্পার্টাক স্টেডিয়ামে আর্জেন্টিনা বনাম আইসল্যান্ড ম্যাচের পরে যাঁদের এক বিন্দুতে নিয়ে এল একটা শব্দ— যন্ত্রণা। তাঁরা, লিয়োনেল মেসি এবং দিয়েগো মারাদোনা।
রাশিয়া বিশ্বকাপ সবে তৃতীয় দিনে পা দিয়েছে। কিন্তু এই তিন দিনেই নাটকীয়তা যেন উপচে পড়ছে। তৃতীয় দিনে দেখা গেল মেসির পেনাল্টি ফস্কানো। টিভি-তে দেখা গিয়েছে, আর্জেন্টিনার খেলা দেখতে দেখতে চোখ মুছছেন মারাদোনা।
আতঙ্কের শুরু: পেনাল্টি থেকে গোল করতে পারলেন না। দলও জিতল না। বিষণ্ণ মেসি। মস্কোয় শনিবার। ছবি: গেটি ইমেজেস
যে পেনাল্টি ফস্কানোর সঙ্গে সঙ্গে ফুটবল দুনিয়ার পাশাপাশি ঝড় উঠেছে সোশ্যাল মিডিয়াতেও। বলা হচ্ছে, ৩৪ বছর বয়সি এক জন চিত্রপরিচালককেও হার মানাতে পারলেন না মেসি। চিত্রপরিচালক মানে এখানে আইসল্যান্ডের গোলরক্ষক হ্যাননেস থর হ্যালদরসন। যিনি এক জন চিত্রপরিচালকেও।
মেসির পেনাল্টি আটকে দেওয়ার পিছনে কতটা ভাগ্য আর কতটা প্রস্তুতি? হ্যাল়দরসন বলেছেন, ‘‘প্রথম ম্যাচেই মেসির পেনাল্টি কিক বাঁচাব, এটা স্বপ্নেই সম্ভব। তবে আমি অনেক প্রস্তুতি নিয়েই এসেছিলাম। মেসির পেনাল্টি মারার ভিডিয়ো দেখে তৈরি হয়েছিলাম। আমার মনে হয়েছিল, কিকটা মেসি ও দিকেই নেবে।’’
আর এল এম টেন কী বলছেন? ম্যাচের পরে মেসির প্রতিক্রিয়া, ‘‘পেনাল্টি ফস্কানোটা সত্যিই খুব যন্ত্রণার।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘তিন পয়েন্ট না পাওয়ার জন্য আমিই দায়ী। ওই সময় পেনাল্টিেত গোলটা হয়ে গেলে পুরো ছবি বদলে যেত।’’ তবে মেসি এও বলেছেন, ‘‘এই ম্যাচ ড্র করলেও আশা ছাড়ছি না। আমাদের পরের ম্যাচের জন্য ৈতরি হতে হবে।’’