প্রস্তুতি: রোনাল্ডোদের জন্য তৈরি হচ্ছেন লুইস সুয়ারেস। ছবি: রয়টার্স
পর্তুগালের ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো থাকতে পারে। তাদেরও আছে জোড়া ফলা। লুইস সুয়ারেস ও এদিনসন কাভানি। শনিবারের শেষ ষোলোর যুদ্ধের আগে পাল্টা হুঙ্কার দিচ্ছে উরুগুয়ে শিবিরও।
রোনাল্ডো যেমন গোলের মধ্যে রয়েছেন (যদিও শেষ ম্যাচে সেই রোনাল্ডোকে পাওয়া যায়নি) অস্কার তাবারেসের দলের দুই স্ট্রাইকারও গোল করে চলেছেন। সেই সাফল্যই শনিবার তাঁদের এগিয়ে রাখতে পারে বলে ধারণা উরুগুয়ে শিবিরের।
কোচ তাবারেস যেমন বলছেন, ‘‘দলের স্কোরাররা যে গোলের মধ্যে আছে, এটাই সবচেয়ে বড় ব্যাপার। আশা করি, শনিবারের ম্যাচেও ওরা দু’জনেই গোলের জন্য মরিয়া হয়ে উঠবে।’’ সোমবার সোচিতে রাশিয়ার বিরুদ্ধে তাবারেসের দুই স্ট্রাইকারই গোল করেন। বিশ্বকাপে সাতটি গোলের মালিক সুয়ারেসকে নিয়ে আশায় দলের ডিফেন্ডার সেবাস্তিয়ান কোয়াতেস-ও। বলেন, ‘‘ও যখন ফর্মে আছে, আমাদের চিন্তা নেই। তার ওপর কাভানিও ছন্দে চলে এসেছে।’’
রোনাল্ডোকে আটকাতে রাখতে পারলে যে পর্তুগালকেও চাপে ফেলে দেওয়া যাবে, তা জানে উরুগুয়ে শিবির। তবে রোনাল্ডোকে আটকাতে গিয়ে তাঁর দলের অন্যরা যাতে ফাঁকা জায়গা না পেয়ে যান, সে দিকেও সচেতন কোয়াতেসরা। এই বিশ্বকাপে উরুগুয়ের দুর্ভেদ্য ডিফেন্স এখন পর্যন্ত কোনও দলই ভাঙতে পারেনি। কোনও গোল খাননি সুয়ারেসরা। এই রক্ষণের অন্যতম অঙ্গ দলের অধিনায়ক দিয়েগো গোদিন।
আরও পড়ুন: ফেয়ার প্লে-তে শেষ ষোলোয় জাপান, উঠল কলম্বিয়াও
রোনাল্ডোকে আটকানোর উপায় গোদিন ভালই জানেন। আতলেতিকো মাদ্রিদের এই ডিফেন্ডার লা লিগায় ২৭ বার রোনাল্ডোর মুখোমুখি হয়েছেন। কখনও রোনাল্ডো জিতেছেন, কখনও গোদিন। শনিবার ফের সেই লড়াইয়ে জিততে তিনি মরিয়া। গত বিশ্বকাপে তাঁর মাথা ছোঁয়ানো গোলেই ইতালিকে হারিয়ে শেষ ষোলোয় পৌঁছেছিল উরুগুয়ে। এ বার প্রথম ম্যাচের বিরতিতে সেই হেডের ছবি দেখিয়ে দলের ছেলেদের তাতিয়েছিলেন তাবারেস।
শনিবারও গোদিন, কোয়াতেসের অদম্য মনোভাবের উদাহরণই তুলে ধরবেন বলে ঠিক করেছেন কোচ। বলেন, ‘‘আমাদের ডিফেন্ডাররাও যেমন সফল, স্ট্রাইকাররাও। মাঝমাঠ থেকেও বল সাপ্লাই হচ্ছে দারুণ। এমন পরিপূর্ণ পারফরম্যান্স সত্ত্বেও জিতব না? অসম্ভব।’’