বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে রাশিয়া পাঁচ গোল দিয়েছে সৌদি আরবকে। এতটা বোধহয় রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনও ভাবেননি। রাশিয়ার কোচ স্তানিস্লাভ চেরচেসভ বলেছেন, পুতিন তাঁকে তাই আলাদা করে অভিনন্দন জানিয়েছেন।
রুশ কোচের কথায়, ‘‘রাষ্ট্রপ্রধান ডেকে পাঠিয়েছিলেন। উনি আমাকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেছেন যে, এ ভাবেই যেন আমরা বাকি ম্যাচগুলোও খেলে যাই।’’ শুধু তাই নয়, পুতিন তাঁকে আরও বলেছেন, ‘‘অতীতে আমরা যেমন ফুটবল খেলতাম তেমনই কিন্তু খেলে যেতে হবে।’’
এ দিকে রাশিয়ার কাগজগুলিতেও উচ্ছ্বাসের বন্যা। মস্কোর স্পোর্টস এক্সপ্রেস মজা করে শিরোনাম করেছে, ‘গিভ মি ফাইভ!’ অন্যত্র আরও শিরোনাম, ‘রাশিয়া, আমরা তোমাকে ভালবাসি।’ প্রসঙ্গত খারাপ পারফরম্যান্সের জন্য চেরচেসভ অতীতে বার বার সমালোচিত হয়েছেন। বিশ্বকাপের আগে শেষ আট মাস একটা ম্যাচও জেতেনি রাশিয়া। তার উপর বিশ্বকাপের প্রস্তুতি ম্যাচগুলোয় মাত্র দু’বার তারা ঠিকঠাক গোলে বল রাখতে পেরেছিল।
রাশিয়ার চার জন ডিফেন্ডার ও একজন ফরোয়ার্ড চোটের জন্য এ বার প্রতিযোগিতা শুরুর আগেই ছিটকে যান দল থেকে। তাই শুক্রবার, ম্যাচের দিনও সকালে একটি কাগজে শিরোনাম করা হয়েছিল, ‘আজ খারাপ দল বনাম জঘন্য দল’ খেলবে। প্রসঙ্গত সাম্প্রতিকতম ফিফা র্যাঙ্কিং অনুযায়ী রাশিয়া এখন ৭০ নম্বর। সেখানে সৌদি আরব ৬৭ নম্বর। তাই রাশিয়াকেই বলা হয়েছিল ‘জঘন্য’।
এ দিকে চেরচেসভ বলেছেন, ‘‘সতর্ক না থাকলে এই ম্যাচটার ফলও হতে পারত ১-১। সঙ্গে মনে রাখতে হবে পরের ম্যাচগুলোয় আমাদের প্রতিদ্বন্দ্বীরা আরও শক্তিশালী।’’ রাশিয়া পরের ম্যাচ খেলবে মিশরের সঙ্গে। ১৯ জুন। সেন্ট পিটার্সবার্গে। পরের শুক্রবার ‘এ’ গ্রুপে রাশিয়ায় শেষ খেলা উরুগুয়ের বিরুদ্ধে। মিশর ম্যাচ আরও কঠিন হয়ে যেতে পারে মহম্মদ সালাহ প্রথম থেকে খেললে। চেরচেসভের বেশি সমস্যা রক্ষণ নিয়েই। তাই ৩৮ বছর বয়সের সের্গেই ইগানেশেভিচকে অবসর ভাঙিয়ে দলে ফিরিয়েছেন। সৌদি আরবের বিরুদ্ধে খেললেও ইগানিশেভিচকে অবশ্য কার্যত বলে পা লাগাতে হয়নি। আশা করা যায়, সালাহ খেললে তাঁর এবং গোলরক্ষক ইগর আফিনিভকে অনেক বেশি ব্যস্ত থাকতে হবে। চেরচেসভ নিজেও স্বীকার করছেন, শুক্রবার সালাহ প্রথম থেকে মাঠে থাকলে তাঁদের কাজ আরও কঠিন হয়ে যাবে।