পরীক্ষা: ছেষট্টির নজির ছোঁয়ার দৌড়ে সাউথগেট। ফাইল চিত্র
বুধবার রাতে মস্কোর লুঝনিকি স্টেডিয়ামে ক্রোয়েশিয়াকে হারালেই ৫২ বছর পরে ফের বিশ্বকাপের ফাইনালে যাবে ইংল্যান্ড। কিন্তু তার আগেই ইংল্যান্ড কোচ গ্যারেথ সাউথগেট দলকে তাতাতে টেনে আনলেন ১৯৬৬ সালের বিশ্বজয়ী দলকে।
দলকে অনুপ্রাণিত করতে ইংল্যান্ড কোচ বলেছেন, এ বার কাপ জিতলে তা ১৯৬৬ সালে ইংল্যান্ডের প্রথম বার বিশ্বকাপ জয়ের চেয়েও বেশি পাগলামি হবে দেশে। আর তা নিয়েই সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং ওয়েবসাইটে অনেকেই সাউথগেটের মৃদু সমালোচনাও করেছেন।
ইংল্যান্ড অধিনায়ক হ্যারি কেনও এ দিন ক্রোয়েশিয়ার বিরুদ্ধে সেমিফাইনাল ম্যাচের আগে বলছেন, ‘‘১৯৬৬ সালের সেই প্রথম বিশ্বকাপ জয়ের মুহূর্তই এ বারের বিশ্বকাপে দলের অনুপ্রেরণা।’’
ঠিক কী বলেছেন সাউথগেট? গত শনিবার সামারায় সুইডেনকে হারিয়ে সেমিফাইনালে যাওয়ার পরে ইংল্যান্ড কোচ বলেন, ‘‘১৯৬৬ সালে ইংল্যান্ডের সেই বিশ্বজয়ী দলকে ছোঁয়ার খুব কাছাকাছি চলে এসেছি আমরা। সেই প্রাক্তন ফুটবলারদের অনেকের সঙ্গেই অতীতে সাক্ষাৎ হয়েছে। জানি ওঁরা কী ভাবে সম্মানিত হয়েছিলেন। কিন্তু আজকের দিনে চ্যাম্পিয়ন হলে অনেক বেশি পাগলামি হবে বিশ্বজয়ীদের নিয়ে। কারণ সোশ্যাল মিডিয়ার কল্যাণে ফুটবল দুনিয়াটা এখন অনেক বিশাল।’’ সঙ্গে রাহিম স্টার্লিংদের পাল্টা চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়ে সাউথগেট বলেন, ‘‘১৯৬৬ সালের বিশ্বজয়ীদের চেয়েও বড় হতে ঝাঁপিয়ে পড় তোমরা।’’ আর এই মন্তব্য নিয়েই শুরু হয়েছে সমালোচনা। নেট দুনিয়ার একাংশের মতে জেফ হার্স্ট, ববি মুর, জিমি গ্রিভস-দের কোনও ভাবেই ছাপিয়ে যাওয়া সম্ভব নয় ইংল্যান্ডের এই দলের।
আরও পড়ুন: হ্যারি কেনকে ভয় পাচ্ছেন না মদ্রিচরা
ইংল্যান্ড অধিনায়ক হ্যারি কেন সে কথা মেনেও নিয়েছেন। টুর্নামেন্টে ছয় গোল করে ফেলা এই ইংল্যান্ড স্ট্রাইকার বলছেন, ‘‘ফুটবল জীবনের বড় ম্যাচটা খেলার মাত্র এক ধাপ পিছনে রয়েছি আমরা। ছেলেরাও মনে করছে, এখনও ফুরিয়ে যাইনি। সেমিফাইনাল থেকে ফিরে যাওয়ার কোনও প্রশ্ন নেই। ফাইনালের জন্য সর্বশক্তি দিয়ে লড়বে সবাই। ১৯৬৬ সালের কোনও বিশ্বজয়ী ফুটবলারের সঙ্গে দেখা হলেই দুর্দান্ত প্রেরণা পাই।’’
শুধু কোচ সাউথগেট বা অধিনায়ক হ্যারি কেন নয়। ছেষট্টির দল নিয়ে মন্তব্য করেছেন ইংল্যান্ডের এ বারের দলে থাকা দালে আলি। তাঁর কথায়, ‘‘ছেষট্টির বিশ্বজয়ের কথা ভাবলেই উত্তেজনায় কাঁপতে থাকি। সেই কিংবদন্তিদের শ্রদ্ধা জানাই সব সময়ে। পুরনো ছবি ও ফিল্মে সেই সময়ের ছবি দেখার সুবাদে জানি কী ভাবে সংবর্ধনা জানানো হয়েছিল ওঁদের। আশা করছি, ওদের আরও ভাল মুহূর্ত উপহার দিতে পারব আমরা।’’