অভিযান শুরু করার আগেই ২০১৮ বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হলে কী ভাবে উৎসব করবেন, ভেবে রেখেছেন টোমাস মুলার।
জার্মান তারকা টানা দু’বার বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হওয়ার আনন্দে ডার্ট চ্যাম্পিয়নশিপ দেখতে দেখতে উৎসব করতে চান আলেকজান্দ্রা প্রাসাদে। লন্ডনে যে ক্রীড়াকেন্দ্রে ডার্টের বিশ্বমানের টুর্নামেন্টও আয়োজিত হয়।
রাশিয়ায় সাত গোল পেলেই মুলার বিশ্বকাপের ইতিহাসে সর্বোচ্চ গোলদাতার নজির স্পর্শ করবেন। তবে জার্মান তারকা ব্যক্তিগত নজিরের চেয়েও দলের জয় নিয়ে বেশি আগ্রহী। তাঁর ডার্ট নিয়ে যে রকম তুমুল আগ্রহ সেটা বিশ্বকাপ অভিযানে ক্ষতি করতে পারে বলেও মনে করেন না তিনি। বরং মুলার বলছেন, বড় টুর্নামেন্টে তাঁর এবং সতীর্থদের খারাপ সময় কাটাতে এই ডার্টই বিনোদনের কাজ করেছে।
কী ভাবে?
মুলার বলেন, ‘‘যখন আমরা জার্মানির হয়ে খেলতে দেশের বাইরে থাকি, তখন হোটেলের বাইরে যাওয়ার সুযোগ কম, আমরা টেনিস, গল্ফ, চিপিং, পাটিং খেলি হাল্কা থাকার জন্য।’’ সঙ্গে আরও যোগ করেন, ‘‘আমরা তার পাশাপাশি ডার্টও খেলি। আমি পেশাদার ডার্ট চ্যাম্পিয়নশিপের বিরাট ভক্ত। মাইকেল ফান জারওয়েন আমার প্রিয় ডার্ট খেলোয়াড়। তবে গত বছর আলেকজান্দ্রা প্যালেসে রব ক্রস দারুণ খেলেছেন। ভীষণ ভাল লাগবে আমার যদি কখনও ওখানে ডার্ট চ্যাম্পিয়নশিপ দেখতে যেতে পারি।’’
শুধু টুর্নামেন্ট দেখতে যাওয়াই নয় উদ্দাম পার্টিও করতে চান মুলার। সেই ইচ্ছে পূরণ করার জন্য ফুটবল কেরিয়ার শেষ হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে তৈরি জার্মান তারকা। তিনি বলেন, ‘‘ওখানে প্রচুর মদ্যপানও হয়। এই সময় মানে ফুটবল কেরিয়ারে সেটা করা যাবে না। আমাকে তাই ফুটবল জীবন শেষ হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।’’ ১৯৫৮ এবং ১৯৬২ পরপর দু’বার ব্রাজিলের নজির রয়েছে বিশ্বকাপ জেতার। ২০১৪ বিশ্বকাপ জেতার পরে এ বার রাশিয়া বিশ্বকাপে সেই নজির স্পর্শ করার পরীক্ষা মুলারদের। সেই লক্ষ্যে বিশ্বকাপে কোয়ার্টার ফাইনালে ইংল্যান্ডের মুখে পড়তে হতে পারে জার্মানিকে। মুলারের অবশ্য তাতে কোনও সমস্যা নেই।
মুলার বলে দেন, ‘‘দেখা যাক। বিশ্বকাপের পরেই আমরা বুঝতে পারব এই দলটা নয়া ইংল্যান্ড দল হয়ে উঠতে পারল কি না। আমাদের সামনে আপাতত সবচেয়ে বড় লক্ষ্য গ্রুপ পর্যায়ে দারুণ ফল করা। তার পরে নক আউট পর্বও রয়েছে। এই পর্বে যে কোনও দলই জিততে পারে।’’