এই আর্জেন্টিনা বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হলে অবাকই হব: মর্গ্যান

আইসল্যান্ড প্রথম ম্যাচেই দেখিয়েছিল, কী ভাবে আর্জেন্টিনাকে আটকাতে হয়। অঙ্কটা খুব সহজ। লিয়োনেল মেসিকে খেলতে দেওয়া চলবে না।

Advertisement

ট্রেভর জেমস মর্গ্যান

শেষ আপডেট: ২২ জুন ২০১৮ ০৪:২৭
Share:

গো(ল)হারা:  ক্রোয়েশিয়ার কাছে হেরে বিধ্বস্ত মেসি। ছবি: গেটি ইমেজেস।

বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে আইসল্যান্ডের বিরুদ্ধে আর্জেন্টিনার ড্র-কে অনেকেই অঘটন বলে ব্যাখ্যা করেছিলেন। ক্রোয়েশিয়ার বিরুদ্ধে হারের পরে বলতে বাধ্য হচ্ছি, আর্জেন্টিনা বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হলে আমি অবাকই হব।

Advertisement

আইসল্যান্ড প্রথম ম্যাচেই দেখিয়েছিল, কী ভাবে আর্জেন্টিনাকে আটকাতে হয়। অঙ্কটা খুব সহজ। লিয়োনেল মেসিকে খেলতে দেওয়া চলবে না। বৃহস্পতিবার নিজ়নি নভগোরোদ স্টেডিয়ামে ক্রোয়েশিয়াও সেই রণনীতি নিয়েই খেলল। বার্সেলোনায় মেসির সঙ্গে খেলেন ইভান রাকিতিচ। অধিনায়ক লুকা মদ্রিচ খেলেন রিয়াল মাদ্রিদে। ওঁরা জানতেন, কী ভাবে ছন্দ নষ্ট করে দিতে হয় আর্জেন্টিনা অধিনায়কের। ম্যাচের শুরু থেকেই ক্রোয়েশিয়া ফুটবলারদের প্রধান লক্ষ্য ছিল, মেসি যেন বল ধরতে না-পারেন। আর্জেন্টিনা কোচ হর্হে সাম্পাওলি ছকে বদলেও ক্রোয়েশিয়ার চক্রব্যূহ ভাঙতে ব্যর্থ।

বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে মেসি খেলেছিলেন সের্খিয়ো আগুয়েরোর পিছন থেকে। এ দিন আর্জেন্টিনা অধিনায়ক ছিলেন তাঁর পছন্দের জায়গা রাইট উইংয়ে। কিন্তু তাতে লাভ কিছুই হয়নি। ১২ মিনিটে এনসো পেরেসের পাস দিয়েছিলেন ক্রোয়েশিয়ার বক্সের মধ্যে ফাঁকায় দাঁড়ান মেসিকে। অবাক হয়ে দেখলাম, মেসি বলে পা ছোঁয়াতেই পারলেন না। মেসির যেন খেলায় মন ছিল না। মনে হচ্ছিল, দশ নম্বর জার্সি পরে মেসির মতো দেখতে কেউ খেলছিলেন!

Advertisement

আর্জেন্টিনা কোচের রণনীতিও অবাক করার মতো। ক্রোয়েশিয়ার রক্ষণ ভাঙার জন্য আর্জেন্টিনার অস্ত্র হওয়া উচিত ছিল উইং দিয়ে আক্রমণ করা। অথচ সাম্পাওলি এ দিন অ্যাঙ্খেল দি মারিয়ার মতো দ্রুতগতির ফুটবলারকে দলেই রাখেননি। শুধু তাই নয়। গোলরক্ষক উইলফ্রেডো কাবায়েরোর ভুলে আন্তে রেবিচ এগিয়ে দেন ক্রোয়েশিয়াকে। এক মিনিটের মধ্যেই সাম্পাওলি তুলে নেন আগুয়েরোকে। নামালেন ছন্দে না থাকা গন্সালো হিগুয়ানকে। ঘুরে দাঁড়ানো তো দূরের কথা আরও দু’টো গোল খেল দু’বারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা। ৮০ মিনিটে গোল করেন মদ্রিচ। আর ম্যাচের একেবারে শেষ মুহূর্তে গোল রাকিচিতের।

আর্জেন্টিনার ফুটবলে অবক্ষয় অনেক দিন আগেই শুরু হয়ে গিয়েছে। অনূর্ধ্ব-১৭ বিশ্বকাপে যোগ্যতা অর্জন করতে পারেনি দিয়েগো মারাদোনার দেশ। যার অর্থ, প্রতিশ্রুতিমান ফুটবলার উঠে আসছে না। এ বারের আর্জেন্টিনা দলে অধিকাংশেরই বয়স তিরিশের উপরে। এই মুহূর্তে যা পরিস্থিতি, তাতে একমাত্র নাইজেরিয়াই বাঁচাতে পারে মেসিদের।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন