অশ্বমেধের ঘোড়া আটকে ফাইনালে ফরাসি ব্রিগেড

ইউরোপের দুই প্রতিবেশী দেশের সেমিফাইনালে দ্বৈরথে আরও একটি দেখার বিষয় ছিল। তা হল, ইউরোপের ক্লাব ফুটবলে বন্ধু বনাম বন্ধুর লড়াই।

Advertisement

সুব্রত ভট্টাচার্য

শেষ আপডেট: ১১ জুলাই ২০১৮ ০৪:০০
Share:

জয়সূচক: গোলের পরে উল্লাস স্যামুয়েল উমতিতির। মঙ্গলবার ফ্রান্স-বেলজিয়াম সেমিফাইনালে। সেন্ট পিটার্সবার্গ স্টেডিয়ামে। ছবি: গেটি ইমেজেস

ফ্রান্স ১ : ০ বেলজিয়াম

Advertisement

মঙ্গলবার রাতে বিশ্বকাপের প্রথম সেমিফাইনালে মেসি, রোনাল্ডো বা নেমার কেউ ছিলেন না। কিন্তু তা সত্ত্বেও ম্যাচটা দেখতে বসেছিলাম অন্য আগ্রহ নিয়ে।

প্রথম কারণ অবশ্যই দুই দল—বেলজিয়াম ও ফ্রান্স। বিশ্বকাপের শুরু থেকেই যাদের বলা হচ্ছে কাপ জেতার অন্যতম দাবিদার। তার উপর এই দুই দলই বিশ্বকাপ থেকে ছুটি করে দিয়েছে লাতিন আমেরিকার তিন প্রাক্তন বিশ্বজয়ী দল ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা ও উরুগুয়েকে।

Advertisement

ইউরোপের দুই প্রতিবেশী দেশের সেমিফাইনালে দ্বৈরথে আরও একটি দেখার বিষয় ছিল। তা হল, ইউরোপের ক্লাব ফুটবলে বন্ধু বনাম বন্ধুর লড়াই। ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডের পল পোগবা বনাম রোমেলু লুকাকু। ম্যান সিটির বেঞ্জামিন মেন্ডি বনাম ভ্যানসঁ কোম্পানি ও কেভিন দে ব্রুইন। বার্সেলোনার উসমান দেম্বেলে, স্যামুয়েল উমতিতি বনাম থমাস ভার্মালেন। চেলসির অলিভিয়ের জিহু, এনগোলো কঁতে বনাম এডেন অ্যাজার, থিবো কুর্তোয়া।

সেই দ্বৈরথে শেষ পর্যন্ত উমতিতির গোলে ফাইনালে চলে গেল ফ্রান্স। ১৯৯০ সাল থেকে বিশ্বকাপের ইতিহাসে একটা ছোট্ট পরিসংখ্যান হল, যে দল ব্রাজিলকে হারায়, তারা ফাইনাল খেলে। দিদিয়ে দেশঁর ফ্রান্স সেই পরিসংখ্যানও বদলে দিল। সেমিফাইনালেই থামিয়ে দিলেন টিনটিনের দেশের ‘সোনালি প্রজন্মের’ ফুটবলারদের দৌড়। আর মারিয়ো জাগালো এবং ফ্রানৎজ বেনেবাউয়ারের পরে খেলোয়াড় ও কোচ হিসেবে বিশ্বকাপ স্পর্শ করার বিরল কৃতিত্ব থেকে এক ম্যাচ দূরে রইলেন ফরাসি কোচ।

আরও পড়ুন: হ্যারি কেনকে ভয় পাচ্ছেন না মদ্রিচরা

বেলজিয়াম কোচ রবের্তো মার্তিনেস এই বিশ্বকাপের অন্যতম চতুর কোচ। প্রতি ম্যাচেই তিনি ছক বদলে দিয়ে বিভ্রান্ত করে দেন প্রতিপক্ষকে। কখনও ৩-৪-৩। কখনও ৩-৪-২-১, কখনও বা ৩-৪-৩ ছকে শুরু করে ৪-৩-৩ ছকে কামাল করে গিয়েছেন এই বিশ্বকাপে।

অভিনন্দন: হেডে গোল করা উমতিতির মাথায় চুম্বন জিহুর। ছবি: গেটি ইমেজেস

ফরাসিদের বিরুদ্ধে ৩-৫-২ ছকে তিনি ফের ধাঁধা তৈরি করেছিলেন। আগের ব্রাজিল ম্যাচে মাঝখানে ব্যবহার করা কেভিন দে ব্রুইনকে নিয়ে গেলেন লেফ্ট উইংয়ে। আর মাঝমাঠে নিয়ে এলেন মুসা দেম্বেলেকে। উদ্দেশ্য শুরু থেকেই ফরাসিদের চেপে ধরো। নিজেদের অর্ধেই রেখে দাও আঁতোয়া গ্রিজম্যানকে। সেই লক্ষ্যে প্রথম পঁচিশ মিনিট সফলও হয়েছিলেন তিনি।

কিন্তু তার পরেই এমন প্রতি-আক্রমণ শুরু করল ফ্রান্স যে হারিয়ে গেল বেলজিয়ামের জোশ। উমতিতির গোলের সময় বেলজিয়াম-রক্ষণ বলে নজরই রাখেনি। তারা বলের কাছে না যেতে পারাতেই উমতিতি হেডে ফ্লিক করে গোলটা করে যান। আর সেখান থেকেই স্বপ্ন ভাঙা শুরু রবের্তো মার্তিনেসের দলের।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন