আলোচনায়: রাশিয়াতেও ঝড় তুলে চলে এল ভুভুজ়েলা। ছবি:রয়টার্স
ভুভুজ়েলার আতঙ্ক ফিরল রাশিয়ায়! ক্রীড়াপ্রেমীরা বাধ্য হলেন টেলিভিশন মিউট (শব্দ বন্ধ) করে শুক্রবার ইরান বনাম মরক্কো ম্যাচে দেখতে।
২০১০ দক্ষিণ আফ্রিকায় বিশ্বকাপ শুরু হওয়ায় দিন থেকেই শিরোনামে ছিল ভুভুজ়েলা। বিশেষ এই বাঁশির শব্দে ফুটবলারও অতিষ্ট হয়ে উঠেছিলেন। চার বছর আগে ব্রাজিল বিশ্বকাপে স্টেডিয়ামে ভুভুজ়েলা নিয়ে প্রবেশ নিষেধ ছিল। রাশিয়া বিশ্বকাপে ফের দাপট শুরু ‘শব্দ দানব’-এর। সেন্ট পিটার্সবার্গ স্টেডিয়ামে ইরান বনাম মরক্কো ম্যাচে শুরু থেকেই ভুভুজ়েলা বাজাতে শুরু করেন দর্শকেরা। ম্যাচ যত এগিয়েছে, ততই বেড়েছে শব্দ দানবের দৌরাত্ম। শুধু তাই নয়। ম্যাচের পরে সেন্ট পিটার্সবার্গের রাস্তাতেও ভুভুজ়েলা বাজিয়ে উৎসবে মেতে ওঠেন ইরানের সমর্থকেরা। সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং ওয়েবসাইটে ক্ষোভ উগরে দেন ক্রীড়াপ্রেমীরা। দাবি উঠে গিয়েছে রাশিয়া বিশ্বকাপে ভুভুজ়েলা নিষিদ্ধ করারও।
ভুভুজ়েলার প্রত্যাবর্তনের ম্যাচে নাটকীয় জয় পেল ইরান। যদিও তাদের জয়ের নেপথ্যে মরক্কোর স্ট্রাইকার আজিজ বুহাদুজ! সংযুক্ত সময়ে (৯৫ মিনিট) ফ্রি-কিক পায় ইরানের এহসান হাজসাফি। বক্সের মধ্যে থেকে হেড করে বল বিপন্মুক্ত করতে গিয়ে নিজের গোলেই ঢুকিয়ে দেন আজিজ। অথচ এই ম্যাচে শুরু থেকেই আধিপত্য ছিল মরক্কোর। পুরো ম্যাচে ৬৪ শতাংশ বলের দখল ছিল তাদের। কিন্তু গোলের রাস্তা খুঁজে বার করতে ব্যর্থ মরক্কোর ফুটবলাররা। ম্যাচের একেবারে শেষ মুহূর্তে নাটকীয় ভাবে বদলে যায় ছবি। আজিজের আত্মঘাতী গোলে অপ্রত্যাশিত ভাবে ম্যাচ জিতে মাঠ ছাড়লেন ইরানের ফুটবলাররা।
বিশ্বকাপে ইরান শেষ বার ম্যাচ জিতেছিল ১৯৯৮ সালে ফ্রান্সে। ২০ বছর পরে ফের বিশ্বকাপে জয়ের স্বাদ পেল তারা। সেই সঙ্গে ইরানের ফুটবলাররা উদ্বোধনী ম্যাচে রাশিয়ার বিরুদ্ধে সৌদি আরবের ৫-০ হারের বিপর্যয়ের যন্ত্রণাও কিছুটা ভুলতে সাহায্য করলেন। ইরান কোচ কার্লোস কুইরোজ বলেছেন, ‘‘প্রথম ম্যাচ সব সময়ই কঠিন।’’