পাকিস্তানকে হারিয়ে জয়ের উল্লাস ভারতীয় শিবিরে। ছবি: পিটিআই।
ভারত ৭ (হরমনপ্রীত ২, তলবিন্দর ২, আকাশদীপ ২, পরদীপ)
পাকিস্তান ১ (মহম্মদ উমর)
ভেন্যু ইংল্যান্ড। প্রতিপক্ষ পাকিস্তান। মুখোমুখি ভারত।
পার্থক্য একটাই। একটা হকি, একটা ক্রিকেট।
যেদিন বিরাট কোহালিরা পাকিস্তানের বিরুদ্ধে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনাল খেলতে নেমেছিলেন ঠিক সেদিনই একই দেশের বিরুদ্ধে ওয়ার্ল্ড হকি লিগের সেমিফাইনাল খেলতে নেমেছিলেন সর্দার সিংহরা। যখন হতাশায় ডুব দিচ্ছিল ভারতীয় ক্রিকেট দল তখনই হকি হাসি ফোটাল ভারতীয়দের মুখে। পাকিস্তানকে ৭-১ গোলে হারিয়ে দিলেন ওয়ার্ল্ড হকি লিগের ফাইনালে পৌঁছে গেলেন হরমনপ্রীতরা।
ম্যাচ শুরুর ২ মিনিটের মধ্যেই পেনাল্টি কর্নার পেয়ে গিয়েছিল ভারত। কিন্তু তা থেকে গোল করতে পারেনি ভারত। ৯ মিনিটে রেফারেল নিয়ে পেনাল্টি কর্নার পেয়ে যায় পাকিস্তানও। কিন্তু তাও কাজে লাগাতে পারেনি সর্দারদের প্রতিপক্ষ। দুই দলই প্রথম পেনাল্টি কর্নার নষ্ট করে। প্রথমটা নষ্টের পর অবশ্য দ্বিতীয় সুযোগ কাজে লাগাতে ভুল করেননি ভারতের ড্র্যাগ ফ্লিকাররা। ১২ মিনিটে পেনাল্টি কর্নার পেয়ে গিয়েছিল ভারত। পরদীপ মোর এই পেনাল্টি কর্নার আদায় করে নিলে তা গোলে রুপান্তরিত করেন হরমনপ্রীত সিংহ।
দ্বিতীয় কোয়ার্টারের শুরুতে পর পর দু’দলই আবার পেনাল্টি কর্নার পেয়ে গেলে প্রথম অর্ধের মতো কাজে লাগাতে পারেনি কেউই।২১ মিনিটে সর্দার সিংহর পাস থেকে তলবিন্দরের শট চলে যায় গোলে। ২-০ গোলে এগিয়ে যায় ভারত। এর পরই গ্রীন কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন মনদীপ সিংহ। এর পর ৩২ মিনিটে পেনাল্টি কর্নার আদায়নেন চিংলেনসেনা সিংহ। সেখান থেকে গোল করে যান হরমনপ্রীত। তৃতীয় কোয়ার্টারে পর পর গোল করে যান আকাশদীপ সিংহ ও পরদীপ মোর। ভারতের শেষ গোলটি আসে আকাশদীপের স্টিক থেকে সেই পেনাল্টি কর্নারেই। তার আগে কোনও রকমে এক গোল শোধ করতে পেরেছিল পাকিস্তান।