Wrestlers Protest

কেন্দ্রের বার্তা নিয়ে বিক্ষোভকারী কুস্তিগিরদের পাশে দঙ্গল কন্যা ববিতা, ব্রাত্য সিপিএম

প্রতিবাদী কুস্তিগিরদের সঙ্গে কেন্দ্রের দূত হয়ে দেখা করতে গেলেন ববিতা ফোগাট। গিয়েছিলেন বৃন্দা কারাটও। ববিতার সঙ্গে কথা বললেও কারাটের সঙ্গে কথা বলতে চাননি কুস্তিগিররা।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ১৯ জানুয়ারি ২০২৩ ১৫:৩০
Share:

বুধবার থেকে প্রতিবাদ জানাচ্ছেন একাধিক তারকা কুস্তিগির। ছবি: পিটিআই

নয়াদিল্লির যন্তর মন্তরে প্রতিবাদী কুস্তিগিরদের বোঝাতে কেন্দ্রের দূত হয়ে দেখা করতে গেলেন ববিতা ফোগাট। যদিও সিপিআইএমের পলিটব্যুরো সদস্য বৃন্দা কারাট সেখানে গেলে তাঁর সঙ্গে প্রতিবাদী কুস্তিগিররা কথা বলতে চাননি।

Advertisement

বুধবার থেকে প্রতিবাদ জানাচ্ছেন কুস্তিগিররা। তাঁদের অভিযোগ, জাতীয় কুস্তি সংস্থার সভাপতি ব্রিজভূষণ শরন সিংহের বিরুদ্ধে। ব্রিজভূষণ একাধিক কুস্তিগিরকে যৌন নিগ্রহ করেছেন বলে অভিযোগ। প্রাক্তন কুস্তিগির ববিতার আরও একটি পরিচয় যে, তিনি বিজেপির নেতা।

বুধবার বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে পদকজয়ী বিনেশ ফোগাট দাবি করেন, লখনউয়ে জাতীয় শিবিরে মহিলা কুস্তিগিরদের নিয়মিত যৌন হেনস্থা করতেন কোচেরা। এমনকী, ব্রিজভূষণের ভয় দেখিয়ে জোর করে কুস্তিগিরদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হওয়ারও চেষ্টা করতেন তাঁরা। বিনেশ যদিও জানিয়েছেন, নিজে কোনও দিন এই পরিস্থিতির সম্মুখীন হননি। বিনেশের পাশে দাঁড়িয়েছেন একাধিক তারকা কুস্তিগির। এঁদের মধ্যে রয়েছেন সাক্ষী মালিক, বজরং পুনিয়ারাও। তাঁদের সঙ্গে দেখা করেন ববিতা।

Advertisement

বজরং বলেন, “কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে ববিতা ফোগাট মধ্যস্থতা করতে এসেছিল। আমরা ওর সঙ্গে কথা বলব। সমস্ত বিস্তারিত ভাবে জানানো হবে ওকে। আমরা যদি দেশের জন্য লড়তে পারি, তা হলে আমরা নিজেদের জন্যেও লড়াই করতে পারি।” ববিতা কুস্তিগিরদের সঙ্গে দেখা করার পর বলেন, “আমি ওদের জানিয়েছি যে, কেন্দ্রীয় সরকার ওদের পাশে রয়েছে। আমি চেষ্টা করব যাতে আজকের মধ্যেই সব সমস্যা মিটে যায়।” ববিতা এবং তাঁর পরিবারকে নিয়েই তৈরি হয়েছিল আমির খানের ‘দঙ্গল’ ছবিটি। ববিতা এক সময় হরিয়ানার ক্রীড়া ও যুব কল্যাণ দফতরের ডেপুটি ডিরেক্টর ছিলেন। তিনি এর আগে টুইট করে লেখেন, “আমি আমার সতীর্থদের পাশে আছি। তোমাদের আশ্বস্ত করছি যে, এই বিষয় নিয়ে আমি সরকারের সঙ্গে কথা বলব। এবং সেই সিদ্ধান্তই নেওয়া হবে যা কুস্তিগিররা ঠিক মনে করবে।”

প্রতিবাদী কুস্তিগিরদের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন বৃন্দা কারাট। নয়াদিল্লির যন্তর মন্তরে ধর্নায় বসা কুস্তিগিররা তাঁকে তখনই সেই জায়গা ছেড়ে চলে যেতে বলেন। কুস্তিগিরদের এই প্রতিবাদকে রাজনৈতিক রং দিতে চাইছেন না তাঁরা। সেই কারণেই সিপিআইএমের কারাটকে সেই জায়গা থেকে চলে যেতে বলেন।

কংগ্রেস নেতা প্রিয়ঙ্কা গান্ধী টুইট করে প্রতিবাদী কুস্তিগিরদের পাশে দাঁড়িয়েছেন। তিনি টুইটে লেখেন, “কুস্তিগিররা খুবই গুরুতর অভিযোগ এনেছেন। কুস্তিগিররা আমাদের দেশের গর্ব। সারা বিশ্বে তাঁরা ভারতের নাম উজ্জ্বল করেছে। তাঁদের কথা শোনা উচিত। যে অভিযোগ আনা হয়েছে, তার বিরুদ্ধে তদন্ত হওয়া উচিত।”

ইতিমধ্যেই এই ব্যাপারে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে উত্তর চেয়েছে কেন্দ্রীয় ক্রীড়া মন্ত্রক। এক বিবৃতিতে ক্রীড়া মন্ত্রক জানিয়েছে, “অলিম্পিক্স এবং কমনওয়েলথ গেমসের পদকজয়ীরা যে প্রতিবাদ করেছেন এবং জাতীয় কুস্তি সংস্থার সভাপতি ও কোচেদের বিরুদ্ধে যে যে অভিযোগ করেছেন, তাকে মাথায় রেখে জাতীয় কুস্তি সংস্থার কাছে আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে। যে হেতু কুস্তিগিরদের মানসিক স্বাস্থ্যের ব্যাপারটি এর সঙ্গে জড়িত, তাই তাদের অভিযোগকে গুরুত্ব দিয়ে দেখছে মন্ত্রক। যদি ৭২ ঘণ্টার মধ্যে উত্তর না পাওয়া যায়, তা হলে জাতীয় কুস্তি সংস্থার বিরুদ্ধে ক্রীড়াবিধি মেনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন