wrestling

Wrestling: কমনওয়েলথের ট্রায়ালে রেফারিকে মার, আজীবন নির্বাসিত কুস্তিগির

সতেন্দ্রর বিরুদ্ধে পয়েন্ট দেন রেফারি জগবীর সিংহ। ম্যাচ হারার পরেই রেফারিকে মারেন সতেন্দ্র। তাই শাস্তি দেয় কুস্তি ফেডারেশন।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৭ মে ২০২২ ২১:৩৭
Share:

রেফারি জগবীর সিংহকে মারেন সতেন্দ্র। ছবি: টুইটার

কমনওয়েলথ গেমসের ট্রায়ালে রেফারির গায়ে হাত তোলায় কড়া শাস্তি পেতে হল কুস্তিগীর সতেন্দ্র মালিককে। তাঁকে আজীবন নির্বাসিত করেছে ভারতীয় কুস্তি ফেডারেশন। এয়ার ফোর্সের এই কুস্তিগীর আর কোনও দিন কুস্তিু প্রতিযোগিতায় নামতে পারবেন না।

কমনওয়েলথ গেমসের ট্রায়ালে ১২৫ কেজি বিভাগের ফাইনালে ৩-০ ব্যবধানে এগিয়ে ছিলেন সতেন্দ্র। কিন্তু ম্যাচ শেষ হওয়ার ১৮ সেকেন্ড আগে তিন পয়েন্টের আবেদন করেন সতেন্দ্রর প্রতিদ্বন্দ্বী মোহিত। রেফারি বীরেন্দ্র মালিক তাঁকে শুধু এক পয়েন্ট দেন। তার পরেই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করেন মোহিত। ম্যাচ রেফারির দায়িত্বে থাকা সত্যদেব মালিক যেহেতু সতেন্দ্রর গ্রামের বাসিন্দা তাই তিনি সিদ্ধান্ত নিতে চাননি। সিনিয়র রেফারি জগবীর সিংহকে সেই সিদ্ধান্ত নেওয়ার আবেদন করেন তিনি।

Advertisement

টেলিভিশনে রিপ্লে দেখে মোহিতকে তিন পয়েন্ট দেন জগবীর। ৩-৩ ব্যবধানে খেলা শেষ হয়। কিন্তু পরে পয়েন্ট কামানোয় মোহিতকে ম্যাচের জয়ী ঘোষণা করা হয়। এই সিদ্ধান্ত মেনে নিতে পারেননি সতেন্দ্র। তিনি ছুটে গিয়ে জগবীরের উপর ঝাঁপিয়ে পড়েন। তাঁকে মারধর করেন। এই ঘটনায় অনেকে হতবাক হয়ে যান। কিছু ক্ষণ পরে সেখানে উপস্থিত কুস্তিগিররা গিয়ে সতেন্দ্রকে থামান।

এই ঘটনার পরেই সতেন্দ্রকে সেখান থেকে বার করে দেওয়া হয়। তার পরে বৈঠকে বসেন কুস্তি ফেডারেশনের আধিকারিকরা। ফেডারেশনের সচিব বিনোদ তোমর বলেন, ‘‘আমরা সতেন্দ্রকে আজীবন নির্বাসিত করেছি। এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ফেডারেশনের সভাপতি।’’

Advertisement

এই প্রসঙ্গে রেফারি জগবীর সিংহ বলেন, ‘‘প্রধান বিচারক আমাকে বলেছিলেন রিপ্লে দেখে সিদ্ধান্ত নিতে। আমি রিপ্লে দেখে সেই ভিত্তিতেই আমার সিদ্ধান্ত জানাই। তার পরেই সতেন্দ্র ছুটে এসে আমাকে মারতে থাকে। আমি ঘটনায় ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন