উল্লাস: ছক্কায় ম্যাচ জিতিয়ে ইডেনে ইউসুফ। ছবি: দেশকল্যাণ চৌধুরী
বাংলা বছরের শেষ রাত ভাল কাটল না ক্রিকেটপ্রেমী বাঙালির। কিন্তু শনিবার ইডেনে দুই বাঙালি ক্রিকেটার নববর্ষকে বরণ করে নিলেন সাফল্য দিয়েই।
শনিবার ইনিংসের শুরুতেই ইডেনে ঋদ্ধিমান সাহার ব্যাট জ্বলে ওঠে। ঋদ্ধির মতো না হলেও শাকিব আল হাসানও ব্যাট হাতে ছিলেন বিধ্বংসী মেজাজে। বল হাতেও ফেরান বিপক্ষের দুই নির্ভরযোগ্য ব্যাটসম্যান ক্রিস লিন ও সুনীল নারাইনকে। জয়ের হাসিও শেষে তাঁরাই হাসেন।
ইডেনে আসার আগে শনিবার দুপুরে শহরের এক বাঙালি রেস্তোরাঁয় বন্ধুদের সঙ্গে বাঙালি খাবার খেয়ে আগাম নববর্ষ পালন করেন শাকিব। রাতেও আর এক দফা পালন করলেন বাংলার নতুন বছর আসার আনন্দ।
কিন্তু নববর্ষের আগের রাতে ইডেনের গ্যালারিতে থাকা বাঙালিদের মুখে এ দিন হাসি ফোটেনি। শাহরুখ খান শনিবার ইডেনে আসবেন বলে জানানো হয়েছিল কলকাতা নাইট রাইডার্সের পক্ষ থেকে। তিনি এসে পৌঁছননি।
বৃষ্টির জন্য প্রায় এক ঘণ্টা খেলা বন্ধ থাকল ইডেনে। দর্শকদের বাড়ি ফেরার দফা রফা। এ সবের পরেও ইডেনের দর্শকদের আশা ছিল, যদি ম্যাচটা জিততে পারে কলকাতা নাইট রাইডার্স। শেষে তাও হল না। বাঙালি ক্রিকেটপ্রেমীদের বর্ষবরণের রাত ভাল কাটবে কী করে?
ঋদ্ধি রাতে ইডেন ছাড়ার আগে বলে গেলেন, ‘‘কলকাতায় এসে নাইটদের হারানোর মজাই আলাদা। আমাদের বেশ কয়েকজনের ইডেনে খেলার অভিজ্ঞতা আছে। আমি তো ছোট থেকে এখানে খেলছি। শাকিব, ইউসুফ, মণীশরাও গত কয়েক বছর ধরে ইডেনে খেলেছে। আমাদের এই অভিজ্ঞতা অবশ্যই দলকে সুবিধা দিয়েছে। কেকেআর তাদের ঘরের মাঠে বেশ শক্তিশালী। ওদের হারাতে পারাটা তাই বেশি তৃপ্তিদায়ক।’’ নাইটদের এই প্রাক্তনীদের অভিনন্দন জানাতে অবশ্য ভোলেননি বর্তমান নাইটরা। কর্তারা এসেও তাঁদের অভিনন্দন জানান।
পরপর দুই ম্যাচে হেরে নাইট শিবির অবশ্য বিধ্বস্ত। তাদের অধিনায়ক দীনেশ কার্তিকের আফসোস, ‘‘১৬০-৭০ রান তুললে এখানে লড়াই করা যেত। সানরাইজার্সের বোলাররা যথেষ্ট ভাল। আসলে বিপক্ষের কেউ খারাপ বল করলে তাকে পেটাতে হয়। আজ তো সেই সুযোগটাই দেয়নি ওদের বোলাররা।’’
ঋদ্ধি অবশ্য অন্য রহস্য ফাঁস করলেন দলের। বলেন, ‘‘আমাদের দলের প্রত্যেকের যথেষ্ট স্বাধীনতা রয়েছে। এটা সবাই উপভোগ করে। আমাকে যেমন আমার মতো করে ব্যাট করতে বলা হয়েছে, তেমনই স্টাম্পের পিছন থেকে ফিল্ডিং সাজানো নিয়েও পরামর্শ দিতে পারি। এটাই আমাদের সাফল্যের রহস্য।’’