সুস্থ হয়ে ভারত ‘এ’ দলে ফেরা লক্ষ্য ঋদ্ধির

কিন্তু ৯ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু বাংলার প্রাথমিক শিবিরে যোগ দিতে পারবেন না ঋদ্ধি। ফিট ঘোষণা করা হলে তিনি সরাসরি যোগ দেবেন ভারতীয় ‘এ’ শিবিরে।

Advertisement

ইন্দ্রজিৎ সেনগুপ্ত

শেষ আপডেট: ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০৫:৩৩
Share:

ফিরছেন: মুস্তাক আলি ট্রফিতে খেলবেন ঋদ্ধিমান। ফাইল চিত্র

রিহ্যাবের শেষ পর্যায়ে রয়েছেন ঋদ্ধিমান সাহা। কয়েক দিনের মধ্যেই মাঠে ফিরবেন। সব ঠিক চললে ইংল্যান্ড লায়ন্সের বিরুদ্ধে বেসরকারি টেস্ট সিরিজেই প্রত্যাবর্তন ঘটতে পারে ভারতীয় উইকেটকিপারের। ১৫ জনের দলে না থাকলেও, ঋদ্ধি জানিয়েছেন, সুস্থ হলেই তাঁকে ভারত ‘এ’-র হয়ে খেলার সুযোগ দেওয়া হবে। সেই প্রস্তুতিও চলছে পুরোদমে। শনিবারই ঋদ্ধির জন্য অজয় রাত্রাকে কোচ হিসেবে নিয়োগ করেছে ভারতীয় বোর্ড। সোমবার থেকে তাঁর প্রশিক্ষণেই চলবে ঋদ্ধির সুস্থ হয়ে ওঠার প্রকল্প।

Advertisement

কিন্তু ৯ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু বাংলার প্রাথমিক শিবিরে যোগ দিতে পারবেন না ঋদ্ধি। ফিট ঘোষণা করা হলে তিনি সরাসরি যোগ দেবেন ভারতীয় ‘এ’ শিবিরে।

ঋদ্ধির কাঁধে যন্ত্রণা না থাকলেও পেশি শক্ত হয়ে যাওয়ার প্রবণতা কমেনি। এত দিন বেঙ্গালুরুর জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমির ইন্ডোরে ‘ডাইভ’ দেওয়ার অনুশীলন করতেন। কাঁধের চোট পরীক্ষা করার জন্য ঝাঁপিয়ে ক্যাচ নেওয়ার প্রস্তুতি চলত তাঁর। গত সপ্তাহ থেকে মাঠেও ‘ডাইভ’ দিচ্ছেন ঋদ্ধি। চলছে ব্যাটিং অনুশীলনও। সকালে রানিং, স্ট্রেচিংয়ের পরে ফিল্ডিং ও উইকেটকিপিং ড্রিলস করতে হয়। লাঞ্চের পরে নেট ও জিমে সময় কাটান ভারতীয় উইকেটকিপার।

Advertisement

শনিবার বেঙ্গালুরু থেকে ফোনে ঋদ্ধি বলছিলেন, ‘‘কাঁধে আর কোনও ব্যথা নেই। কিন্তু ‘ডাইভ’ দেওয়ার পরে কাঁধের পেশি শক্ত হয়ে যাচ্ছে। যত দিন না এটা কমবে, তত দিন রিহ্যাব চলবে। টি-টোয়েন্টি বা ওয়ান ডে খেলতে হলে খুব একটা অসুবিধা হবে না। কিন্তু চার দিনের ম্যাচের ক্ষেত্রে সমস্যা হতে পারে। আপাতত চার দিনের ম্যাচের জন্য তৈরি হচ্ছি।’’

ঋদ্ধির আশা, ইংল্যান্ড লায়ন্সের বিরুদ্ধে প্রথম বেসরকারি টেস্টে তিনি খেলতে না পারলেও, দ্বিতীয় টেস্টের আগে হয়তো সুস্থ হয়ে যাবেন। তাঁর কথায়, ‘‘আমার মূল লক্ষ্য এখন ভারতীয় ‘এ’ দলের হয়ে প্রত্যাবর্তন করা। প্রথম টেস্ট ৭ থেকে ১০ ফেব্রুয়ারি। সেখানে খেলতে না পারলেও ১৩ থেকে ১৬ ফেব্রুয়ারির ম্যাচে নামতে চাই।’’

সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফির প্রাথমিক শিবিরে থাকতে না পারলেও ১৭ ফেব্রুয়ারির পরে কলকাতায় ফিরছেন তিনি। দলের বাকি ক্রিকেটারেরা সেই সময় স্থানীয় লিগ খেলতে ব্যস্ত থাকবেন। ঋদ্ধি সেই সময়টি কাজে লাগাবেন আসন্ন প্রতিযোগিতার প্রস্তুতিতে। ‘‘অনেক দিন পরে বাংলার জার্সিতে ফিরতে চলেছি। ভাল পারফর্ম করতে মুখিয়ে রয়েছি। প্রাথমিক শিবিরে যোগ দিতে না পারলেও নিজেকে আলাদা ভাবে তৈরি করে নেব,’’ আত্মবিশ্বাসী শোনায় বঙ্গ উইকেটরক্ষককে।

বেঙ্গালুরুতে থাকলেও বাংলার অনূর্ধ্ব-২৩ দলের খবর নিয়মিত রাখছেন। গত দশ ম্যাচে সৌরাশিস লাহিড়ীর দলের অপরাজিত থাকার খবরও রয়েছে তাঁর কাছে। এ বার শুধু চ্যাম্পিয়ন হিসেবে অনন্ত সাহাদের দেখতে চান। ঋদ্ধি বলেন, ‘‘যে পারফরম্যান্স এত দিন করে এসেছে, ফাইনালে সেটাই আশা করছি। প্রতিযোগিতায় টানা ভাল পারফর্ম করেছে। সেমিফাইনালে বিদর্ভের বিরুদ্ধে পিছিয়ে গিয়েও দুরন্ত ভাবে ম্যাচে ফিরেছে বাংলা। দলের মধ্যে ভাল বোঝাপড়া না থাকলে এটা সম্ভব নয়। আমার বিশ্বাস ওরা চ্যাম্পিয়ন হয়েই ফিরবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন