Wriddhiman Saha

দ্বিতীয় পরীক্ষায় পজ়িটিভ ঋদ্ধি

কোনও সমস্যা হলে তাঁদের দ্রুত খবর দিচ্ছেন। স্ত্রী রোমি সাহা যদিও জানিয়েছেন, শারীরিক কোনও অস্বস্তি নেই ঋদ্ধির।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৪ মে ২০২১ ০৭:৩৮
Share:

—ফাইল চিত্র।

শরীরে কোনও অস্বস্তি নেই। জ্বর, কাশি, শারীরিক যন্ত্রণাও আর নেই। তবুও দ্বিতীয় বার করোনা পরীক্ষার ফল ‘পজ়িটিভ’ এল ঋদ্ধিমান সাহার।

Advertisement

এখন রবিবার পর্যন্ত দিল্লির টিম হোটেলে নিভৃতবাসেই থাকতে হবে বাংলার উইকেটকিপার ব্যাটসম্যানকে। ১৩তম দিনে আরও একটি পরীক্ষা হবে। সেখানে ‘নেগেটিভ’ এলে সোমবারের মধ্যে তাঁকে নিভৃতবাস থেকে ছুটি দেওয়া হবে কি না, সে বিষয়ে ভেবে দেখবেন চিকিৎসকেরা।

ঋদ্ধির জন্য টিম হোটেলেই মেডিক্যাল দলের ব্যবস্থা করা হয়েছে। কোনও সমস্যা হলে তাঁদের দ্রুত খবর দিচ্ছেন। স্ত্রী রোমি সাহা যদিও জানিয়েছেন, শারীরিক কোনও অস্বস্তি নেই ঋদ্ধির। আনন্দবাজারকে রোমি বলছিলেন, ‘‘ওর শারীরিক কোনও সমস্যা নেই। দু’দিন আগে এক বার পরীক্ষা করা হয়েছিল। তখন নেগেটিভ আসে ফল। কিন্তু এ বারের ফল কেন পজ়িটিভ এলো, বোঝা যাচ্ছে না। চিকিৎসকেরা বলছেন, ভাইরাস ক্ষতি করার জায়গায় থাকতে না পারলেও এখনও হয়তো সম্পূর্ণ নির্মূল হয়নি।’’

Advertisement

মে মাসের মাঝামাঝি সময়ের মধ্যেও সুস্থ হতে পারেননি ঋদ্ধি। আগামী মাসের শুরুতেই বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ও ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজ খেলার জন্য ইংল্যান্ড উড়ে যাবে ভারতীয় দল। তার আগে ফিটনেস পরীক্ষাও দিতে হবে ঋদ্ধিকে। করোনার ক্লান্তি কাটিয়ে উঠে তিনি কি আগামী সফরের জন্য তৈরি হতে পারবেন? তা সময়ই বলবে।

এ দিকে, বৃহস্পতিবার ইনস্টাগ্রামে যুজ়বেন্দ্র চহালের স্ত্রী ধনশ্রী বর্মা জানিয়েছেন, করোনায় আক্রান্ত হয়েছে তাঁর স্বামীর পরিবার। যুজ়বেন্দ্রর বাবা কে কে চহাল হাসপাতালে ভর্তি। মা সুনিতা দেবীর চিকিৎসা চলছে বাড়িতেই।

সাধারণ মানুষকে সাবধানতা অবলম্বন করার পরামর্শ দিয়ে ধনশ্রী বলেছেন, ‘‘এপ্রিল ও মে মাস আমাদের জন্যই খুবই কঠিন সময়। মানসিক ভাবেও অনেকটা ভেঙে পড়ছি আমরা। গত মাসে আমার মা ও ভাই করোনায় আক্রান্ত হয়েছিল। সেই সময় আমি আইপিএলের জৈব সুরক্ষিত বলয়ের মধ্যে ছিলাম। তাই নিজেকে খুবই অসহায় মনে হচ্ছিল।”

তিনি আরও লিখেছেন, “ফোনের মাধ্যমে যদিও যোগাযোগ রাখছিলাম। তবুও এই পরিস্থিতিতে পরিবারের পাশে থাকতে না পারার আক্ষেপ কাজ করছিল আমার মধ্যে। সৌভাগ্যবশত ওরা সুস্থ হয়ে উঠেছে। কিন্তু করোনার কেড়ে নিয়েছে কাকু ও কাকিমাকে।’’ যোগ করেন, ‘‘এ বার আমার শ্বশুর ও শাশুড়ি আক্রান্ত। আপাতত হাসপাতালে ভর্তি শ্বশুর। তাই আমাকেও হাসপাতালে যেতে হচ্ছে। সব রকম বিধি মেনেই চলাফেরা করতে হচ্ছে। আপনারাও এই পরিস্থিতির মধ্যে সাবধানে থাকুন। অতিরিক্ত প্রয়োজন না পড়লে বাইরে বেরোবেন না। যতটা সম্ভব ঘরের মধ্যে থাকার চেষ্টা করুন।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement