কখনও বা অধিনায়ক হিসাবে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের রেকর্ড ভেঙেছেন, কখনও বা ব্যাটসম্যান হিসাবে সচিন তেন্ডুলকরের রেকর্ড। তবে অধিনায়ক বিরাট কোহালি চলতি বছরে এমন কিছু সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, যাতে অবাক হয়েছিল ক্রিকেট বিশ্ব। দেখে নেওয়া যাক কোহালির তেমনই কিছু সিদ্ধান্ত।
প্রতিশ্রুতিমানদের হাতে সাফল্যের থিয়োরি হিসেবে তুলে দেওয়া যায়, এমন কিছু কোহালিয়ানার নির্দশন দেখা গিয়েছে। তবে অনেক সিদ্ধান্তকে হঠকারিও বলেছেন ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরা। যেমন সেঞ্চুরিয়ন টেস্টে ভুবনেশ্বর কুমারকে বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত।
মোট ৬ উইকেট পেয়েছিলেন ভুবি, ৩৮ রানও করেছিলেন। কিন্তু দ্বিতীয় ম্যাচে কোহালির সিদ্ধান্তে বাদ পড়েন ডান হাতি পেসার। ৭৫ রানে দ্বিতীয় ম্যাচ জিতে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা।
বড় ফরম্যাটের ক্রিকেটে অজিঙ্ক রাহানে বেশ ভালই খেলেন। কিন্তু দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে দু’টি টেস্টেই বাদ পড়েন অজিঙ্ক রাহানে, বদলিতে খেলেন রোহিত শর্মা।
রোহিত একেবারেই কিছু করতে পারেননি। তৃতীয় টেস্টে রাহানে সুযোগ পান প্রথম একাদশে, ৪৮ রান করেন তিনি।
ইংল্যান্ডের এজবাস্টনে প্রথম টেস্টে বিরাটের সিদ্ধান্তে বাদ পড়েছিলেন চেতেশ্বর পূজারা। তিন নম্বরে নেওয়া হয়েছিল লোকেশ রাহুলকে। কিন্তু কর্নাটকের ব্যাটসম্যান একেবারেই খেলতে পারেননি।
পরবর্তী ৪টি টেস্ট মিলিয়ে ২৭৮ রান করেছিলেন পূজারা। চলতি অস্ট্রেলিয়া সিরিজেও সৌরাষ্ট্রের এই ব্যাটসম্যান দারুন খেলছেন।
ফাস্ট বোলারদের জন্য ইংল্যান্ডের পিচ অপ্রতিরোধ্য। কিন্তু কোহালির টিমে ছিলেন দুই স্পিনার, কুলদীপ যাদব ও রবিচন্দ্রন অশ্বিন। কিন্তু কেউই সফল হননি।
কুলদীপরা সফল হলেন না, কিন্তু ইংল্যান্ডের পেস বোলাদের মধ্যে কিন্তু জেমস অ্যান্ডারসন ৯ উইকেট পান। লর্ডসে এক ইনিংস, ১৫৯ রানে দ্বিতীয় ম্যাচ জেতে আয়োজক দেশ ইংল্যান্ড। এর পর কুলদীপকে বসানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
পার্থে দ্বিতীয় টেস্টে চার পেসার নিয়ে খেলানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। ইশান্ত শর্মা, মহম্মদ শামি, যশপ্রীত বুমরারা ভাল খেলেছিলেন। ব্যর্থ হয়েছিলেন উমেশ যাদব।
অস্ট্রেলীয় স্পিনার নাথান লায়ন মোট ৯টি উইকেট পেয়েছেন। এ দিকে ভারতীয় দলে ছিলেন শুধুমাত্র অনিয়মিত স্পিনার হনুমা বিহারী। প্রথম ইনিংসে দুটি উইকেট ছিল তাঁর দখলে। পারথে ফ্রন্টলাইন স্পিনার থাকলে ফল আরও অন্যরকম হতে পারত বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।