ওয়াইএমসিএ-কে মরসুমে প্রথম ট্রফি জিতিয়ে ক্যাপ্টেন চাওলা। বুধবার। ছবি: উৎপল সরকার।
শ্রীবৎস গোস্বামীর সেঞ্চুরি (১০৬), দ্বিতীয় উইকেটে সেঞ্চুরি পার্টনারশিপ, কিছুই কাজে এল না। পি সেন ট্রফির ফাইনালে হারল কালীঘাট ক্লাব। মরসুমের প্রথম ট্রফি জিতল ওয়াইএমসিএ। ঘরোয়া ক্রিকেটে চলতি মরসুমে এ এন ঘোষ ট্রফির পর এই নিয়ে টানা দ্বিতীয় টুর্নামেন্টের ফাইনালে ব্যর্থ মনোজ তিওয়ারিরা। কালীঘাটের ২৩৫ রানের জবাবে ৩৩.৩ ওভারেই ওয়াইএমসিএ ২৪১-৩ তুলে জিতে যায়।
অথচ পীষূষ চাওলা, মনদীপ সিংহদের ওয়াইএমসিএ যে এ রকম হাসতে হাসতে জিতবে প্রথমে বোঝা যায়নি। ওপেনার সৌরাশিস লাহিড়ী (১২) দ্রুত ফিরে যাওয়ার পর এক দিকে শ্রীবৎস আর অন্যদিকে সুদীপ চট্টোপাধ্যায় (৪৪) দাপটে ব্যাটিং করছিলেন। কিন্তু শ্রীবৎস ফেরার পরই মিডল অর্ডারে ধস। যার ধাক্কায় ১৩৯-১ থেকে এক সময় ২০১-৭ হয়ে গিয়েছিল কালীঘাট। ব্যর্থ মনোজও (৩)। ওয়াইএমসিএর মনদীপ সিংহকে তো নামতেই হয়নি। তাদের এ দিনের নায়ক অভিষেক রমন (৯৭)। সেঞ্চুরি পেলেন না, কিন্তু দলের জয়ের ভিতটা তিনিই গড়ে দিয়ে যান। যার উপর ভর করে ঋত্বিক রায়চৌধুরী (৫৬) আর পীষূষ চাওলা (৪৬ ন.আ) দলকে চ্যাম্পিয়ন করার কাজটা সহজে সেরে ফেলেন।
ওয়াইএমসিএ ক্যাপ্টেন চাওলা রান পাওয়ার পাশাপাশি এক উইকেট নিয়ে বলেন, ‘‘কলকাতায় খেলতে দারুণ লাগে। বরাবরই এখানে খেলাটা উপভোগ করি।’’ কেকেআরকে গত বার আইপিএল জেতায় সাহায্য করেছিলেন। এ বার স্থানীয় ক্লাবকে ট্রফি দিলেন। পরের মরসুমে আবার আসবেন ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলতে? পীষূষের চটজলদি জবাব, ‘‘আবার ডাকলে নিশ্চয়ই আসব।’’
তবে টানা দুটো ফাইনালে হারের পরও কালীঘাট ক্যাপ্টেন মনোজ তেওয়ারি মরসুম খুব একটা খারাপ গিয়েছে বলে মনে করেন না। চলতি মরসুমে শুধু জেসি মুখার্জি ট্রফি দখলে রাখা কালীঘাট ক্যাপ্টেন বলে দেন, ‘‘পুরো ব্যর্থ মরসুম বলব না। ক’য়েকটা টুর্নামেন্টের ফাইনালে উঠেছি আমরা। কিন্তু চ্যাম্পিয়ন হওয়ার চেষ্টা করলেও পারিনি।’’ প্রশ্ন উঠছে এ রকম একটা গুরুত্বপূর্ণ টুর্নামেন্টে অশোক দিন্দাকে কেন খেলানো হল না? তাঁর অভাব তো ভাল রকমই টের পাওয়া গেল। কালীঘাট ক্যাপ্টেন বলে দেন, ‘‘এ ব্যাপারে আমার কিছু বলার নেই। ক্লাবকর্তাদের জিজ্ঞেস করুন।’’ শোনা গেল দিন্দা নাকি আগেই বিশ্রামের ব্যাপারটা জানিয়ে দিয়েছিলেন ক্লাবকে। তাই তাঁর এই টুর্নামেন্টে রেজিস্ট্রেশনই হয়নি।