‘আমি নিজের ক্ষমতার উপরই বেশি ভরসা করি’ আইপিএল-এ তৃতীয় সেঞ্চুরি করার পরই এই কথা জানিয়ে দিলেন বিরাট কোহালি। শনিবারই বেঙ্গালুরুতে গুজরাত লায়ন্সকে হারিয়েছে তাঁর দল। সেই ম্যাচে ৫৫ বলে তাঁর ১০৯ রানের ইনিংস আরও এক বার দেখিয়ে দিয়েছে এই মুহূর্তে ভারতীয় ক্রিকেটে তিনিই সেরা।
ম্যাচ জিতে তাই বিরাট হয়ত বুঝিয়ে দিলেন রহস্যটা আসলে কোথায়?
‘‘আমি দেখলাম ওরা আমার জন্য অফ স্টাম্পের বাইরে বল করার পরিকল্পনা করেছে। আর সরাসরি বাউন্ডারিতে দু’জন ফিল্ডারকে রেখেছে। ওঁরা চাইছিল আমি কিছু ভুল করি। সেই সময় বুঝে গিয়েছিলাম ওঁরা আমাকে কী ভাবে আউট করতে চাইছে। তাই সময় নিয়ে ব্যাট করছিলাম। প্রথম ২০-২৫ বলে বড় শট নেওয়ার চেষ্টা না করে প্রতি বলে এক রানই ছিল লক্ষ্য। কারণ, আমার বিশ্বাস ছিল পরের ১৫ বলে আমি ৪০-৪৫ রান তুলে নেব। এখন আমার নিজের ক্ষমতার উপর বিশ্বাস অনেক বেড়েছে। ওভার বাউন্ডারির শট নেওয়ার ক্ষমতা বেড়েছে। শেষের দিকে বাউন্ডারির জন্য জায়গা খুঁজে নিতে পারছি।’’
কিন্তু শেষের দিকে কী ভাবে মাথা খাটিয়ে চায়নাম্যান বোলারকে সামলালেন বিরাট?
‘‘যখন চায়নাম্যান বোলার শিভিল কৌশিক বল করতে এল তখন আমি জানতাম ওর বোলিং লেংথের উপর বেশি নিয়ন্ত্রণ থাকবে না। তাই আমি ফ্রন্ট ফুটে খেলার জন্য তৈরি ছিলাম। কিন্তু আমি স্টেপ আউট করে মারতে চাইনি। কারণ, ওকে কোনও সুযোগ দিতে চাইনি। যদি পিচে কোনও টার্ন না থাকত, যদি ফ্ল্যাট বল হত তাহলে আমি বোলারের মাথার উপর দিয়ে ছক্কা হাঁকাতাম। না হলে যতক্ষণ ক্রিজে টিকে থাকা যায় ততক্ষণ থাকার চেষ্টা করতাম।’’
প্রতি বলেই যখন বোলারকে ছক্কা হাঁকাতে ইচ্ছে করে তখন ঠিক কী করেন বিরাট কোহালি?
‘‘আমি হেড কোচ ড্যানিয়েল ভেত্তোরিকে বলছিলাম, প্রথম ওভারে আমার টিম সৌদিকে সব বলেই ছক্কা মারতে ইচ্ছে করছিল। কিন্তু আমি নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করলাম। কারণ আমি খেলাটাকে শ্রদ্ধা করি। আমি ধীরে ধীরে খেলাটাকে তৈরি করতে চেয়েছিলাম। কখনও সেটা করতে গিয়ে আউটও হয়ে গিয়েছি। যে ভাবে এর আগের ম্যাচে হয়েছিলাম।’’ এমনটাও যে মাঝে মাঝে হয় তা-ও মেনে নিলেন বিরাট। সব সময় তাঁর ব্যাট কথা নাও বলতে পারে কিন্তু চেষ্টাটা তিনি চালিয়ে যাবেন।
বিরাটের জীবনে এখন শুধুই খাওয়া, ঘুমোনো, ট্রেনিং। এই তিনে আটকে জীবনটাকে বোরিং করে ফেলা বিরাটের কাছে একটাই চ্যালেঞ্জ, ধারাবাহিকতা। তাই হয়তো বললেন, ‘‘যতক্ষণ না বোর হব ততক্ষণ ধারাবাহিকতা আসবে কী করে।’’
আরও খবর
বিরাট-এবি ঝড়ে কেঁপে গেল গুজরাত লায়ন্স