অবনমন বাঁচাতে এ বার ফাদার ডেভিডের শরণাপন্ন হল মহমেডান। যিনি স্থানীয় একটি গির্জার ফাদার।
আজ শুক্রবার পুণে যাচ্ছেন জোসিমার-অসীমরা। খালিদ জামিলের মুম্বই এফ সি-র বিরুদ্ধে খেলতে। বাঁচতে হলে ওই ম্যাচ জিততেই হবে সাদা-কালো ব্রিগেডকে। এবং সেই ম্যাচ খেলতে আগের দিন সকালের অনুশীলনে ফাদারকে নিয়ে আসেন পেন ওরজি। যিনি নাইজিরিয়ান মিডিও-র স্থানীয় অভিভাবকও।
বৃহস্পতিবার অনুশীলনের পর কোচ সঞ্জয় সেন এবং ক্লাব কর্তা কামারুদ্দিনের মতোই পুরো মহমেডান টিমকে উদ্বুদ্ধ করেন ফাদার ডেভিড। বলেন, “তোমরা প্রতেকেই ভাল ফুটবলার। মুম্বই এফসি ম্যাচ জেতা কোনও বড় ব্যাপার নয়। আর তোমরা জিতবেও। তোমাদের জন্য আমি প্রার্থনা করব।”
রবিবার মহমেডান যখন অবনমন বাঁচানোর জন্য লড়াই করবে, তখন কলকাতায় নেহাত-ই নিয়মরক্ষার ম্যাচে লাজং এফসি-র মুখোমুখি হবে মোহনবাগান। ওই ম্যাচে কাতসুমি-ইচেদের কোনও মোটিভেশনই নেই। কোচ করিম বেঞ্চারিফা বুধবার রাতে সিঙ্গাপুর থেকে ফিরে এ দিন সকালে প্র্যাকটিসে যোগ দেন। মরক্কান কোচ অবশ্য বললেন, “ফুটবলারদের বলেছি, নিজেদের প্রমাণ করার জন্য এই ম্যাচ তোমরা ভাল খেলার চেষ্টা করোে।” তবে তাতে কতটা চিঁড়ে ভিজবে সন্দেহ আছে। কারণ শিল্টন পাল, রাম মালিক, প্রীতম কোটাল-সহ যাঁদের সঙ্গে চুক্তি আছে, তাঁদের বাইরে থাকা ফুটবলাররা নতুন ক্লাবের খোঁজ করছেন। এর মধ্যে ওকোলি ওডাফা-ক্রিস্টোফারও আছেন। এ দিন অবশ্য অনুশীলনে আসেননি ওডাফা ওকোলি। কেন আসেননি তা অবশ্য জানেন না কোচ বা সহকারী কোচ কেউই। শোনা যাচ্ছে তিনি পরের মরসুমে ক্লাব খুঁজতে ব্যস্ত। যে স্ট্রাইকারের পেছনে এত দিন সব ক্লাব ছুটে বেড়াত, বাগানের সেই দু’কোটির ওডাফার কাছে এখনও কোন ক্লাবের প্রস্তাব নেই। তিনি এখন নিজে থেকে কলকাতা এবং কলকাতার বাইরে বিভিন্ন ক্লাবের কর্তাদের এসএমএস করছেন। তাঁর এজেন্ট যোগাযোগ করছেন ইস্টবেঙ্গল, ইউনাইটেড কর্তাদের সঙ্গেও। যদি খেলার একটা সুযোগ পাওয়া যায়। ওডাফার মতো অবস্থা মোহন কোচ করিম বেঞ্চারিফারও। পরের মরসুমে কোচিং করানোর জন্য মোহনবাগানের সঙ্গে সুভাষ ভৌমিকের কথা প্রায় পাকা। অন্য কোনও ক্লাবের থেকেও কোনও প্রস্তাব পাননি করিম। তবে আত্মবিশ্বাসী মরক্কান কোচ এ দিন বললেন, “মোহনবাগান যদি না রাখে কিছু তো করার নেই। তবে পরের বার আই লিগের কোনও না কোনও টিমে কোচিং করাব।” শোনা যাচ্ছে লাজং এফ সিতে যাওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছেন করিম।
ইস্টবেঙ্গল অবশ্য আর্মান্দো কোলাসোকেই কোচ রাখতে চাইছে। তাদের আশা সব কিছু ঠিকঠাক চললে শেষ ম্যাচ খেলে ২৯ এপ্রিল গোয়া যাওয়ার আগে আর্মান্দো চুক্তিপত্রে সই করে দেবেন। তবে দেশের অন্যতম সেরা ক্লাব কোচ কিছু শর্ত রাখতে চান ক্লাবের কাছে। ময়দানের প্রথম গোয়ান কোচ এখনও কোনও পছন্দের বিদেশির তালিকা জমা দেননি। জেমস মোগা বাতিলের খাতায়। উগা ওপারাকে আগে দেখা হবে তিনি ফিট কি না? তার পরই ওপারার সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নেবেন ক্লাব-কর্তারা। চিডি আর সুয়োকাকে নিয়ে অবশ্য এখনও সিদ্ধান্ত ঝুলে রয়েছে। ওঁদের দু’জনের ভাগ্য নির্ভর করছে কোচ আর্মান্দোর থাকা না থাকার উপর।