বন্ধুদের অ্যালবামে ধোনি।
টিভিতে খবরটা দেখেই মন খারাপ হয়ে গিয়েছিল দীপক, সত্যপ্রকাশদের। চোখের সামনে ভেসে উঠছিল কয়েকটি টুকরো টুকরো ছবি। মহেন্দ্র সিংহ ধোনির আচমকা টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসর নেওয়ার সিদ্ধান্ত কিছুতেই মেনে নিতে পারছেন না এক সময় ধোনির কোচ সুব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়ও। “আরও কয়েক দিন ছেলেটা খেলে যেতে পারত। আসলে ধোনি খুব আবেগপ্রবণ, তাই হয়তো সরে দাঁড়াতে হয়েছে,” বলছিলেন সুব্রতবাবু। ধোনির ঘনিষ্ঠ বন্ধু সত্যপ্রকাশ কৃষ্ণের কথায়, “হঠাত্ চমকে দেওয়াটা ধোনির বরাবরের স্বভাব। মাস পাঁচেক আগে শেষবার কথা হয়। তবে এ সব কথা বলেনি।”
সালটা ২০০১। ওই বছরের ১১ জুলাই খেলার কোটায় রেলে টিকিট পরীক্ষকের চাকরি পেয়ে খড়্গপুরে আসেন ধোনি। প্রথমে গোলখুলির রেল কোয়ার্টারে কিছু দিন কাটলেও পরে সত্যপ্রকাশের বাড়িতেই থাকতেন ধোনি। সেখান থেকেই খড়্গপুরে রেলের স্টেডিয়ামে নিয়মিত চলত অনুশীলন। খেলার পাশাপাশি ধোনির সঙ্গে রেলস্টেশনে দাঁড়িয়ে টিকিট পরীক্ষাও করেছেন সত্যপ্রকাশ। তাঁর কথায়, “এক দিনের ক্রিকেট মাহির ধ্যান-জ্ঞান। ২০১৪ সালে আইপিএলের সময় রাঁচির স্টেডিয়ামে ধোনির সঙ্গে দেখা হয়েছিল। তখনও ও ওয়ান ডে ও টি টোয়েন্টি ক্রিকেটের পছন্দের কথাই বলছিল।”
২০০৪ সালে ভারতীয় দলে সুযোগ পেয়ে খড়্গপুর ছাড়েন ধোনি। খড়্গপুুরে রেলের ক্রিকেট কোচ সুব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে ধোনি নিয়মিত অনুশীলন করতেন। বুধবারও খড়্গপুর স্টেডিয়ামে দাঁড়িয়ে সুব্রতবাবু বলে চলেন, “খুব কাছ থেকে দেখেছি ধোনিকে। আমার বিশ্বাস, সব কিছু ভুলে ও বিশ্বকাপ জয়ের জন্য ঝাঁপাবে।”
ঝাড়খণ্ডে ধোনির সঙ্গে রঞ্জি খেলে আসা দক্ষিণ-পূর্ব রেলের কমার্শিয়াল ক্লার্ক দীপক সিংহ আবার ফিরে যাচ্ছিলেন পুরনো দিনে। বলেন, “মাহি খুব ভোজন রসিক। চাকরির বেতন বা বিভিন্ন প্রতিযোগিতা থেকে রোজগার করা টাকার বেশিরভাগটাই ধোনি খাওয়ার পিছনেই খরচ করত। একসাথে নাগপুরে ইন্টার রেল ক্রিকেট প্রতিযোগিতা খেলতে যাওয়া বা দিঘায় বেড়াতে গিয়ে ওঁর খাওয়ানোর স্মৃতি ভোলার নয়।”