আই এস এলের দলগঠনে বড় চমক দিল পুণে। তারা সুপার লিগে আইকন ফুটবলার করে আনল তারকা বিশ্বকাপার দাভিদ ত্রেজেগুয়েকে।
ফ্রান্সের হয়ে ১৯৯৮ বিশ্বকাপ জয়। ২০০০-এর ইউরো ফাইনালে সোনালি গোল। ফ্রান্সের ইতিহাসে সর্বোচ্চ গোলদাতার তালিকায় তৃতীয়। এরকম একজনকে চুক্তিবদ্ধ করার পর উচ্ছসিত পুণে কর্তারা। এ দিন আবার পুণে দলের নামকরণ করা হল পুণে সিটি।
স্প্যানিশ ডিফেন্ডার বিশ্বকাপ জেতা জোয়ান কাপদেভিয়াকে নিয়েছে গুয়াহাটির ফ্রাঞ্চাইজিরা। স্প্যানিশ মিডিও লুই গার্সিয়া সই করেছেন কলকাতা টিমে। ত্রেজেগুয়ে অবশ্য সাফল্যের নিরিখে দু’জনের থেকে এগিয়ে। ফ্রান্সের তারকা আইকন হিসাবে খেলতে আসায় অক্টোবরে শুরু হতে যাওয়া সুপার লিগ নতুন মাত্রা পেয়ে গেল।
আট বছর বয়সে আটলেটিকো প্লাটেন্সের যুব দলে খেলা শুরু করেন ত্রেজেগুয়ে। যেখান থেকে মোনাকোয় সই করেন ফরাসি তারকা। কিন্তু ১৯৯৯ থেকে ২০১১ ইতালীয় ক্লাব জুভেন্তাসে এসে ট্রেজেগুয়ে প্রমাণ করেন বিশ্বের সর্বকালের সেরা স্ট্রাইকারদের মধ্যে তিনি এক জন। ২৪৫ ম্যাচে জুভেন্তাস জার্সিতে ১৩৮ গোল করেন ত্রেজেগুয়ে। সাহায্য করেন দুটো সেরি এ জিততে। জাতীয় দলের জার্সিতে ১৯৯৮ সালে বিশ্বকাপজয়ী দলের সদস্য ছিলেন তিনি। ইউরো ২০০০-এর ফাইনালে ইতালির বিরুদ্ধে সোনালী গোল আজও মনে রেখেছেন ফুটবলপ্রমীরা। পুণের সিইও গৌরভ মদওয়েল বললেন, “ত্রেজেগুয়ের মতো ফুটবলার থাকায় দল আরও শক্তিশালী হল। আমাদের সঙ্গে ফিওরেন্তিনার চুক্তি হয়েছে। সেখানে পুরো টিমকে অনুশীলন করতে পাঠাবো।” পুণের কোচ ফ্রাঙ্কো কোলোম্বার আবার নাপোলি, পার্মার মতো ক্লাবকে কোচিং করানোর অভিজ্ঞতা আছে তাঁর। ইতিমধ্যেই পুণে সই করিয়েছে ইতালি ফুটবলার ব্রুনা সিরিলো (ডিফেন্ডার) ও এমানুয়েল বেলার্দিকে(গোলকিপার)।
পাশাপাশি আবার বেলজিয়ামের কোচ হার্ম ফান ভেল্দোভেনকে নতুন কোচ হিসাবে ঘোষণা করল দিল্লি ডায়নামো। বেলজিয়ান ক্লাব লোমেল থেকে কোচিং জীবন শুরু হার্ম ফান। দিল্লির সঙ্গে চুক্তি হওয়ার পর তাঁর প্রতিক্রিয়া, “দিল্লি টিমের কোচ হওয়ার পর আমার একমাত্র লক্ষ্য রাজধানীর টিমকে চ্যাম্পিয়ন করা।”