নেইমার আটকে গেলে প্ল্যান বি নেই।
এক) ব্রাজিল নিজস্ব ফুটবলটা খেলতে পারছে না। খেলছে ইংলিশ ফুটবল। দুটো পাস খেলেই বল উঁচু করে তুলে দিচ্ছে বিপক্ষের বক্সে। বল পায়ে রাখার খেলাটা ব্রাজিল খেলছে না।
দুই) নেইমারকে আটকাতে সব কোচই দু’-তিনজনকে লাগাচ্ছেন। বিপক্ষ ডিফেন্সের এই ফাঁকা জায়গার সুযোগটা ফ্রেড, জো বা অস্কাররা নিতে পারছে না।
তিন) মিডফিল্ড এবং ফরোয়ার্ড লাইনের মধ্যে সংযোগের অভাব। মাঝখানে অনেকটা জায়গা ফাঁকা থেকে যাচ্ছে। মিস পাসও হচ্ছে প্রচুর। চিলি ম্যাচে যা থেকে গোল হজম করতে হয়েছে।
চার) হাল্ক পেনাল্টি কিক নষ্ট করলেও খারাপ খেলেনি। সিজার গোলে না থাকলে ব্রাজিল এ দিনই বিদায় নিত। বাকিরা নিজেদের খেলাটাই খেলতে পারছে না।
পাঁচ) চারটে ম্যাচের মধ্যে ক্যামেরুন ম্যাচ ছাড়া কোনও ম্যাচেই প্রত্যাশার ধারেকাছে পৌঁছতে পারেনি ব্রাজিল। আর ক্যামেরুন যখন নেইমারদের বিরুদ্ধে খেলতে নেমেছিল তখন তাদের কার্যত বিদায় হয়ে গিয়েছে। চাপে পড়লে নার্ভ ধরে রাখতে পারছে না টিমটা।
ছয়) ব্রাজিল রক্ষণ চিলির বিরুদ্ধে তেমন খারাপ খেলেনি। ১-১ হয়েছে কিন্তু রক্ষণের দোষে নয়। তবে সিজার পিছনে ছিল বলে ওদের সমস্যা কম হয়েছে। ব্রাজিল কিপার ফর্মে রয়েছে এটা ভাল দিক।
গোলের সামনে সমানে ব্যর্থ জো-রা।
সাত) নেইমার কিন্তু মেসি বা মুলার হতে পারছে না। কোনও ম্যাচই একার কৃতিত্বে জেতাতে পারেনি এখনও। মার্কার ছাড়িয়ে বেরিয়ে আসতে পারছে না। উল্টে প্লে অ্যাকটিং করছে।
আট) ব্রাজিলের প্রচুর প্লেয়ারের একটা করে হলুদ কার্ড হয়ে রয়েছে। লুই গুস্তাভো তো পরের ম্যাচে নেই। নক আউট পর্যায়ে একটা কার্ড কিন্তু বিপজ্জনক। স্কোলারিকে ফুটবলার বাছার ব্যাপারে তাই অতি-সতর্ক হতে হবেই।
ব্রাজিলের ১-০ এগিয়ে যাওয়ার আবেগ। তখনও অনেক নাটক বাকি। ছবি: এএফপি