চার ম্যাচে দুটো হার। অধিনায়কের ব্যাটে রানের খরা। তবু কলকাতা নাইট রাইডার্স আইপিএল সাতের শেষ চারে উঠবে, মনে করছেন ওয়াসিম আক্রম।
কেকেআরের পরামর্শদাতার দায়িত্বে থাকা পাকিস্তানের প্রাক্তন অধিনায়ক বলে দেন, “দল গঠনের সময় দুটো ব্যাপারে জোর দিয়েছিলাম আমরা-- টিম প্লেয়ার আর অবশ্যই ব্যক্তিগত ভাবে ম্যাচ উইনার। ইউসুফ, সাকিব আল হাসান, রবিন উথাপ্পা, আন্দ্রে রাসেল--- এরা সবাই টিম প্লেয়ার। দলগত খেলায় এ রকম প্লেয়ারই প্রয়োজন হয়, যারা খারাপ সময়ে একে অপরের পাশে দাঁড়াবে।” সঙ্গে তিনি যোগ করেন, “টুর্নামেন্টে কঠিন সময় আসেই। এত বড় টুর্নামেন্ট। ক’য়েকটা ম্যাচে হারও হজম করতে হয়। তাই আমরা টিম প্লেয়ার আর ব্যক্তিগত দক্ষতার ব্যাপারে এত জোর দিয়েছিলাম।”
চলতি মরসুমে নাইট রাইডার্স শেষ চারে উঠতে পারবে কি না প্রশ্নে আক্রম বলে দেন, “কেকেআর-কে শেষ চারে দেখতে পাচ্ছি। ফাইনালেও দেখতে চাই। আমাদের যথেষ্ট ভাল বোলিং আক্রমণ রয়েছে। ফিল্ডিংও ধারাবাহিক ভাবে ভাল হচ্ছে। তাই এই সুযোগটা কিন্তু থাকছেই।” ২০১০-২০১২ তিন মরসুম আক্রমকে কেকেআরের ডাগআউটে দেখা গিয়েছে। এ বার তাঁর ভূমিকা কী? আক্রম বলেন, “আমার অভিজ্ঞতা থেকে নতুন আইডিয়া দেওয়ার চেষ্টা করি। ওরা সেটা উপভোগও করছে। টুর্নামেন্ট সদ্য শুরু হয়েছে তবে এর মধ্যেই সবাই পরস্পরের সঙ্গ উপভোগ করছে। এত বড় টুর্নামেন্টে যেটা খুব ভাল লক্ষণ।”
কেকেআরের ‘যথেষ্ট ভাল বোলিং’ নিয়ে প্রশ্ন করলে আক্রম বলেন, “বিদেশি প্লেয়ার হিসেবে মর্নি মর্কেল, প্যাট কামিন্স রয়েছে। তা ছাড়া বীরপ্রতাপ, বিনয় কুমার আর উমেশ যাদবের মতো বোলারও রয়েছে। উমেশ দারুণ প্লেয়ার। দুরন্ত গতিতে বল করতে পারে। কেন যে জাতীয় দলে ও সুযোগ পাচ্ছে না বুঝতে পারছি না।” আইপিএল সাতের প্রথম পর্বের ম্যাচ আরব আমিরশাহিতে হওয়া প্রসঙ্গে তাঁর মত, “অন্য মাঠে অন্য দর্শকের সামনে টুর্নামেন্টও বদলে যায়। তবে মিলও কিন্তু রয়েছে। ঠাসা স্টেডিয়ামে দর্শকরা কিন্তু দারুণ ভাবে ম্যাচগুলো উপভোগ করছেন।”
কথা প্রসঙ্গে ২০১৫ বিশ্বকাপে ভারতীয় বোলিং আক্রমণ নিয়ে প্রশ্ন করলে আক্রম বলেন, “এখনও এক বছর বাকি। মনে হয় শামি, ভুবনেশ্বর থাকবে। তবে তার সঙ্গে উমেশ থাকলে ভারতের বোলিং আক্রমণটা আরও পরিণত হবে।”