মহেন্দ্র সিংহ ধোনিরা যখন রবিবার দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে বিশ্বকাপ ম্যাচ খেলে উঠবেন, তার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে ভারতীয় ক্রিকেটের দ্বিতীয় যুদ্ধ তার শেষ রাউন্ডে ঢুকে পড়বে। যেটা বিশ্বকাপের সঙ্গেই চলছে সমান্তরাল আর যাকে যথেষ্ট জমজমাট দেখাচ্ছে।
আগামী ২ মার্চ চেন্নাইয়ে বোর্ড নির্বাচন। কিন্তু তার আগে আগামী সোমবার সুপ্রিম কোর্টে দুপুর দু’টোয় একটা নতুন মামলা দায়ের করবেন বিহার ক্রিকেট সংস্থার সচিব আদিত্য বর্মা। অবশ্যই সেটা নারায়ণস্বামী শ্রীনিবাসনের বিরুদ্ধে আর মামলাটা আদালত অবমাননার। মামলার মূল বক্তব্য বোর্ড নির্বাচনে শ্রীনি কোনও ভাবেই দাঁড়াতে পারবেন না, দেশের সর্বোচ্চ আদালতের এমন ঐতিহাসিক রায়ের পরেও বোর্ডের শেষ ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক চেয়ার করেছেন শ্রীনি। যা পরিষ্কার আদালত অবমাননা। শুধু শ্রীনিই নন, আরও তিন জনের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা আনা হচ্ছে। বোর্ডের কার্যনির্বাহী প্রেসিডেন্ট শিবলাল যাদব। সচিব সঞ্জয় পটেল। এবং কোষাধ্যক্ষ অনিরুদ্ধ চৌধুরি। যাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, এঁরা রায় সম্পর্কে ওয়াকিবহাল থেকেও শ্রীনিকে চেন্নাইয়ে গত ৮ ফেব্রুয়ারির ওয়ার্কিং কমিটি বৈঠক চেয়ার করতে দিয়েছেন।
পওয়ার-শিবিরও প্রবল ভাবে নেমে পড়েছে। তাদের পক্ষ থেকে ভাসিয়ে দেওয়া হচ্ছে যে, নির্বাচনে বিজেপির ‘আশীর্বাদ’ তাদের দিকে। বোর্ড রাজনীতির বর্তমান প্রেক্ষাপটে বিজেপি নিয়ন্ত্রিত ও প্রভাবিত ভোটগুলো নির্বাচনের ভবিষ্যত্ ঠিক করবে বলে ধরা হয়। বোর্ড মসনদে কে বসবেন, তা নির্ভর করবে বোর্ড রাজনীতিতে বিজেপি কোন শিবিরের দিকে তার উপর। পওয়ার শিবির মনে করছে, সুপ্রিম কোর্টের রায় তো বটেই, এ বার বিজেপির সমর্থনের পর শ্রীনিবাসনের বোর্ড প্রেসিডেন্ট পদে প্রত্যাবর্তন অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এখন শুধু একটা ব্যাপারই দেখার। নারায়ণস্বামী শ্রীনিবাসন শেষ মুহূর্তে কোনও নতুন তুরুপের তাস বার করেন কি না।