গোয়ার হোটেলে টিম থাকলেও তিনি টিমের সঙ্গে থাকেন না। বাড়িতে থাকেন।
কলকাতা ডার্বির আগে বাড়ি চলে যাওয়ার দুর্লভ ঘটনাও ঘটিয়েছেন।
দু’টো ম্যাচের মধ্যে কিছু দিন সময় পেলেই আগাসাইনের বাড়িতে চলে যাওয়া তাঁর অভ্যাস।
শিলং লাজং ম্যাচের আগের অসুস্থতার কারণে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হননি। ম্যাচের আগেই টিকিট কেটে রেখেছিলেন বিমানের। সোমবার সকালে ফের গোয়া চলে গেলেন ‘অসুস্থ’ আর্মান্দো কোলাসো! যা অর্ধেক ফুটবলার জানতেই পারলেন না। ফলে আজ মঙ্গলবার র্যান্টি-ডুডুদের অনুশীলন করাবেন সহকারী কোচ সুজিত চক্রবর্তী।
টিম পরপর ম্যাচ জিতছে বলে কোচের বাড়ি যাওয়া নিয়ে কেউ মুখ খুলছেন না। বরং আড়ালই করছেন। টিমের ম্যানেজার অ্যালভিটো ডি’কুনহা এর মধ্যে কোনও ‘ভুল’-ও দেখছেন না। বলে দিলেন, “মাত্র একদিন তো উনি কোচিং করাবেন না। টিম তো বৃহস্পতিবারই গোয়া চলে যাচ্ছে। ওখানেই দলের সঙ্গে যোগ দেবেন কোচ।” আর ফুটবল সচিব সন্তোষ ভট্টাচার্যের বক্তব্য, “কোচ তো অসুস্থ। উনি গোয়ায় যে ডাক্তারকে দেখান তাঁকে দেখাতে গিয়েছেন।” তবে ক্লাবের অন্দরে একটা বড় অংশের তীব্র ক্ষোভ রয়েছে, হোমসিক কোচের বারবার গোয়া যাত্রা নিয়ে।
কোচের আগেই অবশ্য পাসপোর্ট সমস্যা মেটাতে পঞ্জাবে চলে গিয়েছেন তাঁর দলের এক ফুটবলার বলজিত্ সিংহ সাইনিও। সেখান থেকে ফোনে ইস্টবেঙ্গল স্ট্রাইকার বললেন, “কবে সমস্যার সমাধান হবে বলতে পারছি না। বলতে পারছি না, কবে গিয়ে অনুশীলনে নামতে পারব।”
ইস্টবেঙ্গলের পরের ম্যাচ সালগাওকরের সঙ্গে গোয়ায়। শনিবার। তারপরই ১১ ফেব্রুয়ারি ডার্বি। এখনও চোটের তালিকায় রয়েছেন কেভিন লোবো, মেহতাব হোসেন, লালরিন্দিকা, গুরবিন্দর সিংহ, তুলুঙ্গার মতো ফুটবলার। নাকের চোটের জন্য গোয়ায় যেতে পারছেন না অর্ণব মণ্ডলও। নিজেই বললেন, “আমাকে পাঁচ-ছয় দিন বিশ্রাম নিতে বলেছেন ডাক্তার। গোয়ায় সে জন্য যেতে পারব না।” টিমের এই মিনি হাসপাতাল হয়ে যাওয়া অবস্থায় কোচের বাড়ি চলে যাওয়া দলের মধ্যে কতটা প্রভাব ফেলে সেটাই দেখার।