আই লিগের নতুন কর্পোরেট টিম কল্যাণী ভারত এফ সি-র আত্মপ্রকাশ ঘটছে আজ শনিবার। তাদের প্রতিপক্ষ ডেম্পো।
এমনিতে দেশের এক নম্বর টুর্নামেন্ট নিয়ে তেমন কোনও প্রচার নেই। মাঠে দর্শকও তেমন আসছে না। এই অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসতে আইএসএলের দেখানো ফমুর্লায় হাঁটতে শুরু করেছে ফেডারেশনের নতুন ফ্রাঞ্চাইজি টিম ভারতএফসি। পুণের মাঠে হোডিং দিয়ে ভরিয়ে দেওয়া ছাড়াও, দর্শকদের জন্য স্টেডিয়ামের বাইরে এবং ভিতরে গান-বাজনা থেকে কুইজ, গোল করলে পুরস্কারসবই থাকছে। গ্যালারিতে খাওয়া-দাওয়ারও ব্যবস্থা থাকছে। পরিবারকে মাঠে আনাই এই ব্যবস্থার উদ্দেশ্য। গতবার টিমের আত্মপ্রাকাশের সময় বেঙ্গালুরু এফ সি-ও এরকম খাওয়া-দাওয়ার ব্যবস্থা করেনি। তারা স্টেডিয়াম সাজিয়েছিল, ফ্যান জোন, ফ্যান ক্লাব তৈরি করেছিল। কিন্তু দর্শক মনোরঞ্জনের জন্য এত আকর্ষণীয় ব্যবস্থা করেনি।
কলকাতার শতাব্দী পেরনো এবং শতাব্দী ছুঁতে যাওয়া দুই ক্লাব মোহনবাগান এবং ইস্টবেঙ্গল তাদের কোটি কোটি সমর্থকের জন্য কখনও ভাবেনি। তা-ও আবেগের তাড়নায় লাখ লাখ দর্শক নিয়মিত ভিড় জমিয়েছেন মাঠে। কিন্তু আইএসএলের পর তাতেও ভাটার টান। ফলে তাদেরও নড়েচড়ে বসতে হচ্ছে এ বার। ইস্টবেঙ্গল তাদের ম্যাচ সংগঠনের দায়িত্ব তুলে দিয়েছে ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টের হাতে। তারাই টিকিট বিক্রি থেকে যাবতীয় কাজকর্ম দেখবে। মোহনবাগান এ দিন আরও একটা চমক দিল। টিকিট বিক্রির জন্য বেঙ্গালুরুর একটি কোম্পানির সঙ্গে যুক্ত হল বাগান। অন লাইন টিকিট বিক্রি করবে। শুধু তাই নয়, কোনও বাগান সমর্থক চাইলে বাড়ি বসে টিকিট পাবেন। লাইন দিয়ে টিকিট কাটা দূরে থাক, অর্ডার দিলে টিকিট পৌঁছে দেবে ওই কোম্পানি। যা অভিনব। কিন্তু কোন ম্যাচ কবে তা কীভাবে জানবেন বেঙ্গল বা বাগান সমর্থকরা? দুই ক্লাবের কোনও হোর্ডিং বা ব্যানার তো নেই শহরের কোথাও। বেঙ্গালুরু বা পুণের মতো সমর্থকদের মাঠে টেনে আনার জন্যও কোনও চেষ্টা নেই দুই প্রধান ক্লাবের। ম্যাচ সংগঠনের দায়িত্ব তাদের অথচ ইস্ট-মোহন কর্তারা আঙুল তুলছেন ফেডারেশনের দিকে।
কর্তারা যাই করুন, বাগান কোচ সঞ্জয় সেন অবশ্য আত্ববিশ্বাসী হয়ে উঠেছেন শুক্রবার সালগাওকরের হার দেখে। বাগানের পরের ম্যাচ বুধবার ডেরেক পেরিরার দলের বিরুদ্ধেই। সেই সালগাওকর হেরে গেল রয়্যাল ওয়াহিংডোর কাছে। ১-০ তে। টিভিতে খেলাটা দেখানো হয়নি। বাড়িতে বসে মোহন-কোচ বারবার ফোন করেছেন গোয়ায়। ফল জানতে। সালগাওকরের হারের খবর শুনে বললেন, “সনিদের কাল টিম বলব রয়্যাল যদি সালগাওকরকে হারাতে পারে আমরা পারব না কেন?”
যেভাবেই ছেলেদের উদ্বুদ্ধ করা হোক, বাগানের কাছে দুঃসংবাদ সালগাওকরের বিরুদ্ধে খেলতে পারবেন না পিয়ের বোয়া। সঞ্জয় বললেন, “ওর পেশির যা চোট তাতে অন্তত দশ দিন খেলতে পারবে না। ওকে গোয়ায় নিয়ে যাচ্ছি না।” সালগাওকরের কাছে হেরেই ফেড কাপ থেকে বিদায় নিয়েছিল মোহনবাগান। তাদের বিরুদ্ধে খেলতে রবিবার গোয়া যাচ্ছেন কাতসুমিরা।