চোট-আঘাত পাওয়া ক্রিকেটারের সংখ্যা এত যে, বাংলার চূড়ান্ত দলই বাছা গেল না। রঞ্জি ট্রফির কোয়ার্টার ফাইনালের জন্য কুড়ি জনের একটা সম্ভাব্য বাংলা দল গড়ে রাখতে হল শনিবার। সিএবি সূত্রের খবর, চোট আঘাতের যা বহর, তাতে এখন চূড়ান্ত ১৫ বাছলে একাধিক নির্ভরযোগ্য ক্রিকেটারকে বাদ দিয়েই নাকি সেই দল বাছতে হত। সে জন্যই তাঁদের রেখে এবং স্থানীয় ক্রিকেটে ভাল খেলা কয়েক জনকে রেখে একটা কুড়ি জনের দল বেছে রাখা হল। নির্বাচকদের প্রধান দেবাঙ্গ গাঁধী এ দিন বলেন, ‘‘এই কুড়ি জনকে প্র্যাকটিসে ডাকা হয়েছে। দু-তিনদিন প্র্যাকটিসের পর এঁদের মধ্যে থেকে ১৫ জনকে বেছে নেব।’’ মুম্বইয়ে মধ্যপ্রদেশের বিরুদ্ধে কোয়ার্টার ফাইনাল ৩ ফেব্রুয়ারি থেকে। ক্যাপ্টেন মনোজ তিওয়ারি দ্রুত উন্নতি করছেন বলে দেবাঙ্গ জানান। বলেন, ‘‘ওর সঙ্গে কথা বলে মনে হল ঠিক সময়েই ফিট হয়ে যাবে মনোজ।’’ তাঁকে রেখেই যে দল গড়া হয়েছে, তাতে রয়েছেন ঋদ্ধিমান, শ্রীবৎস, সুদীপ, ঈশ্বরন, সায়নশেখর, পঙ্কজ, প্রজ্ঞান, গনি, ওঝা, দিন্দা, বীরপ্রতাপ, মুকেশ, প্রদীপ্ত, রবিকান্ত সিংহ, রোহন বন্দ্যোপাধ্যায়, অমিত কুইলা, প্রসেনজিৎ দাস, ইশান পোড়েল ও কৌশিক ঘোষ। এঁদের মধ্যে জনা পাঁচেকের ছোট-বড় চোট রয়েছে বলে খবর।
শেষ চারে টালিগঞ্জ: জে সি মুখোপাধ্যায় ট্রফির শেষ চারে উঠল টালিগঞ্জ অগ্রগামী। শনিবার তারা উয়াড়িকে আট উইকেটে হারিয়ে সেমিফাইনালে ওঠে। গীতিময় বসু ৪০ বলে অপরাজিত ৪৯ রান করেন। কোয়ার্টার ফাইনালে উঠল ভবানীপুর ক্লাব। অনুভব আহুজার ৪৬ বলে অপরাজিত ১১৪ সত্ত্বেও পাইকপাড়া এ দিন তাদের কাছে ৪ রানে হারে। ভবানীপুরের ঋত্বিক চট্টোপাধ্যায় ৩৬ বলে ৬৮ করেন।