জিতেও বিদ্রুপ হজম করতে হচ্ছে মিসবাদের

বিশ্বকাপের লিগ টেবলে অবশেষে দু’পয়েন্ট বসল পাকিস্তানের নামের পাশে। তবু জিম্বাবোয়ের মতো অপেক্ষাকৃত দুর্বল দলকে কুড়ি রানে হারাতে রবিবার তাদের যে রকম মরিয়া সংগ্রাম চালাতে হল, তার পর ১৯৯২-এর চ্যাম্পিয়নদের নিয়ে খুব একটা আশার আলো দেখছেন না ব্রায়ান লারা থেকে বিষেণ সিংহ বেদী।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

ব্রিসবেন শেষ আপডেট: ০২ মার্চ ২০১৫ ০২:০৮
Share:

চলতি বিশ্বকাপে প্রথম জয় পেল পাকিস্তান। সতীর্থদের সঙ্গে উল্লাস ওয়াহাব রিয়াজের। ছবি: রয়টার্স।

বিশ্বকাপের লিগ টেবলে অবশেষে দু’পয়েন্ট বসল পাকিস্তানের নামের পাশে। তবু জিম্বাবোয়ের মতো অপেক্ষাকৃত দুর্বল দলকে কুড়ি রানে হারাতে রবিবার তাদের যে রকম মরিয়া সংগ্রাম চালাতে হল, তার পর ১৯৯২-এর চ্যাম্পিয়নদের নিয়ে খুব একটা আশার আলো দেখছেন না ব্রায়ান লারা থেকে বিষেণ সিংহ বেদী। লারা তো বলেই দিয়েছেন, “এই পাকিস্তান কোনওক্রমে কোয়ার্টার ফাইনাল পর্যন্ত যেতে পারে। কিন্তু তার বেশি আশা করবেন না।” আর বেদীর টুইট, “ওয়াঘার ওপারের বন্ধুদের অপমান করতে চাই না। কিন্তু বলতে বাধ্য হচ্ছি, ম্যাচটা দেখে বোঝা গেল না কোন দলটা বামন, জিম্বাবোয়ে না পাকিস্তান!”

Advertisement

ম্যাচের শেষে পাক অধিনায়ক মিসবা উল হক বলেছেন, “কাজটা ভীষণ কঠিন ছিল। কিন্তু হারা মানে টুর্নামেন্ট থেকেই ছিটকে জেতাম আমরা। জিতে টিম ঠিক কতটা খুশি, বলে বোঝানো যাবে না!” পরপর দু’টো ম্যাচ হেরে টিম কী দমবন্ধ চাপে ছিল, এই মন্তব্যেই পরিষ্কার।

এক দিকে, শোয়েব আখতার থেকে আব্দুল কাদির প্রাক্তনদের ক্ষুরধার আক্রমণ, অন্য দিকে টিমের অফ ফর্ম। এরই মধ্যে টস জিতে ব্যাট নিয়েছিলেন মিসবা। কিন্তু তাঁর নিজের ১৯১ বলে ৭৩ আর আট নম্বরে নামা ওয়াহাব রিয়াজের ৫৬ বলে অপরাজিত ৫৪ বাদ দিলে আবার ব্যর্থ পাকিস্তান ব্যাটিং। শাহিদ আফ্রিদি ০ করলেন। তেন্ডাই ছাতারাদের (৩-৩৫) বোলিং আক্রমণ সামলে পঞ্চাশ ওভারে ২৩৫-৭ তোলে পাকিস্তান।

Advertisement

বাইশ রানে জিম্বাবোয়ের দুই ওপেনারকে ফেরত পাঠিয়ে মহম্মদ ইরফান শুরুটা ভাল করেছিলেন। কিন্তু মাসাকাজদা (২৯) ও ব্রেন্ডন টেলরের (৫০) ৫২ রানের পার্টনারশিপ এবং তার পর টেলর ও শন উইলিয়ামসের (৩৩) ৫৪ রানের জুটি লড়াইয়ে ফেরায় জিম্বাবোয়েকে। ম্যাচের সেরা ওয়াহাব চারটে উইকেট না নিলে কী হত বলা কঠিন। ওয়াহাবের বলে টেলর ফেরার পর ক্রমশ দুর্বল হতে থাকে জিম্বাবোয়ে। তবু ফিল্ডিং করতে গিয়ে গুরুতর আহত জিম্বাবোয়ে ক্যাপ্টেন এল্টন চিগুম্বুরা (৩৫) নেমে দশ নম্বর ব্যাটসম্যানের সঙ্গে ১৬৮-৮ থেকে ২১৫ পর্যন্ত টানেন দলকে।

জেতায় পুল বি-র সাত টিমের মধ্যে পাকিস্তান ছয়ে। শেষ আটের আশাও জিইয়ে রাখল তারা। কিন্তু জিম্বাবোয়ের বোলিংও পাক ব্যাটিংকে যা সমস্যায় ফেলল, সেটা মিসবাদের ভাবাতে বাধ্য। আর জিম্বাবোয়ের টেলএন্ডাররা যে রকম প্রতিরোধ দেখালেন, সেটা পাকিস্তানি বোলিংয়ের জন্য মোটেই ভাল বিজ্ঞাপন নয়। সব মিলিয়ে কষ্টার্জিত এই জয় মিসবাদের আত্মবিশ্বাসে টনিকের কাজ কতটা করবে, সেই প্রশ্ন কিন্তু থেকেই গেল।

সংক্ষিপ্ত স্কোর

পাকিস্তান ২৩৫-৭ (মিসবা ৭৩, রিয়াজ ৫৪, তেন্ডাই ৩-৩৫)

জিম্বোবোয়ে ২১৫ (টেলর ৫০, ইরফান ৪-৩০, রিয়াজ ৪-৪৫।)

বিতর্কে মর্গ্যান

ইংল্যান্ডের ক্যাপ্টেন, কিন্তু দেশের জাতীয় সঙ্গীত গাইতে পারেন না ইয়ন মর্গ্যান। যা নিয়ে বিতর্ক চলছে, তিনি আইরিশ বলেই কি মাঠে ইংল্যান্ডের জাতীয় সঙ্গীত বাজার সময় মুখ বুজে থাকেন? তাঁর ছোটবেলার এক কোচ কেভিন জেনিংস বলেছেন, “ক্যামেরার সামনে গান গাইতে ও লজ্জা পায়।” মর্গ্যান নিজে বলছেন, এটা ‘ব্যক্তিগত’ এবং এর পিছনে ‘লম্বা গল্প’ আছে। গল্পটা বলতে না চাইলেও বলেছেন, “আইরিশ বা ইংলিশ কোনও জাতীয় সঙ্গীতই গাই না। এর জন্য ইংল্যান্ডের ক্রিকেটার হিসেবে কম গর্ব অনুভব করি না।” টেস্ট খেলতে পারবেন বলেই আয়ারল্যান্ড ছেড়ে মর্গ্যানের ইংল্যান্ডে আসা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন