‘নাইট-পরিবারের সঙ্গে প্যারাডাইসের বিরিয়ানি খাচ্ছি!’ শুক্রবার টুইট করেন উথাপ্পা। হায়দরাবাদের টিম হোটেলে তাঁর সঙ্গী সূর্যকুমার যাদবও।
আইপিএল এমন একটা স্টেশন, যেখান থেকে প্রচুর কেরিয়ারের সূচনা হয়েছে। তেমনই আবার অনেকের প্রত্যাশা ধ্বংসস্তুপে চাপা পড়ে গিয়েছে। আইপিএলে স্পটলাইট এত চড়া যে, এখানে ভুলের কোনও জায়গা নেই।
এ বছর গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের কথা ধরুন। বা আগের বছর ডেভিড মিলার। আইপিএলের ফাস্ট ফরোয়ার্ড মোডে যেমন উঠে এসেছে ডেভিড ওয়ার্নার, জেমস ফকনার, কায়রন পোলার্ড, সুনীল নারিন-সহ আরও অনেকে। আবার অনেক ক্রিকেটারই আইপিএলের কঠিন রাস্তায় টিকতে পারেনি। নির্বাচক এবং ভক্তেরা বুঝে গিয়েছেন, সময় এদের প্রতি কতটা নিষ্ঠুর। এই ক্রিকেটাররা এখনও সম্মান পায়, কিন্তু তাদের প্রত্যাবর্তন নিয়ে কেউই খুব একটা আশাবাদী নয়।
বীরেন্দ্র সহবাগের জন্য এ বারের আইপিএলটা ভাল যাচ্ছে। কিন্তু এই বীরু সে নয়, যাকে আমরা চিনি। তার পর পাঠান ভাইরা। খেলাটার গ্ল্যামার-বয় ছিল ইরফান আর ইউসুফ। কিন্তু এখন অত উজ্জ্বল কোথায়? চেতেশ্বর পূজারাকে খুব একটা কার্যকর দেখাচ্ছে না। দীনেশ কার্তিককে দেখে দিগ্ভ্রষ্ট মনে হচ্ছে। মনোজ তিওয়ারি তো কবে থেকেই শিরোনামের বাইরে। এ বার আইপিএলে হরভজন সিংহ খুব ভাল বল করেছে। অন্য দিকে প্রজ্ঞান ওঝার কাছে এই টুর্নামেন্টটা দুঃস্বপ্নের মতো কাটছে। এখন পর্যন্ত মাত্র একটা উইকেট আর নয়ের কাছাকাছি ইকনমি রেট ওর!
এদের মধ্যে দু’জন অবশ্য জাতীয় দলে ফেরার দাবি রাখতে পেরেছে। গৌতম গম্ভীরের মধ্যে সেই পুরনো আত্মবিশ্বাসটা দেখতে পাচ্ছি। ফিল্ডটাকে দারুণ নিয়ন্ত্রণ করে বড় বড় শট মারছে গম্ভীর। জাতীয় দলে ওপেন করার অন্য তিন দাবিদার শিখর ধবন, রোহিত শর্মা, মুরলী বিজয় যে ভাল ফর্মে নেই, সেটাও গম্ভীরের সাহায্যে লেগে গিয়েছে।
গম্ভীরের প্রত্যাবর্তনের লড়াইয়ে ওকে ছাপিয়ে যাচ্ছে ওরই টিমমেট। রবিন উথাপ্পা আইপিএলে গনগনে ফর্মে। ওপেনিংয়ে নামার পর থেকে নাইট রাইডার্সের অন্যতম শক্তি হিসেবে উঠে এসেছে। একের পর এক হাফসেঞ্চুরি এসেছে। উইকেট কেমন, সে সব ওর কাছে কোনও গুরুত্ব রাখে না। ফোনে বা গরম কফির কাপ হাতে জাতীয় নির্বাচকদের যে আড্ডাগুলো হয়, তার মধ্যে ঢুকে গিয়েছে রবিনের প্রসঙ্গ।