ডার্বির আগে সনি নর্ডি-কাতসুমিদের বকেয়া মাইনে দেওয়া নিয়ে তীব্র সমস্যায় মোহনবাগান। পরিস্থিতি এতটাই ঘোরালো যে, নজিরবিহীনভাবে কর্মসমিতির সদস্যদের চিঠি দিয়ে কার্যত ‘ভিক্ষার ঝুলি’ নিয়ে নেমে পড়লেন ক্লাব সচিব স্বয়ং। ক্লাব নির্বাচনের আগে যা বেশ চমকপ্রদ এবং ইঙ্গিতপূর্ণ।
বিভিন্ন কমিটি এবং কর্মসমিতির সদস্যদের চিঠি দিয়ে মোহন-সচিব অঞ্জন মিত্র বলে দিলেন, “ফুটবলারদের মাইনে দিতে না পারলে এবং তার প্রভাব যদি ডার্বিতে পড়ে, তা হলে দায় কিন্তু নিতে হবে সবাইকেই।” স্পনসররা টাকা বন্ধ করে দেওয়ায় বাগান ফুটবলারদের তিন মাসের মাইনে বকেয়া। ডার্বির আগে টিমকে চাঙ্গা করতে তার কিছুটা দিতেই হবে। আই লিগে খেলতে নামার আগে পরিস্থিতি সামাল দিতে প্রেসিডেন্ট টুটু বসুর দেওয়া টাকায় ফুটবলারদের মাইনে নেওয়া হয়েছিল।
ক্লাব সূত্রের খবর, এখন প্রতি মাসে মাইনে দিতে হলে প্রায় ষাট লাখ টাকা লাগে। সচিব চাইছেন, ডার্বির আগে অন্তত দু’মাসের মাইনে জোগাড় করতে। অথাৎ এক কোটি কুড়ি লাখ টাকা দরকার। চিঠিতে সে কথাই তিনি জানিয়েছেন সবাইকে। মোহন-সচিব বললেন, “কর্মসমিতির সদস্যরা সভায় নানা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। তার কিছুই কিন্তু এখনও কেউ দেননি।” টুটু বসু-সৃঞ্জয় বসু-দেবাশিস দত্তরা পদত্যাগ করেছেন। এই পরিস্থিতিতে অঞ্জনবাবু ‘সমস্যার বল’ গড়িয়ে দিতে চাইছেন সুব্রত মুখোপাধ্যায়, অরূপ বিশ্বাস, অতীন ঘোষের মতো মন্ত্রী-মেয়র পারিষদদের উপর। যাঁরা প্রতিদিন টুটু-সৃঞ্জয়দের পদত্যাগ বা নানা বিষয় নিয়ে মুখ খুলছেন। সচিবের চিঠি পেয়ে অবশ্য পাল্টা তোপ দেগে দিয়েছেন ক্লাবের ভাইস প্রেসিডেন্ট রাজ্যের মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়। বলে দিলেন, “টাকা কে কাকে দেবে? অর্থ সচিব তো পদত্যাগ করেছেন! আর এই আর্থিক অবস্থার জন্য দায়ী কে? আগে ক্লাবটাকে নিয়মের মধ্যে আনুক। সেটাই তো করছে না।”