বনগাঁ উপনির্বাচনের জন্য পুলিশি অসহযোগিতায় শেষ পর্যন্ত বাতিলই হয়ে গেল বুধবার আই লিগের প্রথম ডার্বি। ম্যাচের সংগঠক ইস্টবেঙ্গল শনিবার চিঠি দিয়ে তা জানিয়েও দিল মোহনবাগানকে। কিন্তু সরকারি ভাবে ম্যাচ ভেস্তে যাওয়ার পর প্রশ্ন উঠে গেল টুর্নামেন্টের নিয়মানুযায়ী সঞ্জয় সেনের দল কি এর জেরে তিন পয়েন্ট এবং তিন গোলের অ্যাডভান্টেজ পাবে লিগ টেবলে?
নিয়ম থাকলেও এখনই তিন পয়েন্ট বা তিন গোল নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নিচ্ছে না ফেডারেশন। দিল্লি থেকে ফোনে আই লিগের সিইও সুনন্দ ধর বললেন, “ইস্টবেঙ্গল এখনও সরকারি ভাবে কিছু জানায়নি। ওদের সমস্যার কথা জানিয়েছে। দেখব অন্য কোনও দিন ম্যাচটা করা যায় কি না? যদি তা না হয় সে ক্ষেত্রে তিন পয়েন্টের কথা ভাবা হবে। ওটা হচ্ছে শেষ বিকল্প।”
বাগান অবশ্য সরাসরি কোনও দাবি তোলেনি। তবে বাগান সচিব অঞ্জন মিত্র রাতে মনে করিয়ে দিয়েছেন, “১৯৯৭-এ পঞ্চমীর দিন আমাদের এ এফ সি কাপের খেলা পড়েছিল জুবিলেতার সঙ্গে। পুলিশের সাহায্য না পাওয়ায় ম্যাচটা করতে পারিনি। সে জন্য বিপক্ষকে তিন পয়েন্ট এবং তিন গোল দেওয়া হয়েছিল। আই লিগের ক্লাবগুলোকে এএফসি-র নিয়মেই বাঁধা হয়েছে।” ইস্টবেঙ্গল অবশ্য এ বিষয়ে মন্তব্য করতে চাইছে না। তারা এখনও চেষ্টা চালাচ্ছে ম্যাচটা করার। এ দিনও চিঠি দেওয়া হল বিধাননগর পুলিশকে।
এ দিন পুলিশের পক্ষ থেকে ইস্টবেঙ্গলকে অনুরোধ করা হয়েছিল দুই ক্লাবের সদস্যদের মধ্যে পাঁচশো করে টিকিট বিলিয়ে খেলা হোক। ইস্টবেঙ্গল সচিব কল্যাণ মজুমদার ফোন করেছিলেন বাগান সচিবকেও। অঞ্জন বললেন, “আমাদের আট হাজার মেম্বার। পাঁচশো টিকিটে কি হবে? আমি মানছি না।” ম্যাচ ভেস্তে যাওয়ায় প্রচুর টাকা ক্ষতি হল ইস্টবেঙ্গলের। কর্তারা এখন চাইছেন টাকার ক্ষতি স্বীকার করেও পরে যদি ম্যাচটা হয়? কিন্তু মোহনবাহান সেটা মানবে কি?