পশ্চিমাঞ্চলের বিরুদ্ধে হাড্ডাহাড্ডি লড়ে রুদ্ধশ্বাস জয় পেল মনোজ তিওয়ারি, লক্ষ্মীরতন শুক্লদের পূর্বাঞ্চল। ম্যাচের শেষ দিন জিততে পূর্বাঞ্চলের দরকার ছিল ন’টা উইকেট। দুই পেসার বসন্ত মোহান্তি (৪-৪৪) এবং অশোক দিন্দার (৩-৪০) দাপটে যেটা করতে অসুবিধে হয়নি। সচিন তেন্ডুলকরের শেষ রঞ্জি ম্যাচের মাঠ লাহলিতে এ দিন ১০২ রানের ব্যবধানে দলীপ ট্রফির প্রথম ম্যাচ জিতে সেমিফাইনালে চলে গেল পূর্বাঞ্চল। ২২ অক্টোবর যুদ্ধ শুরু রবিন উথাপ্পাদের দক্ষিণাঞ্চলের বিরুদ্ধে।
পশ্চিমাঞ্চলের দ্বিতীয় ইনিংসে ধস নামানোর কাজটা শুরু করেছিলেন বাংলার দিন্দাই। শুক্রবার প্রথমেই তিনি তুলে নিয়েছিলেন বিপজ্জনক ওপেনার বিজয় জোলের উইকেট। এ দিনও সমান আগুন নিয়ে শুরু করেন বাংলার পেসার। ১২-১ অবস্থায় দিন শুরু করে তাঁর গতির সামনে দাঁড়াতে পারেনি পশ্চিমের টপ অর্ডার। চলতি মরসুমের শুরুতে প্রস্তুতি ম্যাচ প্রায় কিছুই খেলেননি দিন্দা। বুচিবাবু ট্রফিতে ছিলেন না, চোটের জন্য খেলতে পারেননি জেপি আত্রেতেও। বলতে গেলে গত রঞ্জির পর এটাই দিন্দার প্রথম বড় ঘরোয়া টুর্নামেন্ট। সেখানে দু’ইনিংস মিলিয়ে সাতটা উইকেট পেয়ে খুশি দিন্দা। এবং আত্মবিশ্বাসী, নিজের সেরাটা এখনও দেওয়া বাকি। “দলীপে আমি বরাবরই ভাল খেলি। গত বার একটা ম্যাচে পরপর সাত উইকেট পেয়েছি। তিন উইকেট তো সে রকম বড় কিছু নয়,” লাহলি থেকে ফোনে বললেন দিন্দা। সেমিফাইনাল নিয়ে তাঁর মন্তব্য, “ওদের টিমে উথাপ্পা, অভিনব মুকুন্দ আছে। কিন্তু আমরাও ভাল টিম। ভাল লড়াই হবে।”
পশ্চিমাঞ্চলের টপ অর্ডার দিন্দার হাতে ধ্বংস হলে টেলএন্ডারদের দায়িত্ব নিয়ে নেন বসন্ত মোহান্তি। ওড়িশার ডান হাতি মিডিয়াম পেসার ফেরান ইউসুফ পাঠান, ধবল কুলকার্নি সহ চার জনকে। বিপক্ষ অধিনায়ক চেতেশ্বর পূজারার গুরুত্বপূর্ণ উইকেটটা তুলে নেন লক্ষ্মী।