হঠাৎ দেখা। বাগান প্র্যাক্টিসের শেষে ওডাফা ও সুব্রত। ছবি: শঙ্কর নাগ দাস।
আপাতত চোট মুক্ত এবং সুস্থ দাবি করছেন। সবুজ-মেরুন জার্সি পরে খেলার জন্য মুখিয়ে থাকা ওডাফা ওকোলি অবশেষে মাঠে নেমে পড়লেন।
কাতসুমি-ইচেদের সঙ্গে ফিজিক্যাল ট্রেনিং করে বল নিয়েও দীর্ঘক্ষণ নড়াচড়া করতে দেখা গেল মোহন-অধিনায়ককে। শেষ বার মাঠে নেমেছিলেন সেই আই এফ এ শিল্ডে মহমেডানের বিরুদ্ধে। আবার সেই মহমেডানের সঙ্গেই আই লিগ ম্যাচে হয়তো গোলমেশিনের প্রত্যাবর্তনের মঞ্চ হতে চলেছে। সোমবার সে রকমই ইঙ্গিত দিচ্ছেন করিম বেঞ্চারিফা। যুবভারতীতে অনুশীলনের পর মোহন-কোচ বলে দিলেন, “ম্যাচ ফিটনেস ফিরে পাওয়ার জন্য খুব খাটছে ওডাফা। গত দু’দিন ও একা প্র্যাকটিস করেছে। আজ দলের সঙ্গেও করল। মনে হচ্ছে ওডাফাকে আঠারো জনের দলে রাখতে পারব।” আর কোচ বলে যাওয়ার কিছুক্ষণ পর ওডাফা নিজেই ড্রেসিংরুমে যাওয়ার পথে বলে দিলেন, “আমি সুস্থ। আমি পুরোপুরি চোট মুক্ত।”
ওডাফা নিয়ে আশার কথা শোনালেও মোহনবাগান কোচের চিন্তা বাড়িয়েছে অফিস ফুটবল। অফিসের খেলা থাকায় পঙ্কজ মৌলা, রাম মালিক, প্রীতম কোটাল ও শৌভিক ঘোষ অনুশীলনে আসেননি। মহমেডানের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ ৮ মার্চ। তার আগের দিনই হয়তো অনুশীলন করতে পারবেন বাগানের চার নির্ভরযোগ্য ফুটবলার। স্বভাবতই হতাশ করিম বলেন, “অফিস খেলার জন্য অনেক ফুটবলার আজ অনুশীলন করতে পারেনি। ম্যাচের আগে প্রস্তুতিতে এ রকম হলে খুব অসুবিধা হয়।” অনুশীলনের পরে দলের ওডাফা-সহ চার বিদেশি ও ডেনসন, কিংশুকদের নিয়ে টিম মিটিং করেন করিম। “আমি সব সময় দলের সিনিয়র ফুটবলারদের সঙ্গে কথা বলি। দলের সব সমস্যার কথা জানানো আমার দায়িত্ব। আজকেও তাই করলাম। কোচ হিসেবে আমার দায়িত্ব দলের সমস্যার সমাধান বের করা।”
ফুটবল সচিব উত্তম সাহা ছাড়া এই মুহূর্তে বাগানের কোনও শীর্ষ কর্তা কলকাতায় নেই। দীর্ঘ দিন ধরে অসুস্থ সচিব অঞ্জন মিত্রর এ দিনই মুম্বইতে জরুরি অস্ত্রোপচার হয়েছে। সেখানেই সকাল থেকে রয়েছেন সবাই। মুম্বইতে ফোন করে জানা গেল, দুপুরে শুরু হওয়া অস্ত্রোপচার শেষ হতে রাত দু’টো হয়ে যাবে। এই অবস্থার মধ্যেই মহমেডান ম্যাচের প্রস্তুতি সরল মোহনবাগান।
করিম যখন মাঠ ছাড়ছেন তখন সেখানে নিজের দল ইউনাইটেডকে নিয়ে অনুশীলন করাতে নামছিলেন সুব্রত ভট্টাচার্য। করিমের তীব্র সমালোচক সুব্রত। তাই দু’জনে ইচ্ছে করেই মুখোমুখি হতে চাইলেন না। তবে ওডাফাকে জড়িয়ে ধরলেন সুব্রত। বললেন, “তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে মাঠে নামো। গোল করার কোনও লোক নেই টিমে। তোমাকে মোহনবাগানের গোলের জন্য এখনই দরকার।”